ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

স্বাস্থ্য

নববর্ষের দিন বাংলাদেশে জন্ম নেবে ৮৪২৮ শিশু

ডিপ্লোম্যাটিক করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১০২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২, ২০১৯
নববর্ষের দিন বাংলাদেশে জন্ম নেবে ৮৪২৮ শিশু ইউনিসেফের লোগো

ঢাকা: ইংরেজি নতুন বছরের প্রথম দিনে বাংলাদেশে আনুমানিক ৮ হাজার ৪২৮ শিশু জন্মগ্রহণ করবে। আর বিশ্বজুড়ে জন্ম নেবে আনুমানিক ৩ লাখ ৯৫ হাজার ৭২ শিশু। এর ২ দশমিক ১৩ শতাংশ জন্মাবে বাংলাদেশে।

মঙ্গলবার (১ জানুয়ারি) ঢাকার ইউনিসেফ অফিস থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।  

এতে উল্লেখ  করা  হয়, বিশ্বজুড়ে শহরগুলোতে উৎসবমুখর মানুষ নানা আয়োজনে শুধু নতুন বছরকেই স্বাগত জানাবে না, একইসঙ্গে তাদের সবচেয়ে নতুন ও সবচেয়ে ছোট বাসিন্দাদেরও স্বাগত জানাবে।

ঘড়ির কাঁটা যখন মধ্যরাত্রি নির্দেশ করবে তখন সিডনিতে আনুমানিক ১৬৮, টোকিওতে ৩১০,  বেইজিংয়ে ৬০৫, মাদ্রিদে ১৬৬ ও নিউইয়র্কে ৩১৭ শিশু জন্ম নেবে।

প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের দেশ ফিজিতে খুব সম্ভবত ২০১৯ সালের প্রথম শিশুটির জন্ম হয়েছে এবং দিনের শেষ শিশুর জন্ম হবে যুক্তরাষ্ট্রে। নতুন বছরের প্রথমদিনে বিশ্বে জন্ম নেওয়া শিশুদের এক চতুর্থাংশের জন্ম হবে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোতে। বৈশ্বিকভাবে বছরের প্রথম দিনে যত শিশুর জন্ম হবে তার প্রায় অর্ধেকের বেশি হবে আটটি দেশে।  

দেশগুলো হলো  ভারত ৬৯ হাজার ৯৪৪, চীন ৪৪ হাজার ৯৪০, নাইজেরিয়া ২৫ হাজার ৬৮৫, পাকিস্তান ১৫ হাজার ১১২, ইন্দোনেশিয়া ১৩ হাজার ২৫৬, যুক্তরাষ্ট্র ১১ হাজার ৮৬, গণপ্রজাতন্ত্রী কঙ্গো ১০ হাজার ৫৩ ও বাংলাদেশে ৮ হাজার ৪২৮।  

১ জানুয়ারি বিশ্বজুড়ে পরিবারগুলো অসংখ্য আলেকজান্ডার ও আয়েশা এবং ঝেং ওজায়নাবকে স্বাগত জানাবে। তবে বেশ কয়েকটি দেশে অনেক শিশুর নাম রাখাও সম্ভব হবে না। কেননা এই শিশুরা তাদের জীবনের প্রথম দিনটি পার করার আগেই মৃত্যুবরণ করবে।

২০১৭ সালে প্রায় ১০ লাখ শিশু তাদের জন্মের প্রথমদিনেই ও প্রায় ২৫ লাখ শিশু তাদের জীবনের প্রথম মাসেই মৃত্যুবরণ করে। এই শিশুদের বেশির ভাগেরই মৃত্যু হয় অপরিণত অবস্থায় জন্মগ্রহণ, প্রসবকালীন জটিলতা এবং দূষণ ও নিউমোনিয়ার সংক্রমণের মতো প্রতিরোধযোগ্য কারণে, যা তাদের বেঁচে থাকার মৌলিক অধিকার পরিপন্থি।  

ইউনিসেফের উপ-নির্বাহী পরিচালক শার্লট পেত্রি গোর্নিৎজকা বলেন, আসুন, নতুন এই বছরের প্রথম দিনে আমরা সবাই প্রতিটি শিশুর প্রতিটি অধিকার পূরণে সংকল্পবদ্ধ হই। আর এটা শুরু করি শিশুদের বেঁচে থাকার অধিকার নিশ্চিতের মাধ্যমেই। প্রতিটি নবজাতকের জন্মই যাতে নিরাপদ কারও হাতে হয় তার জন্য আমরা যদি স্থানীয় স্বাস্থ্যকর্মীদের প্রশিক্ষণ ও তাদের প্রয়োজনীয় সরঞ্জামাদির যোগান দিতে বিনিয়োগ করি, তাহলে আমরা লাখ লাখ শিশুর জীবন বাঁচাতে পারি।  

বাংলাদেশ সময়: ১৯৫৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০১, ২০১৯
টিআর/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।