ঢাকা: ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজ (সিওপিডি) হলো একটি দীর্ঘস্থায়ী শ্বাসজনিত রোগ, যা বিশ্বব্যাপী মৃত্যুর চতুর্থ কারণ। ধূমপান, বায়ু দূষণ এবং অভ্যন্তরীণ ধোঁয়ার কারণে বাংলাদেশেও সিওপিডি একটি বড় ধরনের স্বাস্থ্য সমস্যা।
বর্তমানে ৮০ লাখেরও বেশি মানুষ সিওপিডিতে ভুগছে। রোগটি পুরোপুরি নিরাময়যোগ্য নয়। তবে ওষুধ, ইনহেলার, শ্বাসের ব্যায়াম ইত্যাদির মাধ্যমে রোগীর জীবনমান উন্নত করা সম্ভব। তবে সবাই মিলে পরিবেশ সুরক্ষায় উদ্যোগী হলে এবং সঠিক স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করলে সিওপিডির ঝুঁকি কমিয়ে আনা সম্ভব।
শনিবার (২৩ নভেম্বর) ‘ওয়ার্ল্ড সিওপিডি ডে’ এবং নতুন বক্ষব্যাধি বিশেষজ্ঞদের সম্মাননা প্রদান উপলক্ষে বাংলাদেশ লাং ফাউন্ডেশন আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে বিশেষজ্ঞরা এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানটি স্পন্সর করে একমি ল্যাবরেটরিজ লিমিটেড।
বক্ষব্যাধি হাসপাতালের সাবেক পরিচালক এবং বাংলাদেশ লাং ফাউন্ডেশনের সভাপতি অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আলী হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন স্বাস্থ্য সংস্কার কমিশনের অন্যতম সদস্য ডা. মোহাম্মদ আজহারুল ইসলাম খান, লাং ফাউন্ডেশনের মহাসচিব ডা. আসিফ মুজতবা মাহমুদ, জয়েন্ট সেক্রেটারি কাজী সাইফুদ্দিন বেননূর, একমি ল্যাবরেটরিজ লিমিটেডের এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর মো. ফেরদৌস খান, ডেপুটি ম্যানেজার এম এ খায়ের প্রমুখ।
পালমোনারি রিহাবিলেটেশন বা শ্বাসতন্ত্রের পুনর্বাসন বিষয়ে বৈজ্ঞানিক প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ লাং ফাউন্ডেশনের সায়েন্টিফিক সেক্রেটারি ডা. ফেরদৌস ওয়াহিদ।
এ অনুষ্ঠানে বিগত দুই বছরে পালমোনারি বিষয়ে সদ্য পাসকৃত শতাধিক বক্ষব্যাধি বিশেষজ্ঞকে সম্মাননা দেওয়া হয়। অনুষ্ঠান শেষে র্যাফেল ড্রতে লটারির মাধ্যমে আকর্ষণীয় পুরস্কার দেওয়া হয়।
অনুষ্ঠানে অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আলী হোসেন বলেন, বক্ষব্যাধির রোগীদের জন্য লাং ফাউন্ডেশন সামনে ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ করতে যাচ্ছে। আমরা এ সংক্রান্ত একটি বিশেষায়িত হাসপাতালের কথাও ভাবছি। আশা করি, সবার সম্মিলিত প্রয়াসে এটা বাস্তবায়ন সম্ভব।
বাংলাদেশ সময়: ২২২১ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৩, ২০২৪
এমজেএফ