ঢাকা, রবিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

স্বাস্থ্য

করোনা ভাইরাস: ১৯ জেলায় কোয়ারেন্টাইনে ১০১১ জন

নিউজ ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯১৫ ঘণ্টা, মার্চ ১৫, ২০২০
করোনা ভাইরাস: ১৯ জেলায় কোয়ারেন্টাইনে ১০১১ জন

ঢাকা: দ্রুত ছড়াচ্ছে করোনা ভাইরাস। বিশ্বজুড়ে এ ভাইরাসে মৃতের সংখ্যা সাড়ে পাঁচ হাজার ছাড়িয়েছে। সম্প্রতি বাংলাদেশেও ৫ জনের শরীরে ধরা পড়েছে এ ভাইরাস। এ নিয়ে জনগণের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। 

রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইইডিসিআর) রোববার (১৫ মার্চ) জানিয়েছে, সারাদেশে ২ হাজার ৩১৪ জনকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। তাদের প্রায় সবাই বিদেশফেরত।

তবে আইইডিসিআর থেকে নির্দিষ্ট কোনো তালিকা দেওয়া হয়নি।  

বাংলানিউজের করেসপন্ডেন্টদের পাঠানো ১৯টি জেলায় হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকা মানুষের মোট সংখ্যা আমরা পেয়েছি। তাতে দেখা গেছে, ওই ১৯ জেলায় হোম কোয়ারেন্টাইনে আছেন মোট এক হাজার ১১ জন।  

বাংলানিউজের স্টাফ, ডিস্ট্রিক্ট ও উপজেলা করেসপন্ডেন্টদের পাঠানো খবর।  


গোপালগঞ্জ: গোপালগঞ্জে ২৪ ঘণ্টায় বিদেশ ফেরত আরও ২২ জনকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। এ নিয়ে জেলায় মোট ৩৩ জনকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হলো।

গোপালগঞ্জ জেলা সিভিল সার্জন ডা. নিয়াজ মোহাম্মদ জানান, বিদেশ ফেরত ব্যক্তিদের সম্পর্কে খোঁজ খবর রাখা হচ্ছে। খবর পেলেই আমরা তাদের হোম কোয়ারেন্টাইনের আওতায় আনছি। এই ৩৩ ব্যক্তির মধ্যে কাশিয়ানী উপজেলায় ১৩ জন, কোটালীপাড়া উপজেলায় সাতজন, গোপালগঞ্জ সদর উপজেলায় ছয়জন, টুঙ্গিপাড়া উপজেলায় চারজন ও মুকসুদপুর উপজেলায় তিনজন রয়েছেন।  
 

কুষ্টিয়া: কুষ্টিয়ায় করোনা ভাইরাস আক্রান্ত সন্দেহে ছয়জনকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে।

শুক্রবার (১৩ মার্চ) থেকে তাদের নিজ বাড়িতে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়। রোববার (১৫ মার্চ) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা পর্যন্ত জেলায় ছয়জনকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে।  

কুষ্টিয়ার সিভিল সার্জন ডা. এইচ এম আনোয়ারুল ইসলাম বাংলানিউজকে জানান, জেলায় এখন পর্যন্ত করোনা ভাইরাস আক্রান্ত কোনো রোগী শনাক্ত হয়নি। তবে শুক্রবার দক্ষিণ কোরিয়া ফেরত এক দম্পতিকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। সেই সঙ্গে রোববার আরও তিনজনকে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। এছাড়া আরও বেশ কয়েকজন বিদেশ ফেরত ব্যক্তি করোনা সন্দেহ প্রকাশ করেছেন। তাদের তালিকা তৈরি করা হয়েছে। এ বিষয়ে সোমবার জানানো হবে।

মানিকগঞ্জ: মানিকগঞ্জের সাতটি উপজেলায় ছয়দিনে বিদেশ ফেরত ২২৬ জনকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। তবে করোনার লক্ষণ না থাকায় ২১ জনকে ছেড়ে দিয়েছে স্বাস্থ্য বিভাগ।

