ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

স্বাস্থ্য

দরিদ্র পরিবারে বছরে ৫০ হাজার টাকার চিকিৎসা সেবা

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০২১ ঘণ্টা, নভেম্বর ১, ২০১৫
দরিদ্র পরিবারে বছরে ৫০ হাজার টাকার চিকিৎসা সেবা

ঢাকা : দরিদ্র জনগোষ্ঠীর জন্য স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য পাইলট প্রকল্প চালু করছে সরকার। টাঙ্গাইলের তিনটি উপজেলায় শুরু হতে যাচ্ছে এ প্রকল্প।

এর আওতায় একটি দরিদ্র পরিবার বছরে ৫০ হাজার টাকার চিকিৎসা সেবা পাবে।

স্বাস্থ্য অর্থায়ন কার্যক্রমের আওতায় টাঙ্গাইলের কালিহাতি, মধুপুর ও ঘাটাইলে দরিদ্রসীমার নিচে বসবাসকারী জনগণের জন্য এ প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। ক্রমান্বয়ে তা সারা দেশে বিস্তৃত করা হবে।

রোববার (১ নভেম্বর) সচিবালয়ে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিমের সভাপতিত্বে এ পাইলট প্রকল্প সংক্রান্ত স্টিয়ারিং কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

বৈঠকে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, জনগণের দোরগোড়ায় স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দিতে সরকার নানাবিধ কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। এরই অংশ হিসেবে স্বাস্থ্য সুরক্ষা কর্মসূচি গ্রহণ করতে যাচ্ছে সরকার। এ কর্মসূচির টেকসই বাস্তবায়ন করতে এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সব পক্ষকে সমন্বিতভাবে কাজ করতে হবে।

সভায় জানানো হয়, এ কর্মসূচির অধীনে নির্দিষ্ট সূচক ব্যবহার করে পাইলট প্রকল্প এলাকায় দরিদ্রসীমার নিচে বসবাসকারী পরিবারগুলোকে চিহ্নিত করা হয়েছে। এসব পরিবারকে একটি করে স্বাস্থ্য কার্ড প্রদান করা হবে। এ কার্ডের ভিত্তিতে পরিবারের সদস্যরা চিকিৎসার প্রয়োজনে হাসপাতালে ভর্তি হতে পারবেন ও রোগ নির্ণয়, ঔষধ, পথ্যসহ ৫০টি রোগের পূর্ণ চিকিৎসা বিনামূল্যে পাবেন।

এ চিকিৎসা ব্যয় নির্বাহের জন্য প্রতি পরিবারকে বার্ষিক এক হাজার টাকা প্রিমিয়াম হিসাবে সরকার প্রদান করবে ও প্রত্যেক পরিবার বার্ষিক সর্বোচ্চ ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত চিকিৎসা সুবিধা লাভ করবে। পাইলট প্রকল্প চলাকালে এ প্রিমিয়ামের অর্থসহ প্রকল্পের যাবতীয় ব্যয় স্বাস্থ্য, জনসংখ্যা ও পুষ্টি সেক্টরের উন্নয়ন কর্মসূচি থেকে সংস্থান করা হবে।

পরবর্তী সময়ে সরকারি বরাদ্দ ও স্বচ্ছল পরিবারের কাছ থেকে প্রিমিয়াম সংগ্রহের মাধ্যমে কর্মসূচিটির অর্থায়ন করা হবে। পাইলট প্রকল্পের প্রাথমিক পর্যায়ে এ সেবা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও প্রয়োজনে জেলা হাসপাতাল থেকে প্রদান করা হবে। প্রয়োজন হলে সুনির্দিষ্ট মানদণ্ডের ভিত্তিতে বেসরকারি হাসপাতালকে এ কার্যক্রমের আওতায় আনা হবে।

সভায় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী জাহিদ মালেক, স্বাস্থ্য সচিব সৈয়দ মঞ্জুরুল ইসলাম, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব সুরাইয়া বেগম এনডিসি, স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. দীন মো. নুরুল হক, পরিবার পরিকল্পনা অধিদফতরের মহাপরিচালক মো. নূর হোসেন তালুকদার, স্বাস্থ্য অর্থনীতি বিভাগের মহাপরিচালক মো. আসাদুল ইসলামসহ মন্ত্রণালয় ও অধিদফতরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

বাংলাদেশ সময় ২০২১ ঘণ্টা, নভেম্বর ১, ২০১৫
এমএন/আরএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।