ঢাকা, বুধবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

স্বাস্থ্য

কিডনি রোগ ভয়াবহ কিন্তু প্রতিরোধযোগ্য

প্রফেসর এম এ সামাদ, অতিথি লেখক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১০৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ১২, ২০১৪
কিডনি রোগ ভয়াবহ কিন্তু প্রতিরোধযোগ্য

কিডনি মানুষের শরীরের একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ এটা সবারই জানা। ব্যক্তির শরীরে প্রতিনিয়ত বিভিন্ন রাসায়নিক ক্রিয়া-বিক্রিয়ার ফলে যে বিষাক্ত পদার্থ জমা হয়ে তাকে, সেগুলোকে প্রস্রাবের আকারে শরীর থেকে বের করে দেওয়াই কিডনির প্রধান কাজ।

এছাড়াও কিডনি লোহিত কণিকা তৈরিতেও ভূমিকা রাখে।

শরীরে যতো হাড় আছে, সেগুলোকে মজবুত করাও কিডনির একটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ। রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করা, রক্তের মধ্যে বর্তমান বিভিন্ন লবনের ভারসাম্য রক্ষা করা, শরীরের বিভিন্ন এসিড এবং ক্ষারের ভারসাম্য আনয়ন- এ সবই অসামান্য দক্ষতার সঙ্গে পালন করে চলেছে দুই কিডনি।

কিডনি কী কারণে অসুস্থ হয়?
বিভিন্ন কারণে আমাদের কিডনি অসুস্থ হতে পারে।
যেমন-
* কিডনি ফেইলর বা কিডনি বিকল
* ধীরগতির কিডনি বিকল
* কিডনিতে ইনফেকশন বা প্রস্রাবের ইনফেকশন
* উচ্চ রক্তচাপজনিত কিডনি রোগ
* ডায়াবেটিসজনিত কিডনি রোগ
* পাথরজনিত কিডনি রোগ
* প্রস্রাবে বাধাজনিত কারণে কিডনি রোগ ইত্যাদি।

ধীরগতির কিডনি রোগ
এখন ধীরগতির কিডনি রোগ নিয়ে কিছু কথা বলা প্রয়োজন। যদি কিডনি কোনো কারণে রোগ দ্বারা আক্রান্ত হয়, তবে ধীরে তার ক্ষয় চলতে থাকে। ক্রমান্বয়ে ক্ষতির এই প্রক্রিয়া যদি টানা দুই বা ততোধিক মাস ধরে চলতে থাকে, তাহলেই ক্রনিক কিডনি ডিজিজ বা ধীর গতির কিডনি রোগ দেখা দিতে পারে।   এতে ধীরগতিতে কিডনির কার্যকারীতা ব্যাহত হয়, এমনকি কিডনির মূল গঠনও আস্তে আস্তে ক্ষয় হতে থাকে।

প্রশ্ন হলো, কীভাবে কিডনির এই ক্ষয় রোধ করা যায়। আসলে, কিডনি রোগ হলো নীরব ঘাতক বা সাইলেন্ট কিলার। এর মানে হচ্ছে, যতোক্ষণ পর্যন্ত না কিডনির ৭০ থেকে ৮০ ভাগ (শতকরা) নষ্ট না হচ্ছে, ততোক্ষণ পর্যন্ত শরীরে বিশেষ কোনো ধরণের উপস্বর্গ দেখা যায় না। অতি সঙ্গোপনে, আস্তে আস্তে চলতে থাকে কিডনির সর্বনাশ। কিন্তু যখন, শেষমেষ উপসর্গ দেখা দেয়, তখন এটা প্রতিরোধ করার আর কোনো উপায় থাকে না।

কিডনি ফেইলর প্রতিরোধ করতে হলে কী করবেন?
মূলত, কিডনি রোগের ঝুঁকির মধ্যে যারা আছেন, তাদের খুঁজে বের করে পরীক্ষা করে দেখতে হবে, তাদের কিডনি সুস্থ আছে কি না।

