ঢাকা: মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, দেশে প্রতি বছর প্রায় ২২ হাজার নারী স্তন ক্যান্সারে আক্রান্ত হন এবং তার মধ্যে প্রায় ১৭ হাজার মারা যান। সরকারি ও বেসরকারি সংস্থার যৌথ উদ্যেগে সচেতনতা তৈরির মাধ্যমে এই বিপুল সংখ্যক নারীর জীবন রক্ষা করা সম্ভব।
আহ্ছানিয়া মিশন ক্যান্সার অ্যান্ড জেনারেল হাসপাতাল ও দেশের সব কমিউনিটি ক্লিনিকের মাধ্যমে যৌথভাবে দরিদ্র নারীদের স্তন ক্যান্সারের চিকিৎসা সেবা প্রদান করা সম্ভব বলে উল্লেখ করেন তিনি।
সোমবার রাজধানীর ধানমন্ডি আহ্ছানিয়া মিশন মিলনায়তনে, আহ্ছানিয়া মিশন ক্যান্সার অ্যান্ড জেনারেল হাসপাতাল, মিরপুর আয়োজিত স্তন ক্যান্সার সচেতনতা মাসের কার্যক্রমের শুভ উদ্বোধন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতা করেন প্রতিমন্ত্রী।
প্রতি বছর অক্টোবর মাস স্তন ক্যান্সারের সচেতনতা মাস হিসাবে পালন করা হয়। এ উপলক্ষে আহ্ছানিয়া মিশন ক্যান্সার অ্যান্ড জেনারেল হাসপাতাল, মাসব্যাপী বিনা খরচে নারীদের ব্রেস্ট ক্যান্সার নির্ণয়ে স্বাস্থ্যসেবা প্রদান করবে।
ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের প্রেসিডেন্ট কাজী রফিকুল আলমের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য দেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান মেহের আফরোজ চুমকি, ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের উপদেষ্টা দীনা হক, ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের পরিচালক ড. সৈয়দ ফজলে রহিম এবং প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ড. সৈয়দ আকরাম হোসেন, ড. হারুন-উর-রশিদ প্রমুখ।
মেহের আফরোজ চুমকি বলেন, “এই রোগ সম্পর্কে জনসাধারণের প্রাথমিক জ্ঞান নেই এবং সবচেয়ে বড় সমস্যা হচ্ছে এই রোগটি মেয়েদের একটি গোপন অংশের রোগ। তাই আমাদের দেশের মা ও বোনেরা এই রোগ সম্পর্কে অজ্ঞ অথবা লজ্জার কারণে এই রোগ সর্ম্পকে কাউকে জানাতে চায় না। এ দুই সমস্যা দূর করতে পারলে ব্রেস্ট ক্যান্সার চিকিৎসার মাধ্যমে দূর করা সহজ হবে। শুধু সচেতনতা বৃদ্ধির মাধ্যমে আমরা ব্রেস্ট ক্যান্সার এর মতো একটি মরণব্যাধির হাত থেকে বহু মা ও বোনকে রক্ষা করতে পারি। ব্রেস্ট ক্যান্সার সচেতনতা মাস পালন একটি মহৎ উদ্যোগ এবং সময়োপযোগী পদক্ষেপ। ”
ড. সৈয়দ ফজলে রহিম বলেন, “প্রাথমিক পর্যায়ে রোগ নিরুপন হলে এবং চিকিৎসা করালে অনেকদিন সুস্থ থাকা যায়। সার্জারি করার সময় টিউমার বগলের লসিকা গ্রন্থিসহ অপসারণ করলে এই রোগ পুনরায় দেখা দেওয়ার সম্ভাবনা খুব কম। অসম্পূর্ণ টিউমার অপসারণ করলে এই রোগ আবার হতে পারে। তবে এ রোগের চিকিৎসা এখন বাংলাদেশেই সম্ভব। ”
বক্তারা আরও বলেন, ব্রেস্ট ক্যান্সার প্রতিরোধে প্রয়োজন ব্যাপক প্রচার। এ ক্ষেত্রে সংবাদপত্র ও সমাজের শিক্ষিত মেয়েদের এগিয়ে আসা প্রয়োজন। যখন প্রাথমিক নির্ণয়ের মাধ্যমেও দ্রুত চিকিৎসায় আমাদের মা-বোনদের এই ক্যান্সার থেকে রক্ষা করতে পারবো তখনই এই কার্যক্রমগুলো সফল হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১২৩৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ০২, ২০১২
এমএন/জেডএম/এজে