কৌষ্ঠকাঠিন্য বা সময়মত পায়খানা না হওয়া, এমন একটি রোগ যাতে অনেকেই ভোগে, কিন্তু এ নিয়ে কথা বলতে কেউ স্বাছন্দ বোধ করে না। জীবনের কোন না কোন পর্যায়ে সবাই কৌষ্ঠকাঠিন্যে ভোগে।
কৌষ্ঠ কাঠিন্য কী
একেকজনের স্বাভাবিক পায়খানা একেকরকম। কেউ কেউ দিনে তিনবার পায়খানা করে আবার কেউ তিন দিনে একবারও পায়খানা করে না। আপনি ক্যেষ্ঠ কাঠিন্যে আক্রান্ত তখনি হবেন যখন নীচের দুই বা ততোধিক বৈশিষ্ট্য ৩ মাসের অধিক আপনার মধ্যে থাকবে।
** পায়খানা হবার সময়ের ২৫ ভাগের বেশি সময় কষ্টসহ চেষ্টা করা।
** বেশির ভাগ সময় ২৫% শক্ত পায়খানা হওয়া।
** ২৫% এর বেশি সময় সম্পূর্ণ পরিষ্কার পায়খানা না হওয়া।
** সপ্তাহে ২বা ২-এর কম বার পায়খানা হওয়া।
কৌষ্ঠকাঠিন্যের কারণ
** কম পরিমান পানি খাওয়া
** খাদ্যে আশযুক্ত খাবার কম খাওয়া
** নিয়মিত খাবারের ব্যত্যয় হওয়া
** শারীরিক পরিশ্রম কম করা
** দুগ্ধজাতীয় খাবার প্রচুর পরিমাণ খাওয়া
** মানসিক অবসাদ
** থাইরয়েডের কার্যক্ষমতা কমে যাওয়া
** হতাশা
** প্রেগনেনসি
** কিছু বিশেষ ঔষধ সেবন
** ব্যথার ঔষধ
** আয়রনজাতীয় ঔষধ
কৌষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধের উপায়
** সুষম খাদ্য খান। খাদ্যে যাতে আশ থাকে সেদিকে নজর দিন যেমন— ফল, শাকসবজি, আশজাতীয় খাবারের উদাহরণ।
** দিনে ১০-১২ গ্লাস পানি খান। কফি ও সফটড্রিংকস খাওয়া থেকে বিরত থাকুন। এতে পায়খানা কঠিন হয়ে যায়। কারো কারো দুগ্ধজতীয় খাবার পরিহার করা উচিত, এতে পায়খানা কঠিন হয়ে যায়।
** নিয়মিত শারীরিক পরিশ্রম ও ব্যায়াম করুন।
** যখন পায়খানার চাপ আসে তখনি পায়খানা করুন।
বাংলাদেশ সময়: ১২৩৫ ঘণ্টা, মে ২০, ২০১৫