যারা এই রোগের ঝুঁকির মধ্যে বসবাস করেন তারা হলেন-
১.    যাদের ডায়াবেটিস রয়েছে
২.    যাদের উচ্চ রক্তচাপ রয়েছে
৩.    যাদের কখনো নেফ্রাইটিস বা কিডনি ইনফেকশন হয়েছে
৪.    যাদের কিডনিতে কখনো পাথরজনিত রোগ হয়েছে
৫.    যাদের প্রস্রাবে কখনো বাধাজনিত রোগ হয়েছে
৬.    যারা কোনো কারণে দীর্ঘদিন বেদনা নাশক ঔষধ খেয়েছেন, বা কোনো ধরণের অ্যান্টিবায়োটিক খেয়েছেন
৭.    শিশুকালে যাদের কিডনি রোগ হয়েছে এবং
৮.    যাদের বংশে ডায়াবেটিকস, উচ্চরক্তচাপ এবং কিডনি রোগের পূর্ব ইতিহাস আছে।

এরা সবাই ঝুঁকিপূর্ণ রোগী। এদের খুঁজে বের করাই প্রথম ও প্রধান কাজ। বছরে অন্তত দুইবার পরীক্ষা করে দেখতে হবে, ত‍াদের কিডনির কার্যকারিতা ঠিক আছে কি না। প্রাথমিক অবস্থায় তারা কিডনি রোগে আক্রান্ত আছেন কি না, তাও পরীক্ষা করা জরুরি। এছাড়া, যাদের বয়স পঞ্চাশের উপরে, বছরে অন্তত একবার তাদের পরীক্ষা করে কিডনির অবস্থা দেখে নেওয়া উচিত।  

কী কী পরীক্ষা করতে হবে?
কোনো ব্যক্তি কিডনি রোগে আক্রান্ত হয়েছেন কিনা, কিছু পরীক্ষার মাধ্যমে আমরা তা শনাক্ত করতে পারি। যে কোনো ল্যাবরেটরিতেই এই পরীক্ষাগুলো করানো সম্ভব। সাধারণত, তিনটি জিনিস পরীক্ষা করতে হয়-

* প্রস্রাবের পরীক্ষা
প্রস্রাবের মাধ্যমে কোনো প্রোটিন বা এলবুমিন যাচ্ছে কি না- এটা পরীক্ষা করে দেখা হয়। যদি বেশি পরিমাণে প্রোটিন না যায়, তবে দেখতে হবে স্বল্প পরিমাণে তা যাচ্ছে কি না- একে বলে মাইক্রো অ্যালবুমিন। মাইক্রো অ্যালবুমিন আজকাল উন্নত ল্যাবরেটরিতে পরীক্ষা করে দেখা যায়। এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। যখন থেকে মাইক্রো অ্যালবুমিন যাওয়া শুরু হয়েছে, ঠিক সেই সময় থেকে যদি চিকিৎসা করা যায়, তবে কিডনি রোগ সম্পূর্ণ নিরাময় হয় এবং কিডনি বিকল থেকে রক্ষা পাওয়া সম্ভব হয়। এই জন্যেই মাইক্রো অ্যালবুমিনকে বলা হয়, কিডনি রোগের অশনি সংকেত। উচ্চ রক্ত চাপের বিভিন্ন ওষুধের মাধ্যমে মাইক্রো অ্যালবুমিন ইউরিয়া বা প্রস্রাবে মাইক্রো অ্যালবুমিন যাওয়া রোগের চিকিৎসা করা যায়।

