ঢাকা, শনিবার, ১৯ মাঘ ১৪৩১, ০১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০১ শাবান ১৪৪৬

স্বাস্থ্য

আন্দোলনে চোখে আঘাতপ্রাপ্তদের চিকিৎসা দিচ্ছেন সিঙ্গাপুরের চিকিৎসকরা

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০১৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১, ২০২৫
আন্দোলনে চোখে আঘাতপ্রাপ্তদের চিকিৎসা দিচ্ছেন সিঙ্গাপুরের চিকিৎসকরা আন্দোলনে চোখে আঘাতপ্রাপ্ত রোগীদের চিকিৎসা দিয়েছেন সিঙ্গাপুর থেকে আগত চক্ষু বিশেষজ্ঞরা

ঢাকা: বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে চোখে আঘাতপ্রাপ্ত রোগীদের চিকিৎসা দিয়েছে সিঙ্গাপুর থেকে আসা পাঁচজন বিখ্যাত চক্ষু বিশেষজ্ঞের একটি দল।

শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) সকাল থেকে দুই দিনের কার্যক্রমের প্রথম দিন চিকিৎসকরা জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল (এনআইওএন্ডএইচ) এবং বাংলাদেশ চক্ষু হাসপাতালে চিকিৎসা দেন।

এদিন শতাধিক রোগীর চোখ পরীক্ষা করেন চিকিৎসকরা এবং এ পর্যন্ত দেওয়া চিকিৎসা মূল্যায়ন করেন। রোগীদের জন্য ভবিষ্যতের চিকিৎসা এবং পুনর্বাসন প্রোটোকল সম্পর্কে পরামর্শ দেন তারা।

দ্বিতীয় দিন রোববার এই দুই হাসপাতালে আরও রোগী দেখে রাতে বাংলাদেশ ত্যাগ করবেন এই চিকিৎসকরা।

চক্ষু বিশেষজ্ঞ এই দলের সদস্যরা হলেন—মাউন্ট এলিজাবেথ নোভেনা হাসপাতালের চক্ষু ও কর্নিয়া সার্জারির প্রধান ডোনাল্ড ট্যান, ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি হাসপাতালের অফথালমোলোজির ক্লিনিক্যাল ডিরেক্টর ব্লাঞ্চ লিম, সিঙ্গাপুর ন্যাশনাল আই সেন্টারের সহযোগী অধ্যাপক এবং রেটিনা সার্জন রোনাল্ড ইয়োহ, মাউন্ট এলিজাবেথ নোভেনা হাসপাতালের সিনিয়র কনসালট্যান্ট এবং রেটিনা বিশেষজ্ঞ নিকোল ট্যান এবং সিঙ্গাপুর ন্যাশনাল আই সেন্টারের কনসালট্যান্ট চক্ষু বিশেষজ্ঞ রুবেন ফু।

চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের পরিচালক অধ্যাপক খায়ের আহমেদ চৌধুরী বলেন, সিঙ্গাপুরের চিকিৎসকরা ইতোমধ্যে দেওয়া চিকিৎসা মূল্যায়ন করবেন এবং পরবর্তীতে করণীয় কী, তা নির্ধারণ করবেন।

তিনি আরও বলেন, যদি তাদের (রোগীদের) আরও চিকিৎসার প্রয়োজন হয়, তাহলে চিকিৎসকদের আরেকটি দল আসবে। যদি কোনো রোগীর বিদেশে চিকিৎসার প্রয়োজন হয়, তাহলে তারা সেই পরামর্শও দেবেন।

জুলাই আন্দোলনে চোখে আঘাতপ্রাপ্তদের চিকিৎসার জন্য বিদেশ থেকে আসা এটি চতুর্থ চক্ষু বিশেষজ্ঞ দল। এর আগে একটি চীনা, একটি নেপালি এবং একটি ফরাসি দল তাদের চিকিৎসার জন্য বাংলাদেশে এসেছিল।

চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, আন্দোলনের সময় চোখে আঘাতপ্রাপ্ত কয়েকশ রোগী এই হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। তাদের মধ্যে ৪০০ জনেরও বেশি এক চোখে এবং ৫৫ জন উভয় চোখে আঘাত পেয়েছেন। আহতদের মধ্যে নয়জনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানো হয়েছে।

আহতদেরকে চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের দেওয়া চিকিৎসায় সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন ডা. রোনাল্ড ইয়োহ বলেন, আন্দোলনের সময় শত শত মানুষের চোখের আঘাত বাংলাদেশের স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানগুলোর ওপর বিশাল চাপ সৃষ্টি করেছিল। কিন্তু তারা (চক্ষু হাসপাতালগুলো) অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে রোগীদের চিকিৎসা ব্যবস্থাপনা করেছে এবং তাদের দেওয়া চিকিৎসা দেখে আমরা মুগ্ধ হয়েছি।

স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়, বুয়েট আমরা ৯২ ফাউন্ডেশন, বাংলাদেশ চক্ষু হাসপাতাল, জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল এবং অরবিস ইন্টারন্যাশনালের যৌথ উদ্যোগে সিঙ্গাপুরের চক্ষু বিশেষজ্ঞদের দল বাংলাদেশে চক্ষু রোগীদের চিকিৎসা দিতে এসেছে।

বাংলাদেশ সময়: ২০১৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০১, ২০২৫
আরকেআর/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।