ঢাকা: ভোজ্যতেলে ভিটামিন-এ সমৃদ্ধকরণ আইন-২০১৩ এর আলোকে প্রণীত খসড়া বিধিমালার ওপর এক সপ্তাহের মধ্যে লিখিতভাবে মতামত পেশ করবে ভোজ্যতেল রিফাইনারি মালিকরা। এর ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় যাচাই বাছাই শেষে শিল্প মন্ত্রণালয় এ বিধিমালা চূড়ান্ত করবে।
বুধবার (১৭ জুন) শিল্প মন্ত্রণালয়ে এ খসড়া বিধিমালার ওপর একটি কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। কর্মশালায় শিল্পসচিব মো. মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া এনডিসি প্রধান অতিথির বক্তব্য এ কথা জানিয়েছেন।
শিল্পসচিব বলেন, ভিটামিন এ ঘাটতিজনিত রোগ-বালাই প্রতিরোধে সরকার ভোজ্যতেলের পাশাপাশি পর্যায়ক্রমে অন্যান্য খাদ্যপণ্যেও ভিটামিন এ সমৃদ্ধকরণের বিষয়টি সক্রিয়ভাবে বিবেচনা করছে। প্রাথমিকভাবে ভোজ্যতেলের ক্ষেত্রে এটি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।
ভোজ্যতেল রিফাইনারি মালিকদের ওপর অতিরিক্ত বোঝা চাপানো এ কর্মসূচির উদ্দেশ্য নয় বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
একই সঙ্গে আইনানুযায়ী ভোজ্যতেলের জন্য বিএসটিআই নির্ধারিত মানের সঙ্গে অতিরিক্ত হিসেবে ভিটামিন এ সমৃদ্ধ করতে রিফাইনারি মালিকদের প্রতি আহ্বান জানান শিল্পসচিব।
ফর্টিফিকেশন অব এডিবল অয়েল ইন বাংলাদেশ প্রকল্পের পরিচালক ও শিল্প মন্ত্রণালয়ের যুগ্মপ্রধান মো. লুৎফর রহমান তরফদারের সভাপতিত্বে কর্মশালায় খসড়া বিধিমালার বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন প্রকল্পের পরামর্শক মো. ফিরোজ মিয়া।
মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. ফরহাদ উদ্দিন, বিএসটিআই’র মহাপরিচালক ইকরামুল হক, গ্লোবাল অ্যালায়েন্স ফর ইম্প্রুভড নিউট্রেশন’র (গেইন) প্রতিনিধি জাহিদ হোসেন ও ড. দেবাশীষ চন্দ্রসহ শিল্প, খাদ্য, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়, পরিকল্পনা কমিশন, বিএসটিআই, ভোজ্যতেল রিফাইনারিসহ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা আলোচনায় অংশ নেন।
কর্মশালায় বক্তারা বলেন, শিশু ও গর্ভবতী মহিলাদের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় ভোজ্যতেলে ভিটামিন এ সমৃদ্ধকরণ আইন-২০১৩ প্রণয়ন করা হয়েছে। এ আইন প্রয়োগের মাধ্যমে দেশে ভিটামিন এ ঘাটতিজনিত রোগবালাই প্রতিরোধ সম্ভব। তারা দ্রুত এ আইনের বাস্তবায়নে বিধিমালা চূড়ান্ত করার তাগিদ দেন।
এক্ষেত্রে তারা জনস্বার্থে সরকারের প্রতি সহায়তার হাত বাড়িয়ে দেওয়ার আশ্বাস দেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৪৫ ঘণ্টা, জুন ১৭, ২০১৫
ইউএম/আরএম