ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

স্বাস্থ্য

নীতিমালা মেনেই নতুন চিকিৎসকদের পদায়ন

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০২৬ ঘণ্টা, আগস্ট ২৯, ২০১৪
নীতিমালা মেনেই নতুন চিকিৎসকদের পদায়ন ছবি :প্রতীকী

ঢাকা: নতুন নিয়োগপ্রাপ্ত চিকিৎসকদের উপজেলা পর্যায়ে পদায়নের সময় কিছু সংখ্যক চিকিৎসককে ওএসডি হিসাবে দেখানো নিয়ে যে ভুল বোঝাবুঝির সৃষ্টি হয়েছে তা ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়।

শুক্রবার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য কর্মকর্তা পরীক্ষিৎ চৌধুরীর পাঠানো এক বিবৃতিতে এ দাবি করা হয়।



বিবৃতিতে বলা হয়, সুনির্দিষ্ট নীতিমালা মেনেই নতুন চিকিৎসকদের পদায়ন  হয়েছে। এক্ষেত্রে কোনো অনিয়ম করা হয়নি।

৩৩তম বিসিএস থেকে সম্প্রতি ছয় হাজার ৮৯ জন চিকিৎসককে নিয়োগ দেয় সরকার। তাদেরকে ওএসডি হিসেবে দেখানো হয়েছে।

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ওএসডিসহ নতুন এই ছয় হাজার ৮৯ চিকিৎসককে আগামী দু’বছর বাধ্যতামূলক তাদের বর্তমান কর্মস্থলে থেকেই সাধারণ মানুষকে চিকিৎসা সেবা দিতে হবে।

দু’বছরের আগে নিজ কর্মস্থল থেকে তারা বদলি হতে পারবেন না। এক্ষেত্রে কোনো সুপারিশও গ্রহণযোগ্য হবে না। ওএসডিপ্রাপ্ত চিকিৎসকরাও উপজেলা এবং ইউনিয়ন পর্যায়ে নিজ নিজ কর্মস্থলে দায়িত্ব পালন করে মানুষকে চিকিৎসা সেবা দেবেন।

বর্তমানে দেশে চিকিৎসকদের জন্য ২৫ হাজার পদ রয়েছে উল্লেখ করে বিবৃতিতে বলা হয়, মোট সংখ্যার শতকরা ১০ ভাগ চিকিৎসককে ওএসডি হিসেবে দেখানো যায়। এক্ষেত্রে বর্তমান মোট সংখ্যার অনুপাতে দুই হাজার ৫০০ চিকিৎসককে ওএসডি হিসেবে দেখাতে পারবে স্বাস্থ্য অধিদফতর।

কিন্তু অধিদফতর মাত্র এক হাজার ৬৪৭ জন চিকিৎসককে ওএসডি হিসেবে দেখিয়েছে। ওএসডি প্রাপ্ত এসব চিকিৎসকের কেউ স্বাস্থ্য অধিদফতরে কাজ করবেন না। তাদের কর্মস্থল হবে উপজেলা ও ইউনিয়নে।

উপজেলাসহ সব পর্যায়ে চিকিৎসকদের জন্য নতুন পদ সৃষ্টি করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে জানিয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানায়, উপজেলা পর্যায়ে চিকিৎসকদের জন্য পর্যাপ্ত পদ না থাকার অর্থ এই নয় যে, দেশে চিকিৎসকদের সংখ্যা বেশি হয়ে গেছে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সুপারিশ তুলে ধরে বিবৃতিতে বলা হয়, বাংলাদেশে ৬৫ হাজার চিকিৎসক থাকা দরকার। কিন্তু বর্তমানে রয়েছে মাত্র ২২ হাজার চিকিৎসক।

এদিকে দেশে সরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিক ও স্বাস্থ্যকেন্দ্রের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। পুরনো সংখ্যক চিকিৎসক, নার্স ও প্যারামেডিক দিয়েই সব কিছু সামাল দেওয়া হচ্ছে। প্রতিটি উপজেলায় শয্যা সংখ্যা বাড়িয়ে ৩১ থেকে ৫০ করা হচ্ছে। জেলা হাসপাতালেও রোগী শয্যার সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে। তাই নতুন নিয়োগপ্রাপ্ত চিকিৎসকদের সকলকেই গ্রামে থেকে সেবা দিতেই হবে।

নবনিযুক্ত চিকিৎসকসহ সব চিকিৎসক কর্মস্থলে থেকে নিয়মিত রোগীদের সেবা দিচ্ছেন কিনা তা মনিটরিং করতে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব আইয়ুবুর রহমানকে প্রধান করে ৭ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।

কমিটিতে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের উর্ধতন ছয় কর্মকর্তাকে রাখা হয়েছে বলেও ওই বিবৃতিতে জানানো হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ২০২৬ ঘণ্টা, আগস্ট ২৯, ২০১৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।