ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

স্বাস্থ্য

৪০ বছরের অভিজ্ঞতায় এত ভয়াবহ বার্ন দেখিনি: সামন্ত লাল

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৫৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৩, ২০১৯
৪০ বছরের অভিজ্ঞতায় এত ভয়াবহ বার্ন দেখিনি: সামন্ত লাল

ঢাকা: দেশে এ যাবৎকালে যত আগুনে দগ্ধ হওয়ার ঘটনা ঘটেছে তার মধ্যে সর্বোচ্চ বা বেশি মাত্রায় পোড়া রোগী এসেছে সম্প্রতি কেরানীগঞ্জের প্লাস্টিক কারখানার অগ্নিকাণ্ডের মাধ্যমে। শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আইসিইউতে লাইফ সাপোর্টে এমন আগুনে পোড়া রোগী রয়েছে যাদের মুখ চেনা যাচ্ছে না।

শ্বাসনালী খুব খারাপভাবে পুড়ে গেছে এবং যে ১০ জন রোগী এখনও রয়েছে তাদের সবার শরীরের ৬০ থেকে ৮০ ভাগ পোড়া এবং আব্দুর রাজ্জাক নামের একজনের শতভাগ পোড়া।  

শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের প্রধান সমন্বয়ক ডা. সামন্ত লাল সেন সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।

 

তিনি বলেন, ঢামেকের বার্ন ইউনিটে ৮ জন ভর্তি রয়েছে, তারা সম্পূর্ণ শঙ্কামুক্ত। তাদের শরীরে ১৫ থেকে ২০ শতাংশ পোড়া। আর শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি  ইনস্টিটিউটে এখন ১০ জন রোগী ভর্তি রয়েছেন। এদের কেউই শঙ্কামুক্ত নয়। প্রত্যেকেই লাইফসাপোর্টে। সবার ইনহ্যালেশন বার্ন এবং এর পরিমাণ এমন যে আমার এই ৪০ বছরের অভিজ্ঞতায় এত ভয়াবহ বার্ন কখনো দেখিনি। যেমন গতকালকে এখানে একজন রোগী মারা গেছে যাকে তার স্ত্রী চিনতে পারেনি। মুখমণ্ডল এমনভাবে বিকৃত হয়েছিল। পরে তার হাতের কাটা দেখে তাকে শনাক্ত করতে পেরেছে।  

তিনি আরো বলেন, এদের মধ্যে একজন আব্দুর রাজ্জাক যার শরীরের শতভাগ পুড়ে গেছে। সে অত্যন্ত ঝুঁকিতে রয়েছে যেকোনো সময় তার অবস্থার আরো অবনতি হতে পারে। বিশ্বের কোথাও শতভাগ বার্ন বাঁচানো সাধারণত সম্ভব হয়না। আমরা চেষ্টা করছি বাকিটা সৃষ্টিকর্তার ইচ্ছা। বাকি যারা রয়েছে তাদেরও শরীরের ৬০ থেকে ৮০ ভাগ পোড়া রয়েছে। প্রত্যেকেরই শ্বাসনালী পুড়ে গেছে এবং মুখমণ্ডল ও শ্বাসনালী এমনভাবে পুড়েছে যে সেটা রিকভার করা অত্যন্ত দুরূহ ব্যাপার।

সামন্ত লাল বলেন, আমারা রোগীর স্বজনদের কেউ সবসময় সবকিছু জানাচ্ছি, চিকিৎসাও সঠিকভাবে হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ রয়েছে চিকিৎসা যেন সঠিকভাবে হয় এবং ব্যয় ভার যেন সরকার বহন করে, সেভাবেই সব চলছে। আর আমরা এ পর্যন্ত ৬০ ভাগ পোড়া রোগী বাঁচাতে পেরেছি।

কেরানীগঞ্জে প্লাস্টিক কারখানায় বুধবারের (১১ ডিসেম্বর) অগ্নিকাণ্ডে এখন শুক্রবার পর্যন্ত ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে।

আরও পড়ুনঅ্যান্টিবায়োটিকের অপব্যবহার, অকালেই মরছে মানুষ
বাংলাদেশ সময়: ১২৪৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৩, ২০১৯
এমএএম/এসএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।