ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

স্বাস্থ্য

কক্সবাজার সদর হাসপাতালে সিসিইউ উদ্বোধন

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২২১ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৭, ২০১৮
কক্সবাজার সদর হাসপাতালে সিসিইউ উদ্বোধন কক্সবাজার হাসপাতালে সিসিইউ উদ্বোধন করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম

কক্সবাজার: অবশেষে আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হলো কক্সবাজার হাসপাতালের করোনারি কেয়ার ইউনিট (সিসিইউ)। জাপানের উন্নয়ন সংস্থা জাইকার সহযোগিতায় হাসপাতালটিতে সিসিইউ চালু হলো। এটিকে জেলার স্বাস্থ্যসেবা খাতে নতুন দিগন্তের সূচনা হিসেবে দেখছেন সংশ্লিষ্টরা।

বৃহস্পতিবার ( ২৭ সেপ্টেম্বর) বিকেল চারটায় কক্সবাজার হাসপাতালে চার শয্যাবিশিষ্ট সিসিইউ উদ্বোধন করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম। এদিন দুপুরে স্থানীয় একটি হোটেলে হোমিওপ্যাথি চিকিৎসকদের সম্মেলনেও যোগ দেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে সংসদ সদস্য সাইমুম সরওয়ার কমল ও আশেক উল্লাহ রফিক, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোস্তাক আহমেদ চৌধুরী, কক্সবাজার সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. পুচনু, সিভিল সার্জন ডা. আব্দুস সালাম, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাড. সিরাজুল মোস্তফা, সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল কর্মকর্তা (আরএমও) ডা. শাহীন আব্দুর রহমান উপস্থিত ছিলেন প্রমুখ।

জেলা সদর হাসপাতালের বর্তমান মূল ভবনের চার তলায় ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটের (আইসিইউ) পাশে স্থাপন করা হয়েছে সিসিইউ। ইতোমধ্যে ইউনিটে শয্যাসহ প্রয়োজনীয় সব চিকিৎসা সামগ্রী এবং যন্ত্রপাতি স্থাপন করা হয়েছে।
কক্সবাজার হাসপাতালে সিসিইউ উদ্বোধনের পর রোগীদের খোঁজ-খবর নেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিমগত ২৮ আগস্ট থেকে হাসপাতালটিতে সিসিইউ সেবা চালু হয়। বৃহস্পতিবার এটির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী। ইউনিটটি চালু করতে শয্যাসহ প্রয়োজনীয় সকল চিকিৎসা সামগ্রী এবং যন্ত্রপাতি দিয়ে সহযোগিতা করেছে জাপানের উন্নয়ন সংস্থা-জাইকা।

সিসিইউর ইনচার্জ চম্পা থাপা বলেন, গত ২৮ আগস্ট চালু হওয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত হৃদরোগে আক্রান্ত ২৯ জন রোগীকে সিসিইউতে সেবা দেওয়া হয়েছে। এরমধ্যে দুইজন রোগি মারা গেছেন।

তিনি আরো জানান, চার শয্যাবিশিষ্ট এ সিসিইউতে আপাতত চার জন চিকিৎসক এবং ৬ জন স্টাফ নার্স দায়িত্বপালন করছেন। সঙ্গে আয়াও রয়েছেন।

জেলা সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) ডা. শাহীন আব্দুর রহমান বলেন, করোনারি কেয়ার ইউনিট চালুর মাধ্যমে পূরণ হয়েছে কক্সবাজারবাসীর দীর্ঘদিনের লালিত একটি স্বপ্ন। প্রাথমিকভাবে চার শয্যা নিয়ে এ ইউনিট চালু করা হলেও পরবর্তীতে শয্যা আরো বাড়ানোর পরিকল্পনা আছে।

তিনি বলেন, এখানে অত্যাধুনিক মনিটর ও শয্যা যুক্ত করা হয়েছে। আছে সর্বাধুনিক চিকিৎসা ব্যবস্থা। ইকোকার্ডিওগ্রাম এবং অন্যান্য পরীক্ষার ব্যবস্থাও আছে। পর্যায়ক্রমে এ ইউনিটকে আরও সমৃদ্ধ করার চেষ্টা হবে।

হাসপাতাল সূত্র জানায়, কেউ হৃদরোগে আক্রান্ত হলে একটি তীব্র অবস্থা হয়। ওই অবস্থায় এসব রোগীকে সিসিইউতে রাখা হয়। হৃদরোগীকে পুরোপুরি নিরাময়ের জন্য স্ট্রোক-পরবর্তী পুনর্বাসন জরুরি। সিসিইউতে এই কাজটাই করা হয়।  

হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. পুচনু বলেন, আমি এই হাসপাতালে তত্ত্বাবধায়কের দায়িত্ব নেওয়ার পর দেশের প্রথম জেলা হাসপাতাল হিসেবে কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে আইসিইউ চালু হয়, এবার যুক্ত হলো সিসিইউ।  

তিনি বলেন, জেলা পর্যায়ের হাসপাতালে সিসিইউ চালুর ঘটনাও দেশে প্রথম। চিকিৎসাসেবা খাতে কক্সবাজারবাসীর জন্য এটি বিশাল প্রাপ্তি বলা যায়।

বাংলাদেশ সময়: ১৮১৪ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৭, ২০১৮
এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।