রোববার (১৯ জানুয়ারি) রাজধানীর গুলশানে একটি হোটেলে এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
ন্যাশনাল আই কেয়ার আয়োজিত বাংলাদেশ ন্যাশনাল কাউন্সিল ফর দ্য ব্লাইন্ড (বিএনসিবি) সভা-২০২০ উপলক্ষে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
এক পরিসংখ্যান তুলে ধরে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে বর্তমানে সাড়ে সাত লাখ অন্ধ মানুষ রয়েছে। চোখের অন্যান্য সমস্যাগ্রস্ত মানুষের সংখ্যা ৬০ লাখেরও বেশি। কায়িক শ্রম না করার কারণে ডায়াবেটিস রোগ দিন দিন বাড়ায় মানুষের চোখের সমস্যা আরও বাড়ছে। তেমন কোনো খেলার জায়গা না থাকায় শিশুদেরও চোখের সমস্যা বেড়ে যাচ্ছে। সুতরাং মানুষের চোখের চিকিৎসায় সবধরনের সহযোগিতায় আমাদের উদ্যোগের কোনো রকম ঘাটতি রাখা যাবে না। তাই এ বছরই দেশের ৬৪টি জেলাতেই চক্ষু চিকিৎসক পদায়নসহ প্রতিটি উপজেলায় কমিউনিটি ভিশন সেন্টার স্থাপন করা হবে।
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে ২০০৭-২০১১ সময়ের জন্য দেশে প্রথম চক্ষু চিকিৎসা অপারেশন প্ল্যান, ২০১১-২০১৬ সময়ের জন্য দ্বিতীয় অপারেশন প্ল্যান ও ২০১৭-২০২২ সময়ের জন্য তৃতীয় অপারেশন প্ল্যান গ্রহণ করা হয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদের সভাপতিত্বে সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন- স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব মো. আসাদুল ইসলাম, কমিউনিটি ক্লিনিক স্বাস্থ্য সহায়তা ট্রাস্টের চেয়ারম্যান এবং প্রধানমন্ত্রীর সাবেক স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ বিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. সৈয়দ মোদাচ্ছের আলী, স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এ এইচ এম এনায়েত হোসেন, সাংবাদিক নাইমুল ইসলাম খান, সুপ্রিম কোর্টের ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. মোতাহার হোসেন সাজু, ন্যাশনাল আই কেয়ারের লাইন ডিরেক্টর এবং জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের পরিচালক অধ্যাপক ডা. গোলাম মোস্তফা প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ২০৪২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৯, ২০২০
এমএএম/আরবি/