চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, উন্নত চিকিৎসা পেলে শিশুটি সম্পূর্ণ সুস্থ হতে পারে। তবে চিকিৎসার ব্যয় বহন করার মতো সামর্থ্য শিশুটির পরিবারের নেই বলে জানিয়েছেন শিশুটিকে দেখতে আসা প্রতিবেশীরা।
হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, পঞ্চগড় সদর উপজেলার হাফিজাবাদ ইউনিয়নের মাধইপাড়া গ্রামের ভ্যানচালক শরিফুল ইসলামের স্ত্রী হালিমা খাতুন অস্ত্রপচারের মাধ্যমে ওই কন্যা সন্তান প্রসব করেন। এর আগেও হালিমা খাতুনের একটি ছেলে ও একটি মেয়ে রয়েছে।
পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডা. মো. আকরামুল হক রোগটি সম্পর্কে বলেন, সাধারণত নাসিকাতন্ত্রের ত্রুটির কারণে মুখের সঙ্গে মাংসপেশী বেড়ে গিয়ে এ রোগ হয়ে থাকে। শিশুটি বর্তমানে সুস্থ রয়েছে। আমরা ওই শিশুটির উন্নত চিকিৎসার জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের শিশু সার্জারি বিভাগে ভর্তি করার পরামর্শ দিয়েছি। উন্নত চিকিৎসা পেলে এ রোগ থেকে শিশুটি সম্পূর্ণ সুস্থ হতে পারে।
এদিকে শিশুটি সিস্টিক হাইগ্রোমায় আক্রান্ত হওয়ায় হতাশ হয়ে পড়েছে তার পরিবার। শিশুটির বাবা ভ্যানচালক শরিফুল ইসলাম জানান, ভাল চিকিৎসার জন্য অনেক টাকার দরকার। আমি ভ্যান চালিয়ে সংসার চালাই, ছেলেমেয়েদের লেখাপড়ার খরচ দেই। আমি ওর চিকিৎসার টাকা কোথায় পাবো?
বাংলাদেশ সময়: ১৭১৩ ঘণ্টা, মার্চ ১১, ২০১৮
আরএ