ঢাকা, বুধবার, ২৯ শ্রাবণ ১৪৩২, ১৩ আগস্ট ২০২৫, ১৮ সফর ১৪৪৭

স্বাস্থ্য

মায়ের দুধ খাওয়ানোর প্রবণতা কমায় নবজাতক মৃত্যুর হার বাড়ছে

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭:২৪, আগস্ট ১৩, ২০২৫
মায়ের দুধ খাওয়ানোর প্রবণতা কমায় নবজাতক মৃত্যুর হার বাড়ছে জাতীয় প্রেসক্লাবের আব্দুস সালাম হলে সংবাদ সম্মেলন করে বাংলাদেশ নিওনেটাল ফোরাম। ছবি: ডিএইচ বাদল

সচেতনতার অভাবে নবজাতককে মায়ের বুকের দুধ খাওয়ানোর প্রবণতা কমার কারণে নবজাতক মৃত্যুর হার বাড়ছে বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।  

বুধবার (১৩ আগস্ট) জাতীয় প্রেসক্লাবের আব্দুস সালাম হলে বাংলাদেশ নিওনেটাল ফোরাম আয়োজিত  ‘বিশ্ব মাতৃদুগ্ধ সপ্তাহ-২০২৫, শিশু স্বাস্থ্যের জন্য মায়ের দুধের গুরুত্ব, জনসচেতনতা বৃদ্ধি এবং মায়ের দুধের বিকল্প দুগ্ধ ব্যাবহারের আইন’ বিষয়ক সংবাদ সম্মেলনে তারা এ কথা জানান।

 

অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন বাংলাদেশ নিওনেটাল ফোরামের মহাসচিব অধ্যাপক ডা. মো. মজিবুর রহমান, ফোরামের উপদেষ্টা অধ্যাপক সুফিয়া খাতুন, বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের নবজাতক বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. মো. আব্দুল মান্নান, নিওনেটাল ফোরামের সাবেক সভাপতি অধ্যাপক ডা. মনির হোসেন প্রমুখ।  

বিশেষজ্ঞরা জানান, এক শ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী ও চিকিৎসক কৌটা দুধের বাণিজ্যের সঙ্গে জড়িত থাকার কারণে তারা এসব দুধ নবজাতককে খাওয়ানোর জন্য প্ররোচিত করে। ফলে নবজাতককে বুকের দুধ খাওয়ানো হার ক্রমেই নিম্নমুখী। অথচ জন্মের এক ঘণ্টার মধ্যে নবজাতককে বুকের দুধ দেওয়া হলে মৃত্যুহার কমানো সম্ভব। এতে নানা রোগে আক্রান্ত হওয়ার হারও অনেকটা কমানো সম্ভব।  

তারা আরও জানান, মায়ের বুকের দুধ পান করলে শিশুর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পাওয়ার পাশাপাশি তাদের মস্তিষ্কের গঠন উন্নত হয়। ফলে ওসব শিশু অন্য শিশুদের চেয়ে আটগুণ বেশি মেধাবী হিসেবে গড়ে উঠে। তাই মেধাবী জাতি গড়ে তুলতে শতভাগ শিশুকে মায়ের দুধ খাওয়ানোর ওপর গুরুত্ব দিতে হবে।  

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, গত এক দশক ধরে নবজাতককে মায়ের দুগ্ধ পান করানোর হার আশঙ্কাজনকভাবে কমে গেছে। এর কারণ হিসেবে শিশুর পরিবারের অসচেতনতা ও কৌটা দুধ ব্যবসায়ীদের প্রভাব অনেকাংশে দায়ী। তাছাড়া মাতৃদুগ্ধ পান বিষয়ে আইন না জানার কারণে নবজাতককে তা পান করানোর প্রবণতা কমেছে। এতে শিশুর অপুষ্টি, রোগ ও অকাল মৃত্যুর ঝুঁকি বাড়ছে।  

অনুষ্ঠানে বলা হয়, বাংলাদেশে মাত্র শতকরা ৪০ জন নবজাতককে বুকের দুধ খাওয়ানো হচ্ছে। অনেক সময় শিশুর জন্য কৌটা দুধ বানানোর সময় জীবাণু সংক্রমণ ঘটছে, যাতে আক্রান্ত হচ্ছে শিশুরা। এতে তারা মারাত্মক রোগে সংক্রমিত হচ্ছে। পরিবারেরও কৌটা কেনা ও চিকিৎসায় বাড়তি ব্যয় হচ্ছে। এছাড়া অনেক নবজাতক জন্ম দেওয়ার সময় মায়ের মৃত্যু হচ্ছে। এসব শিশুকে মায়ের দুধ খাওয়ানোর জন্য মিল্ক ব্যাংক চালুর চেষ্টা করা হলেও তা আলোর মুখ দেখছে না।  

এক্ষেত্রে শরীয়া আইন অনুযায়ী পর্যাপ্ত তথ্য রেখে মিল্ক ব্যাংক প্রতিষ্ঠার ওপর গুরুত্বারোপ করেন তারা।  

ডিএইচবি/এইচএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।