ঢাকা, বুধবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

স্বাস্থ্য

আরওপিজনিত অন্ধত্বের হার বাড়ছে বাংলাদেশে

নিউজ ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৫৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ১০, ২০১৪
আরওপিজনিত অন্ধত্বের হার বাড়ছে বাংলাদেশে

ঢাকা: রেটিনোপ্যাথি অব প্রিম্যাচুরিটি (আরওপি), অর্থাৎ অপরিণত নবজাতকের রেটিনা রক্তনালীর অস্বাভাবিকতাজনিত অন্ধত্বের হার বাড়ছে বাংলাদেশে।

সোমবার (১০ নভেম্বর) ঢাকায় ইস্পাহানি ইসলামিয়া চক্ষু ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে অনুষ্ঠিত আরওপি-বিষয়ক এক সেমিনারে এমন তথ্য জানান বিশেষজ্ঞরা।



বাংলাদেশ সরকারের ন্যাশনাল আই কেয়ার, অরবিস ইন্টারন্যাশনাল, বাংলাদেশ নিওনেটাল ফোরাম এবং ইস্পাহানি ইসলামিয়া চক্ষু ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল যৌথভাবে এ সেমিনারের আয়োজন করে।

বিশেষজ্ঞরা জানান, বাংলাদেশে আরওপি একটি বড় স্বাস্থ্য সমস্যা হিসেবে আবির্ভূত হচ্ছে।

এশিয়া-প্যাসিফিক একাডেমি অব অফথালমোলজির প্রেসিডেন্ট রাজবর্ধন আজাদ এ অঞ্চলে অপরিণত নবজাতকের দৃষ্টি সমস্যা পরিস্থিতি নিয়ে সেমিনারে বক্তব্য রাখেন।

ইউনিভার্সিটি অব ইন্দোনেশিয়ার শিশুচক্ষু বিভাগের প্রধান অধ্যাপক রিটা এস সিটোরাস এবং একই বিশ্ববিদ্যালয়ের নবজাতক অধ্যাপক রিসমা কাবান দেশটির আরওপি পরিস্থিতি নিয়ে অভিজ্ঞতা বিনিময় করেন।

ন্যাশনাল আইকেয়ারের লাইন ডিরেক্টর এবং জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইন্সটিটিউট ও হাসপাতালের পরিচালক অধ্যাপক জালাল আহমেদ সেমিনারের প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন।

বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন অরবিস এশিয়ার রিজিওনাল প্রোগ্রাম ডিরেক্টর এবং ইন্টারন্যাশনাল এজেন্সি ফর দ্যা প্রিভেন্সন অব ব্লাইন্ডনেসের (আইএপিবি) দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের কোচেয়ার ডা. আবু রায়হান এবং বাংলাদেশ নিওনেটাল ফোরামের প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক হোসনে আরা বেগম।

সেমিনারের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ইস্পাহানি ইসলামিয়া চক্ষু ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ডা. মাইকেল হল এবং স্বাগত বক্তব্য রাখেন অরবিস ইন্টারন্যাশনালের বাংলাদেশ কান্ট্রি ডিরেক্টর ডা. মুনীর আহমেদ।

অধ্যাপক জালাল বলেন, বাংলাদেশে অনেক ক্ষেত্রে আরওপি  নির্ণীত হয় না। আবার নির্ণীত হলেও এতো দেরিতে হয় যে, তখন আর চিকিত্সার সময় থাকেনা।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল দেশগুলোতে আরওপির হার বাড়ছে এবং সেই সঙ্গে বাড়ছে এ থেকে সৃষ্ট অন্ধত্ব।

ডা. মুনির বলেন, বাংলাদেশে আরওপি মোকাবেলায় অরবিস একটি সমন্বিত কৌশল গ্রহণ করেছে। এটি মোকাবেলায় অরবিসের উদ্যোগে একটি কমিটিও গঠিত হয়েছে।

ডা. আবু রায়হান বাংলাদেশে অরবিসের ইতিহাস ও কার্যক্রমের ওপর আলোকপাত করেন।

অধিবেশনে অংশগ্রহণকারী বিশেষজ্ঞরা জানান, আরওপির কারণে নবজাতকের রেটিনায় রক্তক্ষরণ ও ক্ষত সৃষ্টি হয়, যা পরিণামে অন্ধত্ব ডেকে আনে। বিশেষজ্ঞরা আরওপি মোকাবেলায় একটি সমন্বিত জনস্বাস্থ্য দৃষ্টিভঙ্গি এবং পরীক্ষা ও নির্ণয়ের উদ্যোগ গ্রহণ, এ সম্পর্কিত মান ও নীতি প্রণয়ন এবং চক্ষু বিশেষজ্ঞ, নবজাতক বিশেষজ্ঞ, শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ ও নার্সসহ সংশ্লিষ্টদের মধ্যে একটি কৌশলগত জোট গঠনের পরামর্শ দেন।

তারা এ সমস্যা প্রতিরোধের ওপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, নবজাতকের নিবিড় পর্যবেক্ষণ সেবা জোরদারের মাধ্যমে এটি সম্ভব।

বাংলাদেশ সময়: ১৩৫৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ১০, ২০১৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।