ঢাকা: বেশিরভাগ দেশে রান্নার উপকরণ হিসেবেই রসুন পরিচিত। প্রাকৃতিক রোগ প্রতিকারক হিসেবেও এর নাম রয়েছে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, দিনে প্রাপ্তবয়স্কদের দুই কোয়া ও শিশুদের ক্ষেত্রে একটি কোয়ার অর্ধেক বা চারভাগের একভাগ খাওয়া উচিত। খাবারকে সুস্বাদু করা ছাড়াও রসুনের নানারকম ভেষজ গুণাবলি রয়েছে যা সুস্থ থাকার পক্ষে সহায়ক।
এক এক করে বলা যায়, রসুন গর্ভকালীন শিশুর ওজন বাড়াতে সাহায্য করে। বুকের ইনফেকশন ও কফ সারায়। শীতকালে রসুন খুব উপকারী খাবার। কারণ, এটি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে শক্তিশালী করে।
একইসঙ্গে ঠাণ্ডা ও ফ্লু প্রতিরোধ করে। উচ্চমানের আয়োডিন সমৃদ্ধ হওয়ায় হাইপারথাইরয়েডের প্রাকৃতিক পথ্য হিসেবে কাজ করে। একটি তথ্য অনেকেরই অজানা, রসুনে ভিটামিন সি-ও রয়েছে।
মেডিকেল গবেষণায় দেখা গেছে, প্রতিদিন রসুন খেয়ে হৃদরোগ এড়ানো সম্ভব। রসুন খাওয়ার ফলে ধমনীর গায়ে লেগে থাকা প্লেক দূর হয়।
রসুনের এলিসিন নামক সালফিউরিক উপাদান প্রাকৃতিক অ্যান্টিবায়োটিক হিসেবে কাজ করে। ভিটামিন বি-সিক্স থাকায় রসুন নতুন কোষ জন্মাতে সাহায্য করে।
এছাড়া ব্লাডার ক্যানসার, প্রোস্টেট ক্যানসার, স্তন ক্যানসার, কোলন ও পাকস্থলির ক্যানসার প্রতিরোধে সহজলভ্য উপাদান রসুন।
বাংলাদেশ সময়: ০৪৫৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ২১ ২০১৫
এসএমএন/এসএস