এ নিয়ে এক রসিক অধূমপায়ীর সরেস মন্তব্য, দেখে তো মনে হয় ঢামেক হাসপাতাল চত্বর ধূমপানের জন্যই বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
হাসপাতালের চৌহদ্দির ভেতরের খোলা চত্বরে যে দিকে চোখ যাবে অবাধ ধূমপানের দৃশ্য চোখে পড়বে।
পাবলিক প্লেসে পুলিশও যখন ধূমপায়ী
ঢামেক হাসপাতালের চৌহদ্দিতে প্রবেশের গেট আছে মোট ৭টি। এগুলোর মধ্যে ৬টি গেটেই মানুষের গমনাগমন বেশী। এগুলো হলো- জরুরি, বহির্বিভাগ, নতুন ভবনের ২টি ও কলেজের ২টি গেট।
এই ৬টি গেটের যে কোনো একটি দিয়ে ঢুকলেই ভেতরে সারিসারি সিগারেটের দোকান। জরুরি বিভাগ, বহির্বিভাগ আর নতুন ভবনের গেট পেরুলেই ধূমপানের দৃশ্য সবচে’ বেশী চোখে পড়বে। দেখে মনে হবে, যেনো আড্ডা বসেছে ধূমপায়ীদের।
এমনকি জরুরি বিভাগের সামনেই পয়ে হেঁটে সিগারেট বিক্রি করছে ৮/১০ জন ভ্রাম্যমাণ হকার।
মঙ্গলবার (১৮ জুলাই) বিকেলেও ঢামেক হাসপাতাল চত্বরের ভেতরে জটলা বেঁধে ধূমপানের দৃশ্য চোখে পড়ে। পাবলিক প্লেসে ধূমপান করলে জরিমানার বিধান এখানে কার্যকর করার কোনো নজির নেই।
বাংলানিউজ করেসপন্ডেন্ট এর সঙ্গে আলাপকালে ঢামেক হাসপাতাল চত্বরে ধূমপান করা ঠিক হচ্ছে না বলে স্বীকার করেন ধূমপায়ীরা। তবে তারা এও জানান, এখানে ধূমপান বন্ধ করতে হলে সবার আগে সিগারেট বিক্রি বন্ধ করতে হবে। হাসপাতালের চৌহদ্দি থেকে সিগারেট বিক্রেতাদের হটাতে হবে।
জরুরি বিভাগের সামনে ডিউটিরত আনসার সদস্য মফিজুল ইসলামকে প্রকাশ্যে ধূমপানের দৃশ্যের দিকে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে তিনি বলেন, আমার কাজ গাড়ি নিয়ন্ত্রণ করা। কোনো হকার যাতে ভেতরে ঢুকতে না পারে সেটা দেখা আর নিরাপত্তার দিকে দৃষ্টি রাখা।
এ সময় বার্ন ইউনিটের পাশে এক হকারকে ঘিরে ধূমপানের আড্ডায় মেতেছিলো জনা ছয় মানুষ। সেদিকে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে আনসার মফিজুল জানান, সিগারেট বিক্রেতা গরীব মানুষ। তাদেরকে আর কি বলার আছে। তবে যারা হাসপাতালের ভেতরে ধূমপান করছে, তাদের এখনি সতর্ক করে দিচ্ছি।
হাসপাতাল চত্বরে প্রকাশ্যে ধূমপানের বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে ঢামেক হাসপাতাল এর পরিচালক বিগ্রেডিয়ার জেনারেল মিজানুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, এসব ধূমপায়ী ঠেকাতে মোবাইল কোর্ট জরুরি।
বাংলাদেশ সময়: ১১৩৫ ঘণ্টা, জুলাই ১৯, ২০১৭
জেডএম/