তিনি বলেন, হাসপাতালে চিকিৎসক, নার্স, কর্মকর্তা-কর্মচারীরা সময় মতো হাজির হচ্ছে কিনা, যন্ত্রপাতিগুলো সঠিকভাবে কাজ করছে কিনা, ঔষধের অপ্রতুলতা আছে কিনা, পরিচ্ছন্নতা অভিযান সার্বক্ষণিক চলছে কিনা- তা তদারকির জন্য মনিটরিং নেটওয়ার্ক তৈরি করা হচ্ছে। এই নেটওয়ার্কের মাধ্যমে দুর্বলতা চিহ্নিত করে তা দূর করার উদ্যোগ নেওয়া হবে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বৃহস্পতিবার (১৭ জানুয়ারি) সচিবালয়ে দেশের সকল বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক, ৬৪ জেলার সিভিল সার্জন এবং বিভিন্ন হাসপাতালের তত্তাবধায়কদের সাথে মতবিনিময় সভায় একথা বলেন।
মাঠ পর্যায়ের স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনায় দুর্বলতা দূর করতে ব্যর্থ হলে জেলা ও বিভাগীয় নেতৃত্বের ওপর তার দায় বর্তাবে বলেও মন্ত্রী সতর্ক করে দিয়েছেন বলে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
তিনি বলেন, হাসপাতাল বা জেলা ও বিভাগীয় নেতৃত্বে যে কর্মকর্তাই থাকবেন তার দায়িত্ব হচ্ছে অধীনস্থ প্রতিষ্ঠান ও কর্মকর্তা-কর্মচারীর তত্তাবধান করা। এই দায়িত্বে কোনো গাফিলতি বা শৈথিল্য মেনে নেওয়া যাবে না। যে কোনো সমস্যার দ্রুত নিরসনের লক্ষ্যে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে পদক্ষেপ নিতে হবে। যদি তিনি তাতে ব্যর্থ হন তবে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে সরকার বাধ্য হবে। প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জন্য মানসম্মত সেবা পৌঁছে দিতে একটি স্বচ্ছ ও জবাবদিহিতামূলক স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থাপনা গড়ে তুলতে সকলকে সচেষ্ট থাকতে হবে।
মন্ত্রী বলেন, স্বাস্থ্য সেবার মূল অবদান মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের। সারা দেশে বিস্তৃত স্বাস্থ্যখাতের এই সেবা পেয়ে থাকে কোটি কোটি মানুষ। একটা সরকারের সুনাম অনেকাংশে নির্ভর করে স্বাস্থ্য সেবার ওপর। সাধারণ মানুষকে যথাযথ মানসম্মত চিকিৎসা দিয়ে স্বাস্থ্যখাতের প্রতি গণমানুষের আস্থা আরো বাড়ানোর দিকে মনোযোগ দিতে মাঠ পর্যায়ের স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপকদের প্রতিমন্ত্রী নির্দেশ দেন।
স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. মুরাদ হাসান, স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব মো. আসাদুল ইসলাম, স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সচিব জি এম সালেহ উদ্দিন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদসহ মন্ত্রণালয়ের ঊর্দ্ধতন কর্মকর্তাগণ, বিভিন্ন বিভাগের স্বাস্থ্য পরিচালক, জেলার সিভিল সার্জন ও জেলা হাসপাতালের তত্তাবধায়কগণ সভায় উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ২৩৪২ ঘণ্টা, ১৭ জানুয়ারি, ২০১৯
এমআইএইচ/এমএমএস