* রক্তের পরীক্ষা
রক্তের একটা উপাদান হলো ক্রিয়েটিনিন। রক্তে ক্রিয়েটিনন’র পরিমাণ, রোগীর উচ্চতা, বয়স ও ওজন- এই কয়টি হিসাব থেকে একটি সমীকরণের মাধ্যমে কিডনি রোগের বিভিন্ন পর্যায় ভাগ করা যায়। ১০০ ভাগের মধ্যে কিডনি কতো ভাগ কাজ করছে, তার উপর ভিত্তি করে কিডনি রোগীদেরকে পাঁচটি পর্যায়ে বা স্টেজ-এ ভাগ করা যায়।
১ম পর্যায়: যাদের কিডনি কার্যকারিতা ৯০ ভাগ-এর উপরে।
২য় পর্যায়: কিডনির কার্যকারিতা ৬০-৮৯ ভাগ।
৩য় পর্যায়: ৩০-৫৯ ভাগ।
৪র্থ পর্যায়: ১৫-২৯ ভাগ।
৫ম পর্যায়: যাদের কিডনির কার্যকারিতা ১৫ ভাগের নিচে।

যারা এই পঞ্চম পর্যায়ের রোগী, অর্থাৎ যাদের কিডনির কার্যকারিতা ১৫ ভাগের নিচে, তাদের ক্ষেত্রে একমাত্র ডায়ালাইসিস বা কিডনি প্রতিস্থাপন ছাড়া আর কোনো গতান্তর নেই। এইজন্যেই, রক্তের ক্রিয়েটিনিন থেকে এই পরীক্ষার মাধ্যমে রোগী কোন পর্যায়ে আছে তা বের করে সেই অনুযায়ী চিকিৎসা করালে কিডনি বিকল প্রতিরোধ করা যেতে পারে। প্রথম, দ্বিতীয় বা তৃতীয় পর্যায়ের রোগীরাও চিকিৎসার ফলে পুরোপুরি সুস্থ হয়ে উঠতে পারেন। ৪র্থ পর্যায়ের রোগীদের পুরোপুরি নিরাময় না করা গেলেও, কিডনি বিকল হয়ে যাওয়াকে বিলম্বিত করা সম্ভব হয়। কাজেই, এই পরীক্ষাগুলো রোগ শনাক্ত করে তা প্রতিরোধ করতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

* অন্যান্য পরীক্ষা
কিডনিতে পাথর বা প্রস্রাবে বাধাজনিত রোগ থেকে থাকলে তা শনাক্ত করার জন্যে আলট্রসনোগ্রাফি করা হয়ে থাকে।

কিডনি রোগের প্রতিকার
যাদের কিডনিতে কোনো না কোনো সমস্যা রয়েছে অথবা যারা ঝুঁকির মধ্যে রয়েছেন, তাদের রোগমুক্তির জন্য কয়েকটি ব্যবস্থা রয়েছে।

যাদের উচ্চরক্তচাপ, ডায়াবেটিস, নেফ্রাইটিস আছে- তাদের কিডনি রোগের সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি। আমাদের দেশে শতকরা ৮০ ভাগ কিডনি এই তিন কারণে নষ্ট হয়ে থাকে। এই তিনটি রোগ নিয়ন্ত্রণ করতে পারলেই শতকরা ৮০ ভাগ কিডনি রোগ নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব।

এছাড়া, যাদের ঘনঘন কিডনিতে ইনফেকশন হয়, যাদের পাথরজনিত রোগ আছে, যাদের কিডনিতে বাধাজনিত রোগ আছে, তাদের অতি সহজেই চিকিৎসার মাধ্যমে নিরাময় সম্ভব। একটু সতর্কতাই কিডনি ফেইলর থেকে মুক্তি এনে দিতে পারে।

* ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখুন
রোগীদের প্রতি একনিষ্ঠ পরামর্শ হচ্ছে, যাদের ডায়াবেটিস রয়েছে, তারা তা নিয়ন্ত্রণের মধ্যে রাখুন। ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখুন, অতি-ওজন শরীরের জন্যে ক্ষতিকর। রক্তচাপই বলুন বা ডায়াবেটিস- সবই শুরু হয় বেশি ওজন থেকে। এছাড়া কোলেস্টেরল বেড়ে গিয়ে হৃদপিণ্ড এবং রক্তনালীর রোগ হতে পারে। শতকরা ৩০ ভাগের বেশি কিডনি রোগ হয় ওজন বৃদ্ধিজনিত কারণে।

* উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখুন
যাদের উচ্চ রক্তচাপ রয়েছে, তারা তা নিয়ন্ত্রণের মধ্যে রাখবেন। উচ্চরক্তচাপ এবং প্রস্রাবে মাইক্রোঅ্যালবুমিন- এই দুই যাদের রয়েছে, তারা Angiotension Converting Enzyme  Inhibitor/ ACE Inhibitor জাতীয় ওষুধ সেবনের মাধ্যমে উপকার পাবেন। এই ধরনের ওষুধ বাংলাদেশে অত্যন্ত সহজলভ্য। এই ওষুধ সেবনের ফলে রোগীর প্রস্রাবে মাইক্রো-অ্যালবুমিনের মাত্রা কমে যায়, ফলে কিডনি ফেইলুর রোধ করা যায়।

* কোলেস্টেরল কমান
এবারে বলি কোলেস্টেরলের কথা। যাদের রক্তে কোলেস্টেরল এবং এর অন্যান্য প্রকার, যেমন ট্রাইগ্লিসারাইড, এলডিএল বেশি থাকে, সেসব ক্ষেত্রে এগুলো নিয়ন্ত্রণের মধ্যে রাখতে খাদ্যাভাস পরিবর্তনের বিকল্প নেই। চর্বিজাতীয় খাবার বর্জন সর্বোত্তম; মাছের চর্বি খাওয়া যেতে পারে, এতে কোনো অসুবিধে নেই, কিন্তু চিংড়ি মাছের মাথা এবং মাছের মগজ না খাওয়াই ভালো।

* নিয়মিত ব্যায়াম
কিডনি ভালো রাখার আরো একটা ভালো উপায় হলো নিয়মিত ব্যায়াম। নিয়মিত ব্যায়ামে কোলেস্টরল যেমন নিয়ন্ত্রণে আসে, ডায়াবেটিস এবং উচ্চ রক্তচাপও নিয়ন্ত্রণ হয়। যত্র-তত্র অল্প দূরত্বের জন্যে রিকশা বা গাড়িতে না চড়ে হাঁটার অভ্যাস এইসব ক্ষেত্রে অত্যন্ত ফলপ্রসূ। একটি পরীক্ষায় দেখা গেছে, জাপানে যারা সুউচ্চ পাহাড়ি এলাকায় বসবাস করে, তারা সবচেয়ে দীর্ঘায়ু, কেননা তারা বেশি হাঁটেন।

* ধূমপান পরিহার করুন
বাকি রইলো ধূমপান। ধূমপান পরিহার করতেই হবে। ধূমপান একদিকে যেমন ক্ষতি করে কিডনির, অন্যদিকে রক্ত চাপ বাড়িয়ে দেয়, ডায়াবেটিস অনিয়ন্ত্রিত করে তোলে, ব্রেইনের কার্যকারিতা নষ্ট করে, মানুষের জীবনী শক্তি কমিয়ে দেয় এবং ক্যান্সার সৃষ্টি করে।

