সিলেট: বাংলাদেশে শিশু মৃত্যুর হার কিছুটা কমলেও মাতৃত্বকালীন মৃত্যুর হার বেড়েছে। আর সারাদেশের তুলনায় মা ও শিশু মৃত্যুর এ হার সবচেয়ে বেশি সিলেটে।
তবে, ২০১৫ সালের মধ্যে মাতৃমৃত্যুর হার কমিয়ে আনার চেষ্টা করছে সরকার। মঙ্গলবার (০৫ মে) আন্তর্জাতিক মিডওয়াইফারি দিবস উপলক্ষে সিলেটে আয়োজিত আলোচনা সভায় বক্তারা এ তথ্য দেন।
সিলেট সদর উপজেলার খাদিম নগরে চারিমার হলরুমে ডিপ্লোমা ইন মিডওয়াইফারি প্রোগ্রামের উদ্যোগে দিনব্যাপী অনুষ্ঠানমালার আয়োজন করা হয়। এর মধ্যে রয়েছে আলোচনা সভা, শোভাযাত্রা, নাটক ও ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প।
আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, সারাবিশ্বে প্রতিবছর ৩ লাখ ৫০ হাজার গর্ভকালীন মা সন্তান জন্মদানের সময় মারা যান। আর বাংলাদেশে প্রতিবছর লাখে ১ হাজার ৯৪ জন মা মারা যান জীবিত বাচ্চা জন্ম দিতে গিয়ে।
সারাদেশে দক্ষ মিডওয়াইফ আছেন ১৮০ জন। কিন্তু দক্ষ মিডওয়াইফের প্রয়োজন ২০ হাজার। যে কারণে সারাদেশে মা ও শিশু মৃত্যুর হার অনেক বেশি।
বক্তারা বলেন, সারাদেশের মধ্যে মা ও শিশুর মৃত্যুর হার সিলেটে সবচেয়ে বেশি। বাংলাদেশে শিশুর মৃত্যুর হার কিছুটা কমলেও মাতৃকালীন মৃত্যুর হার বেড়েছে।
সিএমডিপি’র শাহিদা আক্তারের পরিচালনায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন সিএমডিপি ও এফআইভিডিবির পরিচালক জাহিদ হোসেন।
অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, সিলেট নার্সিং কলেজের নার্সিং ইন্সট্রাক্টর রেনু আরা আক্তার, ডিপ্লোমা মিডওয়াইফ প্রোগ্রামের প্রকল্প সমন্বয়কারী উসাং চৌধুরী, সিলেট সদর উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা সোবহান আলী, ফাইন্যান্স অ্যান্ড অ্যাডমিন কর্মকর্তা আশফাক হোসেন, কোর্স সমন্বয়কারী আজবাহার, ডা. ইশিতা, ফাতেমা-তু-জোহরা, মারুফা আক্তার, ক্লিনিক্যাল প্রিসেপটর সৈয়দা রওশন আরা পারভীন, হোস্টেল সুপার ফরিদা আক্তার প্রমুখ।
এর আগে সকালে কমিউনিটি মিডওয়াইফারি ডিপ্লোমা প্রোগ্রামের উদ্যোগে সদর উপজেলা পরিষদের সামনে থেকে আন্তর্জাতিক মিডওয়াইফারি দিবস উপলক্ষে শোভাযাত্রা বের করা হয়।
শোভাযাত্রাটি উপজেলা সদরের বিভিন্ন সড়ক পদক্ষিণ করে খাদিম নগরে চারিমার হলরুমে সামনে এসে সমাপ্ত হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৩১ ঘণ্টা, মে ০৫, ২০১৫
এনইউ/এএ