এসব ক্লিনিকে প্রায় ৭৫ ভাগ নবজাতক সিজারের মাধ্যমে জন্মগ্রহণ করে মন্তব্য করে মন্ত্রী বলেন, বেসরকারি ক্লিনিকগুলোতে নরমাল ডেলিভারির চেয়ে সিজার বেশি হয়। বেশিরভাগ বাণিজ্যিক কারণে বা প্রয়োজন ছাড়াই এবং অনেক ক্ষেত্রে প্রয়োজনে ক্লিনিকগুলোতে সিজার করানো হয়।
শনিবার (৩০ মার্চ) মানিকগঞ্জে ইউএসআইডি’র মামনি মাতৃ ও নবজাতক স্বাস্থ্যসেবা উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন জাহিদ মালেক।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ডাক্তার নার্সরা অনেক সময় হাসপাতালে অনুপস্থিত থাকেন। যে কারণে প্রসূতিরা হাসপাতালে না এসে বেসরকারি ক্লিনিকে চলে যান।
চিকিৎসক ও নার্সদের হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি আরো বলেন, বিনা চিকিৎসায় মানুষ মারা যায়, এটা আমাদের কাম্য নয়। এর জন্য চিকিৎসক ও নার্স যারা দায়িত্ব পালন করতে পারবেন না তাদের প্রয়োজন নেই। তারা স্বেচ্ছায় এই পেশা ছেড়ে দিতে পারেন।
বাল্যবিবাহের কারণে মা ও শিশু মৃত্যু হচ্ছে উল্লেখ করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, বাল্য বিয়ের কারণে মাতৃমৃত্যু ও নবজাতকের মৃত্যু হচ্ছে। জনপ্রতিনিধিরা এ বিষয়ে সচেতন হলে বাল্য বিয়ে রোধ করা সম্ভব। বাল্য বিয়ে রোধ হলে আমাদের দেশে মা ও নবজাতক মৃত্যু আরো কমে আসবে।
মানিকগঞ্জের জেলা প্রশাসক এসএম ফেরদৌসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন পরিবারকল্যাণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত সচিব ও পরিচালক মো. আব্দুল মালেক, স্বাস্থ্য অর্থনীতি ইউনিটের মহাপরিচালক অতিরিক্ত সচিব ডা. মুহাম্মদ শাহাদৎ হোসেন মাহমুদ, পুলিশ সুপার রিফাত রহমান শামীম, বাংলাদেশের ইউএসএআইডি মিশন ডিরেক্টর ডেরিক ব্রাউন, সেভ দ্যা চিলড্রেন বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর মার্ক পিয়ার্স, পরিবার পরিকল্পনা বিভাগীয় পরিচালক অতিরিক্ত সচিব ব্রজ গোপাল ভৌমিক, অধ্যাপক ডা. রওশন আরা।
বাংলাদেশ সময়: ০৪২২ ঘণ্টা, মার্চ ৩১, ২০১৯
কেএসএইচ/এমএএম/এমজেএফ


 
                                                     
                                     
                                     
                                     
                                     
                                     
                 
                 
                 
                 
                 
                 
                 
                 
                