বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কেউ কেউ দাঁতের যত্ন নিতে ভুলে যান। ফলে বয়স্কদের ক্ষেত্রে এক সময়ে সব দাঁত পড়ে যেতে পারে।
মাড়ির যত্ন
সমীক্ষা বলছে ৬৫ বছরের পর তিনজন মানুষের মধ্যে অন্তত একজন মাড়ির কোনো না কোনো সমস্যায় ভোগেন। কারও দাঁত অক্ষত থাকলেও মাড়ির সমস্যা বয়সকালে খাবার চিবোতে বাধা দেয়। তার ফলে অনেকেই শক্ত খাবার এড়িয়ে চলেন, যা পরোক্ষে শরীরে পুষ্টির অভাব তৈরি করে। মাড়ি ফুলে গেলে তা থেকে প্রদাহ তৈরি হতে পারে। যদি দাঁত মাজতে গিয়ে মাড়ি থেকে রক্তপাত হয় বা মাড়িতে ব্যথা হয়, তা হলে দন্ত্যচিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া যেতে পারে।
ড্রাই মাউথ
বয়সের সঙ্গে মুখে লালা তৈরির পরিমাণ কমে আসে। তার ফলে মুখের ভেতরের অংশ শুকিয়ে যায়। কিন্তু লালা মুখের ভেতরের অ্যাসিডের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করে দাঁতের এনামেল সুরক্ষিত রাখতে সাহায্য করে। অনেক সময়ে রক্তচাপসহ বিভিন্ন অসুখের ওষুধ থেকেও ড্রাই মাউথ হতে পারে। সমস্যা থেকে বাঁচতে, দিনে পর্যাপ্ত পরিামাণে পানি খাওয়া উচিত। কোনো খাবার খাওয়ার পরেই কুলকুচি করতে হবে। পাশাপাশি নিয়মিত ফ্লোরাইড জাতীয় টুথপেস্ট এবং কোনো ভালৈা মাউথওয়াশ দিয়ে মুখ ধোয়া উচিত।
চিকিৎসকের ভূমিকা
দাঁতের ক্ষেত্রে অনেকেই শেষ মুহূর্তে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন। কিন্তু বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গেই নিয়মিত দন্ত্যচিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করা উচিত। তার ফলে সমস্যা দ্রুত শনাক্ত করা সম্ভব।
খরচসাপেক্ষ
দাঁতের চিকিৎসা ব্যয়বহুল। অনেকেই তার জন্য চিকিৎসকের কাছে গিয়ে পরামর্শ নিলেও চিকিৎসা সম্পূর্ণ করেন না। সঠিক সময়ে সমস্যা শনাক্ত না হলে, খরচ এবং সমস্যা আরও বাড়তে পারে। নিয়মিত চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করলে চিকিৎসার খরচ অনুয়ায়ী পরিকল্পনা করা যেতে পারে।
বদভ্যাস ত্যাগ
দাঁতের ক্ষতির ক্ষেত্রে ধূমপান, কফি ও খৈনির মতো জিনিসগুলো মারাত্মক ক্ষতি করে। তাই সময় থাকতে এই ধরনের অভ্যাসগুলো ত্যাগ করতে পারলে সার্বিকভাবে মুখের স্বাস্থ্য ভালো থাকে।
এএটি