ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

স্বাস্থ্য

মুনাফার লোভে খাদ্যে ভেজাল দেয় ‘পাপিষ্ঠ’ ব্যবসায়ী

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২০২ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৩, ২০১৮
মুনাফার লোভে খাদ্যে ভেজাল দেয় ‘পাপিষ্ঠ’ ব্যবসায়ী জাতীয় পুষ্টি সপ্তাহের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী

ঢাকা: মুনাফার লোভে কিছু ‘পাপিষ্ঠ’ ব্যবসায়ী খাদ্যে ভেজাল দেয় বলে মন্তব্য করেছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম। তিনি বলেন, পার্শ্ববর্তী ভারতের পশ্চিমবঙ্গে একটি ছোট বাজারেও খাদ্যে কোনো ভেজাল দেখবেন না। কারণ, তাদের মধ্যে দেশপ্রেম আছে। আমাদের দেশে কিছু ব্যবসায়ী, কিছু দোকানদার, কিছু পাপিষ্ঠ ব্যক্তি আছে; যারা জেনেশুনে লাভের জন্যে এ ধরনের খাবার বিক্রি করে।

সোমবার (২৩ এপ্রিল) বিকেলে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ আয়োজিত জাতীয় পুষ্টি সপ্তাহ-২০১৮ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে একথা বলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।

কিছু আইনজীবী টাকায় বিক্রি হয়ে বিবেকহীন কাজ করে উল্লেখ করে মোহাম্মদ নাসিম বলেন, আমরা যখন একটি মানহীন মেডিকেল কলেজ বন্ধ করে দেই তখন টাকার বিনিময়ে বড় বড় আইনজীবীরা আদালত থেকে তাদের পক্ষে রায় নিয়ে আসেন।

তারা অনেক বড় বড় বক্তৃতা দেন। এদের বিবেক কোথায় গেছে? বিবেক বলতে কিছু নাই, টাকার কাছে এরা বিবেক বিক্রি করে দেন। এ সমস্ত লোক পুষ্টিহীন, এদের আগে পুষ্টি দিতে হবে। তাহলে পুষ্টিসমৃদ্ধ বাংলাদেশ হবে।

তিনি বলেন, আমি নিজে দেখেছি, ভ্রাম্যমাণ আদালত দিয়ে দেশের নামকরা হাসপাতাল যেখানে অনেকে চিকিৎসা করার আবেদন করেন। সেই হাসপাতালে মেয়াদ উত্তীর্ণ ওষুধ পাওয়া গেছে। চিন্তা করতে পারেন? একটা ফাইভ স্টার মানের হাসাপাতাল। সেখানে মেয়াদ উত্তীর্ণ ওষুধ পাওয়া যায়।

ওষুধ তো মানুষকে বাঁচানোর জন্যে, মানুষকে মারার জন্য নয়, এরা কারা? যারা এই খাদ্যে ভেজাল দেয়, যারা ওষুধের মধ্যে ভেজাল দেয়, তারা এই দেশেরই শিক্ষিত মানুষ। সেজন্য পুষ্টি সমৃদ্ধ দেশ গড়তে এটা হলো একটা বাধা। আমাদের বিবেক পরিষ্কার রাখতে হবে। এসব বন্ধ করতে ব্যবসায়ী সংগঠন, প্রতিষ্ঠানসহ সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে, বলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।

সন্তানদের হাতে ফাস্টফুড না দিয়ে দেশি ফল তুলে দেওয়ার অনুরোধ করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, মায়েদের অনুরোধ করবো, আপনার শিশুকে কমপক্ষে ৬ মাস ব্রেস্ট ফিডিং করান। তাহলে শিশু পুষ্টি সমৃদ্ধ হবে। সন্তানদের ফাস্টফুড না দিয়ে পেয়ারা দেন, অন্য ফল দেন, তাদের স্বাস্থ্য ভালো থাকবে।

স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব মো. সিরাজুল হক খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন, কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী, খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দ, প্রধানমন্ত্রীর সাবেক উপদেষ্টা ডা. সৈয়দ মোদাচ্ছের আলী।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন, স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব হাবিবুর রহমান খান।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৫৯ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৩, ২০১৮
এমএইচ/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।