ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

স্বাস্থ্য

প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ ও প্রতিবেদকের বক্তব্য

নিউজ ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৪৩ ঘণ্টা, নভেম্বর ২০, ২০১৯
প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ ও প্রতিবেদকের বক্তব্য

গত ১৬ নভেম্বর বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কমে ‘নার্সিং কাউন্সিলের ডে. রেজিস্ট্রার হচ্ছেন ৪ মামলার আসামি!’ শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ পাঠিয়েছেন নার্সিং ও মিডওয়াইফারি কাউন্সিলের ডেপুটি রেজিস্ট্রার রাশিদা আক্তার।

এক প্রতিবাদলিপিতে রাশিদা আক্তার বলেন, সত্য গোপন করে এবং  যথার্থতা যাচাই না করে আমার সম্পর্কে যে সংবাদ প্রকাশ করা  হয়েছে তা আমাকে আন্তর্জাতিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করেছে এবং এর মাধ্যমে আমার সম্মানহানি করা হয়েছে। আমাকে কেন আসামি বলে সংবাদ প্রকাশ করা হলো? আমি মনে করছি আসামি শব্দের অপব্যবহার করে আমাকে হেয় প্রতিপন্ন করা হয়েছে।

কোনো ব্যক্তি দোষী সাব্যস্ত হওয়ার আগ পর্যন্ত কাউকে আসামি বলার কোনো সুযোগ নেই এবং যখন তার নামে কোনো মামলাই নেই, তখন কীভাবে একজনকে আসামি বলা যায়? ভিত্তিহীন কিছু তথ্য নিয়ে আমাকে, আমার পরিবারকে এবং আমার কর্মস্থলের সামাজিকভাবে মানহানি করা হয়েছে। মামলা সংক্রান্ত যে বিষয়গুলো নিয়ে সংবাদ প্রকাশ করা হয়েছে এবং যারা এই তথ্য যোগাড় এবং সরবরাহ করেছে, এই চক্রই আমাকে এবং আমার পরিবারকে  বিপদে ফেলার জন্য ষড়যন্ত্র করে ওই মামলাগুলো সাজিয়েছে। মামলাগুলো ভিত্তিহীন এবং মিথ্যা ছিল বিধায় পুলিশ তদন্তপূর্বক অভিযোগ মিথ্যা প্রমাণ হলে ফাইনাল রিপোর্ট আদালতে দেয় এবং আদালত  ওই রিপোর্ট আমলে নিয়ে যথার্থতা যাচাই করে অভিযুক্ত সবাইকেই নিরপরাধ এবং নির্দোষ ঘোষণা করে সব অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দেয়। দীর্ঘ সাত-আট বছর পরে আমাকে আসামি উল্লেখ করে সংবাদপত্রে সংবাদ প্রকাশ কতটুকু যুক্তিযুক্ত তা বিবেচনার জন্য অনুরোধ রইলো। ’

রাশিদা আক্তার আরও বলেন, ‘হলিফ্যামিলি রেডক্রিসেন্ট মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে কর্মরত সময়ে ‘স্বাক্ষর জালিয়াতি’র কারণে আমাকে সেখান থেকে অব্যাহতি দিয়েছে। এই তথ্য প্রমাণ করার জন্য হলিফ্যামিলির প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলতে সংবাদ সংগ্রহকারীকে অবশ্যই হলিফ্যামিলিতে স্বশরীরে উপস্থিত হয়ে যথার্থতা যাচাইয়ের অনুরোধ জানাচ্ছি। ’

প্রতিবেদকের বক্তব্য
প্রতিবেদনটি পুরোপুরি তথ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে করা হয়েছে। আদালতের রায়ের কপি অনুসারে মামলার তথ্য বিবরণী প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। যা প্রতিবাদলিপিতে রাশিদা আক্তারও উল্লেখ করেছেন। সে অনুসারে বলা যায়, বর্তমানে না থাকলেও তিনি আগে চারটি ফৌজদারি মামলার আসামি ছিলেন। প্রতিবেদনে মূলত যে বিষয়টি উপস্থাপন করা হয়েছে তা হলো- সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী বিধি বিধান বা সরকারের এ সংক্রান্ত প্রকাশিত গেজেট অনুসারে রাশিদা আক্তার পুনরায় ডেপুটি রেজিস্ট্রার হওয়ার যোগ্যতা হারিয়েছেন। তবু তিনি সে পদে পুনরায় বহাল থাকার চেষ্টা করছেন বলেও প্রমাণ রয়েছে বাংলানিউজের কাছে।  

তাছাড়া এ বিষয়ে স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব (নার্সিং) ডা. শিব্বির আহমেদ ওসমানী বাংলানিউজকে বলেছেন, কোনো ব্যক্তি যদি ফৌজদারি মামলায় অভিযুক্ত হয়ে সাজা ভোগ করেন তাহলে তিনি এ ধরনের গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালনের যোগ্যতা হারিয়েছেন।

হলিফ্যামিলি রেডক্রিসেন্ট মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে কর্মরত থাকাকালে ‘স্বাক্ষর জালিয়াতির’ ঘটনাটিও উপযুক্ত তথ্যের ভিত্তিতেই তুলে ধরা হয়েছে।  

আর মামলা নিষ্পত্তি হওয়ার আগ পর্যন্ত তিনি আসামিই ছিলেন। তবে যেহেতু মামলা এখন আর চলমান নেই এবং নিষ্পত্তি হয়ে গেছে, সেক্ষেত্রে প্রকাশিত সংবাদের শিরোনামে ‘আসামি’ শব্দের সংশোধন করা যেতে পারে।

বাংলাদেশ সময়: ১২৪১ ঘণ্টা, নভেম্বর ২০, ২০১৯
এইচএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।