ঢাকা: গ্রীষ্মের মজাদার ও উপকারী ফল তরমুজ। দেখতেও আকর্ষণীয় বটে।
আর যারা ‘বিরক্তিকর’ মনে করে তরমুজের বিচি ফেলে দিয়ে খান তাদের তারা এবার একটু ভিমরি খেতে পারেন। কারণ ‘বিরক্তিকর’ বিচিই কমাতে পারে আপনার কোলেস্টেরল, হৃদরোগের ঝুঁকিসহ অনেক রোগ-অসুখ থেকে।
ছেলেবেলায় অনেকেরই ধারণা থাকে, যদি তরমুজের বিচি পেটে চলে যায় তাহলে বুঝি পেটের ভেতরই গাছ গজাবে। আর সেই ভয়েই অনেক শিশু যথাসম্ভব বিচি এড়িয়ে তরমুজ খায়!
তরমুজের বিচিতে রয়েছে যথেষ্ট পুষ্টি উপাদান। খাওয়ার উপযোগী তো বটেই, বরং ১/৮ কাপ তরমুজের বিচিতে রয়েছে ১০ গ্রাম প্রোটিন। আরও রয়েছে ফ্যাটি অ্যাসিড, থিয়ামিন, নিয়াসিন, ম্যাগনেসিয়াম, পটাসিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ, লোহা, জিঙ্ক, ফসফরাস ও কপার। এসব ছাড়াও এটি ক্যালরিরও ভালো উৎস। ১০০ গ্রাম তরমুজের বিচিতে রয়েছে ৬০০ গ্রাম কিলোক্যালরি।
এছাড়াও অঙ্কুরিত বীজে রয়েছে আরও উন্নত পুষ্টি উপাদান যা খাবার হজমে সহায়তা করে। এতে রয়েছে প্রোটিন, ভিটামিন বি, ম্যাগনেসিয়াম ও মনোয়ানস্যাচ্যুরেটেড ও পলিয়ানস্যাচ্যুরেটেড ফ্যাট। মনোয়ানস্যাচ্যুরেটেড ও পলিয়ানস্যাচ্যুরেটেড ফ্যাট হলো ভালো উদ্ভিজ্জ ফ্যাট যা রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা কমিয়ে আনে, স্ট্রোক ও হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়। একই সঙ্গে শরীরের বিভিন্ন অংশের জ্বালা-পোড়া দূর করে।
তরমুজের বিচি ডায়বেটিসের ভালো পথ্য। এক লিটার পানিতে এক মুঠো তরমুজের বিচি দিয়ে পঁয়তাল্লিশ মিনিট সিদ্ধ করুন। এরপর ঢাকনাসহ পাত্রে সংরক্ষণ করুন। প্রতিদিন চায়ের মতো করে পান করলে উপকার পাবেন।
বাদামের মতো পুরু তরমুজের বিচি খেতে অনেকটা সূর্যমুখীর বীজের মতোই। সালাদেও সহজেই খেতে পারেন। একইভাবে এর গুঁড়াও খাওয়া যায়।
বাংলাদেশ সময়: ০২১২ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৮, ২০১৫
এএ