পশ্চিমা দেশগুলোতে সোডা বলেই পরিচিত, বাংলাদেশে নাম কোমল পানীয়। খাবারের সঙ্গে কোমল পানীয়র বেশ চল আছে।
ইউরোপে এক গবেষণায় দেখা গেছে সোডায় অভ্যস্ত যারা তাদের চেয়ে যারা স্রেফ পানি, কফি কিংবা চায়ে অভ্যস্ত তাদের দুই ধরনের ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি ১৪ শতাংশ কম। আর যারা চিনিযুক্ত দুগ্ধজাতীয় পণ্য খেতে পছন্দ করেন তাদের জন্য এই ঝুঁকির মাত্রা আরও বেশি। গবেষণা বলছে যারা দুগ্ধজাতীয় চিনিযুক্ত পানীয় দিনে একবার পান করেন তাদের ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হওয়ার ঝুকি ২০ থেকে ২৫ শতাংশ বেশি।
ব্রিটেনের ওই গবেষণায় ২৫ হাজার ব্রিটিশের (৪০ থেকে ৭৯ বছর বয়সী) খাদ্যাভ্যাসের ওপর ১১ বছরেরও বেশি সময় পর্যবেক্ষণ করে এসব তথ্য জানানো হয়েছে। গবেষকরা এও দেখেছেন যারা ডায়েট সোডা পান করছেন তাদেরও ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কিছু কম নয়।
তবে ডায়াবেটোলোজিয়া নামক জার্নালে প্রকাশিত এই নতুন গবেষণা রিপোর্টে একটি বিষ্ময়কর তথ্য দেওয়া হয়েছে। তাতে বলা হয়েছে ফলের রস কিংবা চা বা কফির সঙ্গে চিনি মিশিয়ে খাওয়ার সঙ্গে ডায়াবেটিসের কোন যোগসাজশ নেই।
গবেষণায় দেখা গেছে দীর্ঘ দিন ধরে সোডায় অভ্যস্ত একজন যখন সেটা ছেড়ে চা ধরলেন তার ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমে গেলো। এতে আরও দেখা গেছে, আগে থেকেই যারা স্বাস্থ্য সচেতন তাদের ডায়াবেটিসের ঝুকি এই কারণেই কম যে, তারা চকোলেট মিল্ক বা চিনিযুক্ত বেভারেজের চেয়ে পানি, কফি কিংবা চা নিতেই পছন্দ করেন।
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা একজন বয়ষ্কের জন্য দিনে ২০০০ ক্যালরি গ্রহণের পরামর্শ দেন। এক্ষেত্রে চিনিযুক্ত খাবার থেকে তাদের ১৩০ ক্যালরি পর্যন্ত নেওয়ার সুযোগ থাকে। কিন্তু একটি ১২ আউন্সের কোকা-কোলা ক্যানে থাকে ১৪০ ক্যালরি, যা প্রয়োজনের চেয়ে বেশি। আর একটি চকোলেট মিল্ক নেওয়া হলে তাতে গড়ে ৬০ ক্যালরি অতিরিক্ত যোগ হয়। এতে ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বাড়তে থাকে।
বাংলাদেশ সময় ০১০৪ ঘণ্টা, মে ০২, ২০১৫
এমএমকে