রাজধানীর প্রাণকেন্দ্রে মগবাজারে আদ-দ্বীন মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল স্বল্প খরচে উন্নত চিকিৎসা সেবা দিয়ে সুনাম কুড়িয়েছে। পাশাপাশি অ্যাম্বুলেন্স সেবাতেও নজর কেড়েছে সবার।
হাসপাতালের উপ-পরিচালক নাহিদ ইয়াসমিন বাংলানিউজকে জানালেন, আকারে ছোট হওয়ায় ঢাকার অলিতে গলিতে চলে যেতে পারে আমাদের অ্যাম্বুলেন্স। এবং দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে আসতেও পারে। অ্যাম্বুলেন্সে অক্সিজেন এবং প্রয়োজনীয় জরুরি সরঞ্জাম রয়েছে। ফলে রোগী অ্যাম্বুলেন্সে উঠলে অনেকটা নিরাপদ।
ঢাকার মগবাজারেই কেবল ৪৯টি অ্যাম্বুলেন্স রয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, অ্যাম্বুলেন্স সেন্টারে ফোন করলে জিপিএস সিস্টেমে নিকটস্থ স্থান থেকে অ্যাম্বুলেন্স পাঠানো হয়।
উদাহরণ হিসেবে তিনি বলেন, উত্তরা থেকে কেউ ফোন দিলে তখন জিপিএস সিস্টেমে নিকটস্থ কোনো অ্যাম্বুলেন্স থাকলে দ্রুত রোগীর কাছে চলে যায়।
মাত্র ৩৩০ টাকায় সেবা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, রোগীর কাছে শুধুমাত্র জ্বালানি খরচটা নেওয়া হয়। তবে সেটা খরচের তুলনায়ও অনেক কম।
মায়েদের মৃত্যু তিন কারণে হয় জানিয়ে তিনি বলেন, জরুরি অবস্থায় মায়েরা আসবে কিনা, অ্যাম্বুলেন্স পাওয়া না পাওয়া এবং দ্রুত পৌঁছানোটাই চ্যালেঞ্জ। এই তিনটি বিষয় মাথায় রেখেই অ্যাম্বুলেন্স সেবা চালু করা হয়েছে।
হাসপাতালের আউটডোর সকাল ৮টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত খোলা থাকলেও প্রসূতি মায়েদের জন্য চালু থাকে সকাল ৭টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত।
অ্যাম্বুলেন্স সেন্টারের দায়িত্বে থাকা হাসপাতালের ম্যানেজার আবু সাইদ মোল্লা বলেন, ঢাকা শহরে ১৩টি স্পটে আমাদের অ্যাম্বুলেন্স থাকে।
উত্তরে কুড়িল বিশ্বরোড, নতুন বাজার, বাড্ডা হয়ে মেরাদিয়া বাজার; দক্ষিণে বাসাবো, নন্দীপাড়া ব্রিজ, যাত্রাবাড়ী, বংশাল, রাজিরা বাজার, বাবু বাজার ব্রিজ হয়ে কামরাঙ্গীচর; পশ্চিমে মোহাম্মদপুর বেড়িবাঁধ, আদাবর থানা, গাবতলী, চিড়িয়াখানা রোড হয়ে মিরপুর-২, মিরপুর-১৪, কাফরুল ও কচুক্ষেত হয়ে সৈনিক ক্লাব এলাকায় পাওয়া যাবে।
সুজুকি-মারুতি মডেলের এই অ্যাম্বুলেন্সগুলো নির্দিষ্ট এলাকার বাইরে প্রতি কিলোমিটারের জন্য মাত্র ৩০ টাকা দিতে হবে। আর অন্য হাসপাতালের জন্য ফি সামান্য বেশি ৫২০ টাকা।
সবাই যেন কম খরচে অ্যাম্বুলেন্স সেবা ব্যবহার করতে পারেন সেজন্য অল্প ব্যয়ে চালু করা হয়েছে। ২৪ ঘণ্টা সেবা দেওয়াই উদ্দেশ্য।
অ্যাম্বুলেন্স সেবা পেতে হটলাইন: ১০৬১০। এছাড়া ০১৭১৩-৪৮৮৪১১ ও ০১৭১৩-৪৮৮৪১২ নম্বরে কল করা যাবে।
প্রতি থানা এলাকায় দুটি করে অ্যাম্বুলেন্স স্ট্যান্ডবাই রাখার পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করা হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, এক্ষেত্রে সবার সহযোগিতা দরকার।
সেবার ভিত্তিতে অ্যাম্বুলেন্সের চালকদের ইনটেনসিভ দেওয়া হয় এবং তাদের সমস্যাগুলো শুনে সমাধান করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ০৮৩০ ঘণ্টা, জুলাই ৩০, ২০১৭
এমআইএইচ/জেএম