ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

স্বাস্থ্য

‘বিএসএমএমইউতে নিয়োগ পরীক্ষায় ৬টি দুর্নীতি হয়েছে’

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৩৪ ঘণ্টা, মে ১৮, ২০১৯
‘বিএসএমএমইউতে নিয়োগ পরীক্ষায় ৬টি দুর্নীতি হয়েছে’ ফল বাতিল করে পুনঃনিরীক্ষণের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন

ঢাকা: বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) গত ২২ মার্চ অনুষ্ঠিত মেডিকেল অফিসার পদে নিয়োগ পরীক্ষায় অন্তত ৬টি সুস্পষ্ট ও নজিরবিহীন দুর্নীতি হয়েছে বলে দাবি করছে নিয়োগপ্রত্যাশী চিকিৎসকরা। এ কারণে প্রকাশিত নিয়োগ পরীক্ষার ফল বাতিল করে পুনঃনিরীক্ষণের দাবিও জানিয়েছে চিকিৎসকরা।

শনিবার (১৮ মে) জাতীয় প্রেসক্লাবে কনফারেন্স লাউঞ্জে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানান তারা। পরীক্ষার ফল বাতিল করে পুনঃনিরীক্ষণের দাবিতে গত রোববার (১২ মে) থেকে বিএসএমএমইউ ক্যাম্পাসে টানা আন্দোলন কর্মসূচি অব্যাহত রেখেছে এই নিয়োগপ্রত্যাশীরা।

সংবাদ সম্মেলনে চিকিৎসকরা বলেন, সম্পূর্ণরূপে বিতর্কিত ও অগ্রহণযোগ্য এই নিয়োগের বিরুদ্ধে লিখিত ও মৌখিক অভিযোগপত্র প্রমাণসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও প্রশাসনকে জানিয়েছিলাম। কিন্তু তারা সেটাকে গ্রাহ্য না করে আমাদের আশ্বাস দিয়ে এক নিয়োগ নাটক উপস্থাপন করে আমাদের সামনে। তাই অবিলম্বে আমরা পরীক্ষার ফল বাতিল করে পুনঃনিরীক্ষণের দাবি জানাচ্ছি।

চিকিৎসকদের অভিযোগ— 
পরীক্ষার পূর্বে প্রশ্নপত্র ফাঁসের সুনির্দিষ্ট অভিযোগ ওঠে এবং যার ভিত্তিতে সাধারণ পরীক্ষার্থীদের দাবির মুখে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তদন্তের আশ্বাস দেয়। কিন্তু কোনো তদন্ত রিপোর্ট প্রকাশিত হওয়ার পূর্বেই পূর্ববর্তী (৬ মাস পূর্বে তৈরিকৃত) বিতর্কিত প্রশ্নপত্রে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। পরীক্ষার তারিখ ২২ মার্চ হলেও তার ৪ দিন পূর্বেই একটি বিশেষ কক্ষে প্রশ্নপত্র খোলা হয় সেখানে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক উপস্থিত ছিলেন।  

নিয়োগে আবেদনের সর্বোচ্চ বয়সসীমা ৩২ হলেও তার অর্থের বয়সের অনেক নিয়োগ প্রার্থীরা আবেদন করে বৈধ প্রার্থীর তালিকায় থেকে উত্তীর্ণ পর্যন্ত হয়েছেন।

পরীক্ষার ফলের তালিকায় প্রশাসনের উচ্চপদস্থ ব্যক্তি যেমন বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্যের সন্তান, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকের মেয়ের জামাতা, উপাচার্যের ব্যক্তিগত সহকারী-২ এর সহধর্মীনিসহ অনেকেই প্রথম সারিতে রয়েছে বলে পরীক্ষিত হন। পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক কমিটির সাথে সংযুক্ত ব্যক্তি পরিবার আত্মীয়স্বজন কেউ পরীক্ষার্থী হলে তিনি আর ওই কমিটিতে থাকতে পারবেন না।

পরীক্ষা কেন্দ্রের কয়েকটি কক্ষ মেডিকেলের প্রশ্নপত্রে ডেন্টাল পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।  মেডিকেল এবং ডেন্টালের প্রশ্নপত্র ভিন্ন ছিল। এ বিষয়ে সুনির্দিষ্ট লিখিত অভিযোগ রেজিস্ট্রার বরাবর প্রধান করা হলেও কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ না করে ফল প্রস্তুত করা হয়।  

বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক ফলাফল প্রকাশিত হওয়ার পূর্বেই অনেকের কাছে মেডিকেল অফিসার নিয়োগ পরীক্ষার রোল নম্বরসহ একটি তালিকার অনুলিপি পাওয়া হেছে। যা সবার মনে প্রচণ্ড ক্ষোভ ও আশঙ্কা তৈরি করে। সেই তালিকার সাথে প্রকাশিত ফলের হুবহু মিল পাওয়া যায়।

পরীক্ষা কেন্দ্রে মোবাইলসহ অন্যান্য ইলেকট্রনিক্স ডিভাইস ব্যবহারের মাধ্যমে উত্তর সরবরাহ করার ঘটনা ঘটে।

বাংলাদেশ সময়: ১৭২৫ ঘণ্টা, মে ১৮, ২০১৯
এমএএম/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।