বৃহস্পতিবার (১২ মার্চ) দুপুরে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সিভিল সার্জন ডা. জাহিদ নজরুল চৌধুরী বাংলানিউজকে বিষয়টি জানান।
তিনি জানান, কয়েকদিন আগে ইতালি ও ভারত থেকে দুইজন বাংলাদেশে আসার পর বিষয়টি জানতে পেরে তাদের খোঁজ নেওয়া হয় এবং তাদের হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়।
তিনি আরও জানান, ৬ মার্চ সোনামসজিদ বন্দর দিয়ে সর্দি ও জ্বর নিয়ে সদর উপজেলার এক নারী সম্প্রতি চিকিৎসা শেষে ভারত থেকে এবং অপরজন ইতালি থেকে ৮ মার্চ শিবগঞ্জ উপজেলায় আসে। তাদের নিয়মিত মনিটরিং করা হচ্ছে। তাদের শরীরে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি তাপমাত্রা থাকায় বাড়তি সতর্কতা হিসেবে তাদের হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
এদিকে, চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালে চারটি বেড আইসোলেশন বেড হিসেবে এবং পাঁচটি উপজেলার পাঁচটি হাসপাতালে দুইটি করে বেড আইসোলেশন বেড হিসেবে স্থাপন করা হয়েছে। সেই সঙ্গে সন্দেহভাজন করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়লে চাঁপাইনবাবগঞ্জ টির্চাস ট্রেনিং ইন্সিটিউটের একটি ভবনকে কোয়ারেন্টাইনের জন্য নির্বাচন করা হয়েছে।
অন্যদিকে, জেলার সোনামসজিদ স্থলবন্দরে তিন সদস্যের একটি মেডিক্যাল টিম হ্যান্ড থার্মাল স্ক্যানারের সাহয্যে তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করছেন। এ টিম প্রতিদিন বন্দর ব্যবহারকারী সকল যাত্রী, ভারতীয় ট্রাকচালক ও এর সহকারীদের পরীক্ষা-নিরিক্ষা করছে। সেই সঙ্গে রহনপুর শুল্ক স্টেশনে যাত্রী পারাপার না থাকায় ভারত থেকে আসা শুধু ভারতীয় পণ্যবাহী ট্রেন চালক ও এর সহকারীদের অস্থায়ী একটি মেডিক্যাল টিম চেকআপ করে প্রতিদিন।
করোনা আতঙ্কে জেলার বিভিন্ন বাজারগুলোতে মাক্স ও স্যানিটাইজার বিক্রি বেড়ে যাওয়ায় অসাধু ব্যবসায়ীরা যেন কৃত্রিম সংকটের মাধ্যমে এর দাম না বাড়াতে পারে সেজন্য বাজার মনিটরিং করেছে ভোক্তা অধিদপ্তর ও জেলা প্রশাসন ভ্রাম্যমাণ আদালত। ইতোমধ্যেই বেশি দামে বিক্রির অভিযোগে দুইটি প্রতিষ্ঠানকে ১২ হাজার টাকা জরিমানা করেছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪২৯ ঘণ্টা, মার্চ ১২, ২০২০
এনটি