ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

স্বাস্থ্য

বিকাশের সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছে না প্রায় আড়াই কোটি শিশু

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১৫৯ ঘণ্টা, মে ২৯, ২০১৯
বিকাশের সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছে না প্রায় আড়াই কোটি শিশু অনুষ্ঠানে উপস্থিত অতিথিরা। ছবি: বাংলানিউজ

ঢাকা:  বাংলাদেশসহ উন্নয়নশীল দেশগুলোতে পাঁচ বছরের কম বয়সী প্রায় আড়াই কোটি শিশু তাদের বিকাশের সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছাতে পারে না। এর জন্য দায়ী বহুবিধ ঝুঁকি, যেমন- দারিদ্র্য, অপুষ্টি এবং শিশুর পরিবেশে পর্যাপ্ত উদ্দীপনার অভাব। তাই এখন শিশু বিকাশ সংক্রান্ত কার্যক্রমগুলো সরকারের স্বাস্থ্যসেবার সঙ্গে সম্পৃক্তকরণের মাধ্যমে সবার কাছে পৌঁছানোর উদ্যেগ নেওয়া প্রয়োজন।

সোমবার (২৮ মে) মহাখালীর আইসিডিডিআর,বি এর শিশু বিকাশ ইউনিট সাসাকাওয়া মিলনায়তনে শিশু বিকাশ সম্পর্কিত এক গবেষণার প্রাথমিক বিশ্লেষণ নিয়ে সেমিনারে এসব কথা বলা হয়।  

প্রারম্ভিক শিশু বিকাশ সংক্রান্ত নতুন একটি মডেল সরকারের প্রচলিত স্বাস্থ্য সেবার সঙ্গে সংযুক্ত করা যায় কিনা তা দেখার জন্য গবেষণা সম্পন্ন ও তা প্রকাশ করেছে আন্তর্জাতিক উদারাময় গবেষণা কেন্দ্র (আইসিডিডিআর,বি)।

 

গবেষণায় দেখা যায়, সরকারের প্রচলিত প্রাথমিক স্বাস্থ্য সেবা কার্যক্রমের সাথে প্রারম্ভিক শিশু বিকাশ মডেল সম্পৃক্ত করে শিশু স্বাস্থ্য ব্যবস্থার সার্বিক উন্নতি করা সম্ভব এবং তা শিশুর ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল করে তুলতে পারে।


সেমিনারে জানানো হয়, প্রতিটি শিশুর স্বাস্থ্য, ভালো থাকা এবং জীবনের সফলতার জন্য শিশুর প্রারম্ভিক বিকাশ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। শিশুর অপরিপূর্ণ বিকাশ নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশগুলোর জন্য একটি বড় সমস্যা। কিন্তু বড় পরিসরে গবেষণার মাধ্যমে এ ধরনের সমন্বিত দীর্ঘমেয়াদি কার্যক্রমের কার্যকারিতার প্রমাণ খুব বেশি নেই।  শিশুর বিকাশের সবচেয়ে জটিল ও দুর্বল সময়ে প্রারম্ভিক উদ্দীপনা কার্যক্রম অত্যন্ত জরুরি; যা আমাদের টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্য অর্জন করতে সাহায্য করবে।  

গবেষণার উদ্দেশ্য ছিল, বাংলাদেশ সরকারের প্রথম সারির সুপারভাইজারদের প্রারম্ভিক শৈশব উন্নয়ন সক্ষমতা বৃদ্ধি করে বিকাশ সংক্রান্ত উদ্দিপনা প্রদানের দক্ষতা বৃদ্ধির মাধ্যমে যাচাই করা। এর ফলে তারা পরবর্তীতে প্রথম সারির কমিউনিটি ক্লিনিক স্টাফদের প্রশিক্ষণ এবং তাদের কাজ তত্ত্বাবধান করতে পারবে।

অনুষ্ঠানে আইসিডিডিআর,বি'র মেটারনাল অ্যান্ড চাইল্ড হেলথ ডিভিশনের অ্যামিরিটাস সায়েন্টিস্ট ড. জেনা হামাদানি, নিউট্রিশন অ্যান্ড ক্লিনিক্যাল সার্ভিসেস ডিভিশনের সায়েন্টিস্ট ড. ফাহমিদা তোফায়েল এবং মেটারনাল অ্যান্ড চাইল্ড হেলথ ডিভিশনের সহকারী গবেষক বিধান কৃষ্ণ সরকার গবেষণার প্রাথমিক ফলাফল উপস্থাপন করেন।

সেমিনারে মা ও শিশু বিষয়ক অধিদপ্তরের অতিরিক্ত সচিব শেখ রফিকুল ইসলাম, কমিউনিটি ক্লিনিক হেলথ সাপোর্ট ট্রাস্টের ভাইস প্রেসিডেন্ট ডা. মাখদুমা নার্গিস, কমিউনিটি ক্লিনিক হেলথ সাপোর্ট ট্রাস্টের ম্যানেজিং ডিরেক্টর ডা. মো. ইউনুস আলী প্রামাণিক প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ২১৫৬ ঘণ্টা, মে ২৮, ২০১৯
এমএএম/এমএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।