ঢাকা, শনিবার, ৮ ভাদ্র ১৪৩২, ২৩ আগস্ট ২০২৫, ২৮ সফর ১৪৪৭

স্বাস্থ্য

উচ্চ রক্তচাপের মতো সমস্যায় কিডনির ওপর বাড়ে বাড়তি চাপ

স্বাস্থ্য ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৭:৫৭, আগস্ট ২৩, ২০২৫
উচ্চ রক্তচাপের মতো সমস্যায় কিডনির ওপর বাড়ে বাড়তি চাপ

মানবদেহের জন্য কিডনি একটি অপরিহার্য অঙ্গ। রক্ত থেকে বর্জ্য পদার্থ বের করে শরীরকে সুস্থ রাখে এ অঙ্গ।

কিন্তু অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন, অস্বাস্থ্যকর খাবার, ডায়াবেটিস বা উচ্চ রক্তচাপের মতো সমস্যায় কিডনির ওপর বাড়ে বাড়তি চাপ। ধীরে ধীরে দেখা দেয় জটিলতা। অথচ ঘরোয়া কিছু নিয়ম মেনে চললেই কিডনি রাখা যায় সুস্থ ও কর্মক্ষম।

পর্যাপ্ত পানি পান
প্রতিদিন অন্তত ৮-১০ গ্লাস পানি পান করুন। এতে শরীরের টক্সিন সহজে বের হয়ে যায় এবং কিডনির ওপর চাপ কমে। গরমের দিনে অবশ্যই বাড়তি পানি খাওয়া উচিত।

ফল ও সবজি খান
শাকসবজি ও ফলের মধ্যে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট কিডনিকে সুরক্ষা দেয়। লাউ, শসা, পেঁপে, আপেল, আঙুর, তরমুজ কিডনির জন্য বিশেষ উপকারী।

লবণ ও ঝাল কমান
অতিরিক্ত লবণ, তেল ও ঝালযুক্ত খাবার কিডনির ক্ষতি করে। লবণ কম খেলে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে, ফলে কিডনি থাকে ভালো।

ভেষজ উপকারিতা
ধনেপাতা/পার্সলে চা: পানিতে ফুটিয়ে খেলে কিডনি পরিশোধন সহজ হয়।

লেবুর পানি: ইউরিক অ্যাসিড কমিয়ে কিডনির ওপর চাপ হ্রাস করে।

ডাবের পানি: প্রাকৃতিক ইলেকট্রোলাইটসমৃদ্ধ হওয়ায় কিডনিকে সতেজ রাখে।

নিয়মিত ব্যায়াম
হাঁটা, যোগব্যায়াম বা সাইক্লিং করলে রক্তসঞ্চালন বাড়ে, কিডনির কার্যকারিতাও স্বাভাবিক থাকে।

যেগুলো এড়িয়ে চলবেন
ধূমপান, অ্যালকোহল, অতিরিক্ত ব্যথানাশক ওষুধ কিংবা অ্যান্টিবায়োটিক কিডনির ক্ষতি করতে পারে। তাই এগুলো থেকে দূরে থাকা জরুরি।

মনে রাখবেন, ডায়াবেটিস ও উচ্চ রক্তচাপের রোগীদের নিয়মিত কিডনি ফাংশন টেস্ট করা দরকার। কারণ প্রাথমিক পর্যায়ে কিডনি সমস্যার কোনো লক্ষণ বোঝা যায় না।

জীবনযাপনে সামান্য পরিবর্তন, স্বাস্থ্যকর খাবার ও ঘরোয়া কিছু উপায়ে কিডনি দীর্ঘদিন সুস্থ রাখা সম্ভব। তবে কোনো সমস্যা দেখা দিলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।

এমজে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।