ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

স্বাস্থ্য

শীতকালীন রোগে মৃত্যু ৫৭ জনের

মাসুদ আজীম, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৩৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২২, ২০২০
শীতকালীন রোগে মৃত্যু ৫৭ জনের

ঢাকা: চলতি শীত মৌসুমে এ পর্যন্ত সারাদেশে ৬৬ হাজার ১৮৭ জন শ্বাসকষ্টে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা নিয়েছেন। ডায়রিয়ায় এ পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছেন ১ লাখ ৬০ হাজার ৪৮৩ জন ও শীতজনিত অন্য রোগে ১ লাখ ৯০ হাজার ৩২৯ জন আক্রান্ত হয়ে হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা নিয়েছেন। আর এসব রোগে এ পর্যন্ত মারা গেছেন মোট ৫৭ জন।

বুধবার (২২ জানুয়ারি) বিষয়টি বাংলানিউজকে জানান স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন্স সেন্টার ও কন্ট্রোলরুমের সহকারী পরিচালক ডা. আয়শা আক্তার।  

বাংলানিউজকে তিনি জানান, ২০১৯ সালের ১ নভেম্বর থেকে ২০২০ সালের ২২ জানুয়ারি পর্যন্ত সারাদেশে ৬৬ হাজার ১৮৭ জন শ্বাসতন্ত্রের সমস্যাজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন এবং মারা গেছেন ২২ জন।

এছাড়া ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসা নিয়েছেন ১ লাখ ৬০ হাজার ৪৮৩ জন ও মারা গেছেন ৫ জন এবং শীতজনিত অন্য অসুস্থতায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতাল থেকে ১ লাখ ৯০ হাজার ৩২৯ জন চিকিৎসা নিয়েছেন ও মারা গেছেন ৩০ জন।  

অর্থাৎ, মোট মৃত্যুর সংখ্যা ৫৭। অন্য অসুস্থতার মধ্যে রয়েছে জন্ডিস, আমাশয়, চোখের প্রদাহ, চর্মরোগ, জ্বর ইত্যাদি। আর এসব শীতকালীন রোগে সর্বোচ্চ আক্রান্ত ও সর্বোচ্চ মারা গেছেন ঢাকা শহরসহ ঢাকা বিভাগের বিভিন্ন এলাকায়। অন্য বিভাগগুলো এ হার থেকে অনেক দূরে রয়েছে।

তাছাড়া, সারাদেশে গত ২৪ ঘণ্টায় (মঙ্গলবার সকাল ৮টা থেকে বুধবার সকাল ৮টা পর্যন্ত) সারাদেশে ৯৭১ জন শ্বাসতন্ত্রজনিত রোগে আক্রান্ত হয়েছেন, ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়েছেন ১ হাজার ৯৮৪ জন এবং শীতজনিত অন্য রোগে ৩ হাজার ৫৫ জন আক্রান্ত হয়েছেন। এসময় এ রোগে আক্রান্ত হয়ে কোনো মৃত্যুর ঘটনা ঘটেনি। আবার এ সব রোগে শিশুদের আক্রান্তের হারই বেশি বলেও জানা যায়।

এদিকে শীতেও দূর হয়নি ডেঙ্গুর প্রকোপ। যা বাংলাদেশে এর আগে দেখা যায়নি। এ বিষয়ে ডা. আয়শা আক্তার আরও জানান, চলতি বছরের জানুয়ারি মাসের ২২ দিনে সারাদেশে ১৬৮ জন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিয়েছেন। এর মধ্যে ছাড়পত্র পেয়েছেন ১৫৪ জন। তাছাড়া ঢাকার ৪১টি সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে বর্তমানে মোট ভর্তি রোগী ১৪ জন ও অন্য বিভাগে কোনো ভর্তি রোগী নেই। তাছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় রাজধানীতে নতুন ২ জন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এ সময়ে ডেঙ্গুজনিত কারণে কোনো মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়নি।  

গত বছরের এপ্রিল থেকে দেশে ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব শুরু হয় ডিসেম্বর পর্যন্ত চলমান ছিল। তবে গত জুলাই, আগস্ট, সেপ্টেম্বর ও অক্টোবর মাসে এটি মহামারি রূপ ধারণ করে। এই সময়ে সারাদেশে কয়েক লাখ মানুষ ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসা নেন। যার মধ্যে তিন শতাধিক মানুষের মৃত্যু হয়। যদিও সরকারি হিসাবে এ পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় এক লাখ ১৩শ ৫৪ জন এবং মৃতের সংখ্যা ১৫৬ জন।  

সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইইডিসিআর)-এর তথ্য অনুসারে গতবছর ডেঙ্গু সন্দেহে ২৬৬ জনের মৃত্যুর তথ্য পাওয়া গেছে। এর মধ্যে ২৪৯ জনের মৃত্যুর তথ্য বিশ্লেষণ করে ১৫৬ মৃত্যু ডেঙ্গুজনিত বলে নিশ্চিত করেছে প্রতিষ্ঠানটি।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৩১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২২, ২০২০
এমএএম/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।