ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

স্বাস্থ্য

রোহিঙ্গাদের আরও ৬ লাখ স্বাস্থ্য সামগ্রী যুক্তরাষ্ট্রের

নিউজ ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯৪৩ ঘণ্টা, মার্চ ২৮, ২০১৮
রোহিঙ্গাদের আরও ৬ লাখ স্বাস্থ্য সামগ্রী যুক্তরাষ্ট্রের রোহিঙ্গা শরণার্থী-বাংলানিউজ (ফাইল ফটো)

ঢাকা: বাংলাদেশের স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের আবেদনের প্রেক্ষিতে যুক্তরাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা (ইউএসএইড) রোহিঙ্গাদের জন্য আরও ৬ লাখ ২২ হাজার ৮শ ডোজ কন্ট্রাসেপ্টিভ (গর্ভনিরোধক) সামগ্রী দিয়েছে। সবমিলিয়ে যুক্তরাষ্ট্র প্রায় দশ ১০ লাখ কন্ট্রাসেপ্টিভ দিলো, যার অর্থমূল্য ৯ লাখ ১ হাজার ২৩২ ডলার।

বুধবার (২৮ মার্চ) যুক্তরাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা (ইউএসএইড) থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে ২ লাখ ৯২ হাজার ডোজ কন্ট্রাসেপ্টিভ এবং ২০১৭ সালের ডিসেম্বরে ৩০ লাখ প্যাকেট ওরস্যালাইন দিয়েছে।

ওই বছরের ২৫ আগস্ট থেকে যুক্তরাষ্ট্র সরকার বাংলাদেশ অবস্থিত রোহিঙ্গা শরণার্থীদের এবং তারা যে এলাকায় আশ্রয় নিয়েছে সেই এলাকার জনগণকে ১১০ মিলিয়ন ডলারেরও বেশি অর্থ সহায়তা দিয়েছে।

গত বছর ২৫ আগস্ট থেকে এ পর্যন্ত প্রায় সাত লাখ রোহিঙ্গা মিয়ানমার থেকে পালিয়ে বাংলাদেশের কক্সবাজারে আশ্রয় নিয়েছে। যেখানে রোহিঙ্গারা প্রকট স্বাস্থ্য ঝুঁকির সম্মুখিন হচ্ছে এবং সেখানে রয়েছে স্বাস্থ্য সেবা ও স্বাস্থ্য সামগ্রীর অপ্রতুলতা। বিশেষ করে, নবজাতক, শিশু, স্তনদাত্রী ও গর্ভবতী নারীরা অপুষ্টি, সংক্রামক রোগ ও খাদ্য অনিরাপত্তার স্বীকার হচ্ছে।

ইউএসএইড মিশন ডিরেক্টর ইয়ানিনা জারুজেলস্কি জানান, সবচেয়ে অরক্ষিত রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জীবন রক্ষাকারী ও প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্য সামগ্রী ব্যবহারের সুযোগ করে দিতে ইউএসএইড প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। বাংলাদেশে রোহিঙ্গা সংকটে সাহায্যের ক্ষেত্রে প্রাথমিকভাবে ইউএসএইড মূলত জরুরি জীবন রক্ষাকারী খাদ্য সহায়তা এবং পুষ্টি সেবামূলক সহায়তা প্রদান করছে।

স্বাধীনতার পর থেকে এ পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্র সরকার ইউএসএইড’র মাধ্যমে বাংলাদেশকে ৭শ কোটি ডলারেরও বেশি উন্নয়ন সহায়তা দিয়েছে। ২০১৭ সালে ইউএসএআইডি বাংলাদেশের জনগণের জীবনমানের উন্নয়নে প্রায় ১শ কোটি ডলার দিয়েছে।  

ইউএসএআইডি বাংলাদেশে যে সব কর্মসূচিতে সহায়তা দিয়েছে সেগুলোর মধ্যে রয়েছে– গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান ও অনুশীলনের প্রসার, খাদ্য নিরাপত্তা ও অর্থনৈতিক সুবিধাদির সম্প্রসারণ, স্বাস্থ্য ও শিক্ষা সেবার উন্নয়ন ও অভিযোজন এবং স্বল্প কার্বন উন্নয়নের মাধ্যমে জলবায়ু পরিবর্তন পরিস্থিতির সংগে খাপ খাওয়ানো।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৪৪ ঘণ্টা, মার্চ ২৮, ২০১৮
জিপি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।