ঢাকা: প্রতিবছর ৫৭ লাখ মানুষ তামাকের প্রভাবে সরাসরি ক্ষতিগ্রস্ত হয় বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. ক্যাপ্টেন অব. মুজিবুর রহমান ফকির।
এছাড়া বছরে তামাকজাত পণ্যের ব্যবহারে সরাসরি আক্রান্ত হয় ৩৭ হাজার লোক।
মঙ্গলবার দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবে জাতীয় তামাকমুক্ত দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ তামাক বিরোধী জোট আয়োজিত ‘তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন ও জনস্বাস্থ্য’ শীর্ষক অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
মুজিবুর রহমান ফকির বলেন, “তামাকের এই ক্ষতিকর প্রভাব থেকে মুক্তি পেতে হলে সবার আগে দরকার জনসচেতনতা। দেশেরন জনগণ যখন এর ক্ষতিকর দিক জানবে, তখন তারা তামাকজাত পণ্য ব্যবহার থেকে সরে আসবে। ”
তিনি বলেন, “আইন করলেই হবে না, আইনের সঠিক বাস্তবায়ন নিশ্চিত করতে হবে। এ সংক্রান্ত আইনটিতে বেশ কিছু সংশোধনী আনা হয়েছে, যা খুব শিগগিরই সংসদে পাস হবে। ”
তামাকমুক্ত দেশ গড়তে হলে রাজনৈতিক সদিচ্ছার কোনো বিকল্প নেই বলেও মনে করেন স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী।
অনুষ্ঠানে জাতীয় যক্ষ্মা নিরোধ সমিতির সিনিয়র সহ-সভাপতি মোজাফ্ফর হোসেন পল্টু বলেন, “তামাকের ব্যবহার শুণ্যের কোটায় আনতে হলে সবার আগে দরকার রাজনৈতিক সদিচ্ছা। কারণ যারাই ক্ষমতায় থাকে, তারা ভোট হারানোর ভয়ে এ বিষয়ে কার্যকর কেনো উদ্যোগ নেয় না। ”
যখন যারাই রাষ্ট্রক্ষমতায় আসুক, তাদের দেশের জনগণের কাছে এ বিষয়ে সুনিদিষ্ট অঙ্গীকার করার আহবান জানান তিনি।
সংগঠনের সমন্বয়কারী সাইফুদ্দিন আহমেদ সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য দেন সাবেক আইজিপি ড. এমএনামুল হক, উবিনীগ নির্বাহী পরিচালক ফরিদা আখতার প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৭১২ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৯, ২০১২
এইচএআর/এনএম/এজে