পরিবারে নেই কর্মক্ষম কেউ। অর্থের অভাবে চলছে না তাদের চিকিৎসাও।
বংশগত জিনের মাধ্যমে ছড়ানো এ রোগ হয় ১৫-২০ বছর বয়সে। আস্তে আস্তে রোগী হয়ে পড়েন শারীরিক প্রতিবন্ধী। আর ৪০-৫০ বছর বয়সেই এর একমাত্র পরিণতি মৃত্যু।
সরেজমিনে গিয়ে জানা গেছে, এক সময় ঢাকায় প্রাইভেটকার চালিয়ে আয়-রোজগার করতেন বরগুনা সদর উপজেলার বুড়িরচর ইউনিয়নের ছোট লবনগোলা গ্রামের সরকারি আবাসনের বাসিন্দা আব্দুল খালেক ফকিরের ছেলে মিজানুর ফকির। কিন্তু বংশগত জিনে ছড়ানো দূরারোগ্য রোগে আক্রান্ত হয়ে বর্তমানে সম্পূর্ণ প্রতিবন্ধী মিজানুর ও তার তিন ভাই। দিন-রাত ২৪ ঘণ্টাই তাদের শরীর নড়া-চড়া করে। কাজকর্ম করতে পারেন না, বন্ধ হয়ে গেছে তাদের স্বাভাবিক চলাফেরাও।
একই রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন তাদের বাবা-দাদা।
এভাবে চোখের সামনে চারটি ছেলের প্রতিবন্ধী হয়ে পড়াকে কোনোভাবেই মেনে নিতে পারছেন না বৃদ্ধা মা জবেদা বেগম। একদিকে অর্থের অভাবে চলছে না সংসার, অন্যদিকে চিকিৎসা। কোনোটিরই সক্ষমতা নেই বৃদ্ধা মায়ের। তাই সকলের সহযোগিতায় ছেলেদের বাঁচিয়ে রাখার আকুতি তার।
বিত্তবান ও সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ে উদ্যোগ নিয়ে চার ভাইয়ের চিকিৎসাসহ পুনর্বাসনের দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রাও।
মিজানুরের প্রতিবেশী সাবেক ইউপি মেম্বার গনি মিয়া, কিরণ হাওলাদার ও রফিক দফাদার বাংলানিউজকে জানান, ঢাকা, বরিশাল থেকে শুরু করে দেশের বিভিন্ন এলাকার চিকিৎসকের শরণাপন্ন হয়েও কোনো সুরাহা পাননি এ রোগীরা। সরকারি সহায়তা ছাড়া তাদের বেঁচে থাকার আর কোনো পথ নেই।
বরগুনা জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. মো. সোহরাব উদ্দীন বাংলানিউজকে জানান, পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে রোগটি সঠিকভাবে নির্ণয় ও উন্নত চিকিৎসা দিতে পারলে তাদেরকে ভালোভাবে বাঁচিয়ে রাখা সম্ভব। তবে বরগুনা ও বরিশালে এ রোগের পরীক্ষা করা সম্ভব নয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৫৮ ঘণ্টা, জুলাই ২৩, ২০১৭
এএসআর