ঢাকা: গতকালও জিন্সটা ঠিকঠাক লেগেছিলো। কিন্তু আজ যেন কোমরে লাগছেই না।
অনেকসময় সাময়িকভাবে পেট স্ফীত হয়ে যায়। রাতে ভারী খাবার খাওয়ার পর পরদিন সকালে পেট ভরা ভরা লাগতে পারে। পেটে জমা হতে পারে গ্যাসও। আবার অনেকসময় কোষ্ঠ্যকাঠিন্যও দেখা দেয়। এটাকে বলে স্টোমাক ব্লোটিং। চিন্তার কিছু নেই। কিছু নিয়ম মেনে চললেই মিলবে সমস্যার সমাধান।
পটাশিয়াম সমৃদ্ধ খাদ্য খান
পটাশিয়াম অদ্রবীভূত খাদ্যকে অতি সহজেই হজম করতে সাহায্য করে। ফলে খাবার সহজে হজম হয় ও পেট পরিষ্কার থাকে। কলা, পালং শাক ও নানা ধরনের বাদামে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম থাকে।
প্রতিদিন ফাইবার নিন
প্রতিদিন খাদ্য তালিকায় যাতে ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার থাকে সেদিকে খেয়াল রাখুন। ফাইবার অন্ত্রকে সুস্থ রাখে। তবে কেউ যদি হঠাৎ ফাইবার জাতীয় খাবার খান তাহলে তার শরীরে তাৎক্ষণিক গ্যাস হতে পারে। তবে অভ্যাস হয়ে গেলে আর সমস্যা হবে না।
মুখ বন্ধ রাখুন
খাওয়ার পর চুইংগাম, সিগারেট ও স্ট্র দিয়ে সফট ড্রিঙ্ক খাওয়া ঠিক নয়। এতে মুখ দিয়ে অন্ত্রের ভেতরে বাতাস প্রবেশ করে। ফলে পেটে গ্যাস জমে যায়।
পুদিনার চা
পুদিনার চা গ্যাস প্রশমণ করে পাকস্থলিতে আরাম দেয়। খাওয়ার পর এক কাপ উষ্ণ পুদিনার চা আপনাকে দেবে প্রশান্তি।
তলপেটে ম্যাসাজ
নিশ্বাস বন্ধ করে তলপেট ভেতরের দিকে নিন। দশ সেকেন্ড পর স্বাভাবিক হোন। এভাবে কয়েকবার করুন। এছাড়াও তলপেটে ক্লকওয়াইজ ও অ্যান্টি-ক্লকওয়াইজ ম্যাসাজ করতে পারেন।
খাবার ভালোভাবে চিবান
খাবার খাওয়ার সময় তাড়াহুড়ো করবেন না। আস্তে আস্তে ভালোভাবে খাবার চিবিয়ে খান। ভালোভাবে চিবানোর ফলে সহজেই বিপাক ক্রিয়া হয় বলে পেটে গ্যাস জমতে পারে না।
খাবারে অ্যালার্জি নেইতো!
অনেক সময় কিছু কিছু খাবারে অ্যাল্যার্জি থাকতে পারে। এ জাতীয় খাবার খেলেও পেটে গ্যাস হতে পারে বা পেট ভরা ভরা লাগতে পারে।
অল্প অল্প বারবার
একবারে বেশি খাবেন না। অল্প অল্প বারবার খান। এতে খাওয়ার রুচিও বাড়ে, অন্যদিকে পেটে গ্যাস ও মেদ হওয়ার সম্ভাবনাও কমে যায়।
বাংলাদেশ সময়: ০২৫০ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৩, ২০১৫
এসএম/এমজেএফ