ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

স্বাস্থ্য

বিএসএমএমইউ’তে অধ্যাপক কাদেরীর স্মরণসভা

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৫১ ঘণ্টা, জুলাই ২৯, ২০১৫
বিএসএমএমইউ’তে অধ্যাপক কাদেরীর স্মরণসভা

ঢাকা: অধ্যাপক ডা. এম. এ. কাদেরী  ছিলেন গুণী চিকিৎসক, সৎ  রাজনীতিবিদ ও মানব জীবনের জন্য এক আদর্শ ও অনুসরণীয় ব্যক্তিত্ব। অধ্যাপক কাদেরীর জীবনাদর্শে উজ্জীবিত হয়ে চিকিৎসাপেশা যাতে ব্যবসায় পরিণত না হয় সেদিকে সংশ্লিষ্ট সকলের দৃষ্টি দিতে হবে।



বুধবার(২৯ জুলাই’২০১৫) দুপুরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের(বিএসএমএমইউ) বি ব্লকের নিচ তলায় শহীদ ডা. মিলন হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম উপাচার্য এম এ কাদেরীর ১১তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত স্মরণসভায় বক্তারা এসব কথা বলেন।

তারা বলেন, গুণী শিক্ষক, চিকিৎসক, রোগীর প্রতি অত্যন্ত দরদী মনের অধিকারী ও দক্ষ প্রশাসক হিসেবে অধ্যাপক ডা. এম এ কাদেরী স্যারের অবদান জাতি চিরদিন মনে রাখবে। শিক্ষক হিসেবে তিনি তাঁর ছাত্রছাত্রীদের অন্তর দিয়ে ভালোবাসতেন, স্নেহ করতেন কিন্তু শিক্ষার মান ও নীতি-আদর্শের কাছে কোনোদিন আপস করেননি।

বক্তারা আরও বলেন, অধ্যাপক ডা. এম এ কাদেরী ছিলেন রোগীদের প্রতি অত্যন্ত দরদী ও যত্নবান। গভীর রাতেও তিনি রাউন্ড দিতেন। তিনি রোগীদের সামর্থ্যর কথা চিন্তা করে ইনভেস্টিগেশনের চাইতে ক্লিনিশিয়ান বা ওষুধের মাধ্যমে রোগ নিরাময়ে অধিক গুরুত্ব দিতেন। অবার শিক্ষক হিসেবে তিনি চিকিৎসা শিক্ষাকে অনেক দূর এগিয়ে নিয়ে গেছেন।

স্মৃতিচারণমূলক বক্তব্যে অধ্যাপক ডা. সৈয়দ মোদাচ্ছের আলী বলেন, অধ্যাপক এম কাদেরী স্যারের একাগ্রতা ছিল সকল মানুষের জন্য অনুসরণীয়।

জাতীয় অধ্যাপক এম আর খান বলেন, তার সততা, নিষ্ঠা, ন্যায়পরায়নতা ও ইতিবাচক মন-মানসিকতা ভবিষ্যত প্রজন্মকে উজ্জীবিত করবে।

সভাপতির বক্তব্যে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কামরুল হাসান খান বলেন, আমার পিতৃ সমতুল্য অধ্যাপক ডা. এম.এ কাদেরী স্যার ছিলেন অত্যন্ত সৎ ও দেশপ্রেমিক। তিনি দিন রাত পরিশ্রম করে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়কে এগিয়ে নেয়ার চেষ্টা করে গেছেন। অধ্যাপক ডা. এম এ কাদেরী স্যারের নীতি ও জীবনাদর্শকে অনুসরণ করেই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়কে পরিচালনা করা হবে। কোনোরকম দলাদলি, কাজ বা দায়িত্বের প্রতি অবহেলা বর্তমান প্রশাসন মেনে নেবে না।     

অধ্যাপক ডা. মির্জা মাজহারুল ইসলাম বলেন, দেশপ্রেম, রাজনীতি ও চিকিৎসা শিক্ষার দিক দিয়ে অধ্যাপক ডা. এম এ কাদেরী ছিলেন আদর্শ ও অনুসরণীয় ব্যক্তিত্ব। তার জীবনাদর্শে উজ্জীবিত হয়ে চিকিৎসাপেশা যাতে ব্যবসায় পরিণত না হয় সেদিকে সংশ্লিষ্ট সকলের দৃষ্টি দিতে হবে।

স্মরনসভায় আরও বক্তব্য রাখেন, ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, অধ্যাপক ডা. কাজী শহীদুল আলম, অধ্যাপক ডা. শহীদুল্লাহ সিকদার, অধ্যাপক ডা. রুহুল আমিন মিয়া, অধ্যাপক ডা. এম ইকবাল আর্সলান, অধ্যাপক ডা. জুলফিকার রহমান খান, অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়–য়া, অধ্যাপক ডা. শারফুদ্দিন আহমেদ, অধ্যাপক ডা. আলী আসগর মোড়ল, অধ্যাপক এস এ এম ডা. গোলাম কিবরিয়া, অধ্যাপক এম এ জলিল চৌধুরী, অধ্যাপক ডা. জাহিদ হোসেন, অধ্যাপক ডা. ফজলুল কাদের, অধ্যাপক ডা. শফিকুর রহমান, ডা. চৌধুরী জামাল, ডা. রোকেয়া সুলতানা, ডা. আরিফুল ইসলাম জোয়ারদার টিটো, মরহুম অধ্যাপক ডা. এম এ কাদেরীর কনিষ্ঠপুত্র মাসুক আলী কাদেরী, নার্সিং সুপারিনটেডেন্ট অব হাসপাতাল শান্তনা রানী দাস, চিফ মেডিক্যাল টেকনোলজিস্ট শাহজাহান সিদ্দিকী প্রমুখ।

অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ডা. হাবিবুর রহমান দুলাল ও ডা. নুজহাত চৌধুরী।

অধ্যাপক ডা. এম এ কাদেরীর জীবনী তুলে ধরেন কার্ডিওলজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. হারিসুল হক।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৫১ ঘণ্টা; জুলাই ২৯, ২০১৫
এমএন/এনএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।