ঢাকা: গড়ে মিনিটে ৭০ বার হার্ট বিট সারা শরীরের রক্ত সঞ্চালনকে স্বাভাবিক রাখে। এর ব্যতিক্রম হলে অর্থাৎ অপর্যাপ্ত এবং অনিয়মিত রক্তসঞ্চালন হলে তখনই হার্ট অ্যাটাকের আশঙ্কা দেখা দেয়।
যদিও একেক জনের হার্ট অ্যাটাকের ভিন্ন ভিন্ন ধরন রয়েছে। তবুও বুকের মাঝখানে অথবা বামদিকে ব্যাথা অনুভূত হলে এবং সেটা যদি হাত, চোয়াল, ঘাড় এবং পাকস্থলী পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়া, বুক ধড়ফড় করা, শ্বাস-প্রশ্বাস ঘন হয়ে যাওয়া, চোখ ঝাপসা হওয়া, বমি বমি ভাব এবং শরীর খুব দুর্বল মনে হলে হার্ট অ্যাটাক হয়েছে বলে মনে করা হয়।
যাদের হার্ট অ্যাটাক হওয়ার আশঙ্কা থাকে তাদের হাসপাতালে নেওয়ার আগ পর্যন্ত কিছু নিয়ম জেনে রাখা উচিত যাতে অপ্রত্যাশিত দুর্ঘটনা রোধ করা যায়।
রোগীর শরীরের জামা শক্তভাবে পরিধান থাকলে তা আলগা করে দিতে হবে। রোগীকে খোলা জায়গায় আলো বাতাসযুক্ত রুমে শুয়ে বিশ্রাম করতে দিতে হবে এবং যাতে ভয় না পায় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। যদি রোগী ঘেমে যায়, তাহলে অল্প ভিজা কাপড় দিয়ে রোগীর শরীর ভালভাবে মুছে দিতে হবে।
সাধারণত হার্ট অ্যাটাক ১০ সেকেন্ডের মধ্যে রোগী অজ্ঞান হয়ে যেতে পারে। সেক্ষেত্রে ১০ সেকেন্ডের মধ্যে রোগীকে খুব দ্রুত এবং জোরে ঘন ঘন কাশি দিতে হবে যেন কাশির সাথে বেশী পরিমাণে কফ বা থুতু বের হয়ে আসে।
প্রতিবার কাশি দেবার পূর্বে দীর্ঘশ্বাস নিতে হবে। এভাবে শ্বাস-প্রশ্বাস স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত ঘন ঘন অর্থাৎ ২ সেকেন্ড পর পর কাশি এবং দীর্ঘশ্বাস দিতে হবে।
দীর্ঘশ্বাস ফুসফুসের মধ্যে অক্সিজেন পেতে সাহায্য করে এবং কাশি বুকে যে চাপের সৃষ্টি হয় তা হৃৎপিণ্ডের রক্ত চলাচল স্বাভাবিক করে।
প্রাথমিক সেবা দেওয়ার পর যত দ্রুত সম্ভব রোগীকে হাসপাতালে নিতে হবে।
সূত্র : emedicalpoint.com
বাংলাদেশ সময় : ১৬৪৪ ঘণ্টা, অক্টোবর ২০, ১২০২
সম্পাদনা : সুকুমার সরকার, কো-অর্ডিনেশন এডিটর
Kumar.sarkerbd@gmail.com