* কিডনি রোগের চালচিত্র
কিডনি রোগ ব্যাপক ভয়াবহ কিন্তু প্রতিরোধযোগ্য। মাত্র কিছুদিন আগে চলে গেলো ওয়ার্ল্ড কিডনি ডে বা বিশ্ব কিডনি দিবস। এ বছর এই দিবস সারা পৃথিবীজুড়ে আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। কারণ আর কিছুই নয়, কিডনি রোগী সংখ্যার ব্যাপক বৃদ্ধি। শুধুমাত্র ধীরগতির কিডনি রোগ বা ক্রনিক কিডনি রোগে ভুগছে প্রায় ৫০ কোটি লোক। সমস্ত বিশ্বে প্রতি ১০ জনে ১ জন ক্রনিক কিডনি রোগী। আমাদের দেশে এক সমীক্ষায় দেখা গেছে, প্রায় দুই কোটি লোক কোনো না কোনো কিডনি রোগে ভুগছে। প্রতি ঘণ্টায় ৫ জন করে ব্যাক্তি মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ছে কেবল কিডনি ফেইলরের শিকার হয়ে। এ দেশে কিডনি রোগে আক্রান্ত প্রায় ৩৫ লাখ শিশু। কিডনি রোগের চিকিৎসা এতই ব্যয়বহুল, শতকরা পাঁচভাগ লোকেরও সামর্থ নেই চিকিৎসা চালিয়ে নেওয়ার। সেজন্যে আজ বিশ্বজুড়ে যে শ্লোগান, তা হলো কিডনি রোগ প্রতিরোধ করতে হবে, চিকিৎসার চেয়ে প্রতিরোধই উত্তম এবং একমাত্র উপায়।

কেনো কিডনি রোগ ভয়াবহ- এ প্রসঙ্গে আরো দু’একটি কথা বলতে হয়। আমরা কিডনি রোগীদের ৫টি পর্যায়ে ভাগ করি। যারা ১ম থেকে ৩য় পর্যায়ের মধ্যে থাকেন, তারা জানেনই না যে তাদের কিডনি রোগ হয়েছে। কিন্তু এই স্বল্পমাত্রার কিডনি রোগের জন্যে তাদের হার্ট ফেইলুর হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি। অর্থাৎ কিডনি রোগের কারণে হতে পারে হার্ট অ্যাটাক। এ জন্যেই কিডনি রোগকে বলে ডিজিজ মাল্টিপ্লায়ার বা রোগের গুণিতক। এর মানে হলো, কিডনি রোগ, অন্যান্য রোগকে নিমন্ত্রণ করে আনে।
   
বিভিন্ন সমীক্ষায় দেখা গেছে, যাদের স্বল্পমাত্রায় ধীরগতির কিডনি রোগ চুপিসারে আক্রমণ করে বসে আছে, তাদের মাঝে হার্ট অ্যাটাকের সম্ভাবনা সাধারণ মানুষের চেয়ে দশ গুণ বেশি। আর যাদের কিডনি ইতোমধ্যেই বিকল হয়ে গেছে, তাদের ক্ষেত্রে এই সম্ভাবনা শতগুণ। যদি কিডনি রোগ প্রতিরোধ করা যায়, তবে হার্ট অ্যাটাকের মতো মারাত্মক রোগের সম্ভাবনাও হ্রাস পায়। স্বল্প মাত্রায় হলেও, কিডনি রোগের চিকিৎসা করানো খুবই জরুরী। আমাদের দেশে এই রোগ প্রতিরোধের লক্ষ্যে একনিষ্ঠভাবে কাজ করে চলেছে কিছু সংগঠন, তাদের মধ্যে অন্যতম হলো ‘কিডনি অ্যাওয়ারনেস মনিটরিং অ্যান্ড প্রিভেনশন সোসাইটি’ বা “KAMPS”।

 “KAMPS”-এর বর্তমান অফিস হচ্ছে, ঢাকার বড় মগবাজার রাশমনো হাসপাতাল সংলগ্ন, টেলিফোন নম্বর ৮৩৫৮৬২২। কারো কিডনি রোগ থাকলে, তা অত্যন্ত স্বল্পমূল্যে বের করে দেওয়ার জন্যও কাজ করে চলেছে সংস্থাটি। কিডনিরোগ আছে কিনা, তা শনাক্ত করার পাশাপাশি বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা পেতে পারেন KAMPS থেকে।


প্রফেসর এম এ সামাদ



বাংলাদেশ সময়: ১১০৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ১২, ২০১৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।