এ প্রসঙ্গে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের নাক,কান ও গলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক এবং ঢামেক হাসপাতালের শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ডাক্তার দেবেস চন্দ্র তালুদার বাংলানিউজকে বলেন, যেখানে সেখানে শব্দদূষণের শিকার হচ্ছে মানুষ। রাস্তা-ঘাটে ভয়ংকরভাবে শব্দদূষণ হয়।
হর্ন আর গাড়ির শব্দে দিশেহারা তেজগাঁওয়ে শিক্ষার্থীরা
তিনি বলেন, শব্দদূষণের কারণে মানুষ কানে ব্যথা, কানে কমশুনা, মাথা ব্যথাসহ নানা রোগে আক্রান্ত হতে পারে। মেজাজও খিটখিটে হয়ে যায়। হৃদরোগে আক্রান্ত কোন ব্যক্তি রাস্তা দিয়ে হেঁটে যাওয়ার সময় শব্দদূষণের কারণে আবার তার হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা থাকে।
ডাক্তার দেবেস চন্দ্র তালুকদার বলেন, শব্দদূষণে অসুস্থ হয়ে প্রতিদিনই আমাদের কাছে অনেক রোগী আসে। এদের মধ্যে সব বয়সী মানুষ আছে। তবে শিশুর সংখ্যা বেশী। পাশাপাশি নিয়মিত কিছু ট্র্যাফিক পুলিশ আমাদের কাছে আসছেন কানের চিকিৎসা নিতে। বেশিরভাগ সময় তারা রাস্তায় ডিউটি করে থাকেন। শব্দ দূষণের কারণে তাদের কানে নানা রকম সমস্য দেখা দিয়েছে।
এসব রোগ থেকে প্রতিকার পেতে হলে শব্দদূষণ বন্ধ বা নিয়ন্ত্রণ করতে হবে বলে মন্তব্য করেন ডা. দেবেস।
ঢামেকে জরুরি বিভাগ টিকেট কাউন্টারের ইনচার্জ তরিকুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, শুধু কি রাস্তা-ঘাটে শব্দদূষণ, ঢামেকেও আমরা শব্দদূষণের শিকার হচ্ছি।
তিনি বলেন, প্রতিদিন ১ বার করে হলেও কোন না কোন অ্যাম্বুলেন্স ভয়ংকর আওয়াজে হুইসেল বাজাতে বাজাতে রোগি নিয়ে জরুরি বিভাগের গেট দিয়ে প্রবেশ করে। এই আওয়াজ এতো বেশি যে, আমরা সুস্থ মানুষ কান চেপে ধরে থাকি। হাসপাতালে ভর্তি থাকা রোগির অবস্থা তাহলে কি হতে পারে!
বাংলাদেশ সময়: ১২৩০ ঘণ্টা, জুলাই ২০, ২০১৭
এজেডএস/জেডএম/