মানিকগঞ্জের সিভিল সার্জন ডা. আনোঢারুল আমিন আখন্দ বলেন, সবাইকে স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলার অনুরোধ জানানো হয়েছে। এছাড়া করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে জেলা সদর হাসপাতালে পুরুষ ১২ জন ও নারী ৫ জনের জন্য মোট ১৭ বেডের আইসোলেশন ইউনিট তৈরি রাখা হয়েছে এবং প্রস্তুত রাখা হয়েছে ১০০ শয্যার কোয়ারেন্টাইন ইউনিট।


কিশোরগঞ্জ: করোনা ভাইরাস সন্দেহে কিশোরগঞ্জে ৯৯ জনকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। এরা সবাই জেলার ভৈরব উপজেলাসহ বিভিন্ন উপজেলার বাসিন্দা।  

কিশোরগঞ্জের সিভিল সার্জন ডা. মুজিবুর রহমান বাংলানিউজকে জানান, হোম কোয়ারেন্টাইন থাকা ইতালিসহ অন্যান্য দেশ থেকে আগত এই প্রবাসীরা নিজ নিজ বাড়িতে আছেন। সেখানে তাদের নির্দিষ্ট কক্ষে ১৪ দিন পর্যবেক্ষণে থাকতে হবে। ইতোমধ্যে ১৪ দিনের হোম কোয়ারেন্টাইন সময় শেষ হওয়ায় ২০ জন স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে গেছেন।

ভোলা: ভোলায় ইতালি ফেরত দুই যুবককে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ভোলার সিভিল ডা. রতন কুমার ঢালী।  

তিনি জানান, জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের তত্ত্বাবধানে রোববার একজন ও শনিবার (১৪ মার্চ) একজনসহ মোট দুই জনকে তাদের নিজ বাড়িতেই রাখা হয়েছে। তবে তারা সম্পূর্ণ সুস্থ রয়েছেন। কিন্তু সার্বিক দিক বিবেচনা করে তাদের হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। ১৪ দিন তাদের সেখানে থাকতে হবে।

পাথরঘাটা (বরগুনা): বরগুনার পাথরঘাটায় লেবানন থেকে আসা এক প্রবাসী ব্যক্তিকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে।  

রোববার সকাল থেকে তাকে ১৪ দিনের জন্য পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। স্বাস্থ্য বিভাগের দুইজন স্বাস্থ্য সহকারীকে ২৪ ঘণ্টা নজরদারির জন্য তার বাড়িতে নিয়োজিত রাখা হয়েছে বলে জানান বরগুনার সিভিল সার্জন কার্যালয়।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া: ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর ও কসবায় উপজেলায় সৌদি প্রবাসী ফেরত দুইজনকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রেখেছে স্বাস্থ্য বিভাগ। তারা দুইজনই পুরুষ।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সিভিল সার্জন ডা. শাহ আলম বলেন, তিন দিন আগে সৌদি আরব থেকে আসা দুই প্রবাসীকে আমাদের মেডিক্যাল টিমের মাধ্যমে বুঝিয়ে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। তবে তাদের কারো মধ্যেই করোনা ভাইরাসের লক্ষণ বা উপসর্গ নেই, তারা সুস্থ আছেন।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ: চাঁপাইনবাবগঞ্জে ১৯০ জনকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। এছাড়া সোনামসজিদ স্থলবন্দরসহ অন্য বন্দর দিয়ে আসা সব পাসপোর্টধারী বিদেশ ফেরতদের স্বেচ্ছায় হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার নির্দেশনা দেওয়া হচ্ছে। সেসঙ্গে বিদেশ ফেরতদের সবার পূর্ণাঙ্গ নাম পরিচয় সংরক্ষণ করা হচ্ছে।  

চাঁপাইনবাবগঞ্জ সিভিল সার্জন ডা. জাহিদ নজরুল চৌধুরী জানান, করোনা প্রতিরোধে সোনামসজিদ বন্দর ব্যবহারকারী সবাইকে ভাল ভাবে চেকআপ করছে তিন সদস্যের একটি মেডিক্যাল দল। সদর হাসপাতালে চারটি ও পাঁচ উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোতে দুইটি করে ১০টি আইসোলেশন ইউনিট স্থাপন করা হয়েছে। রোববার দুপুর পর্যন্ত ৩২ জন ভারতীয় নাগরিকসহ ১৫৮ জন বাংলাদেশি নাগরিককে হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

মাদারীপুর: মাদারীপুরে বিদেশ থেকে বাড়িতে আসা এবং করোনা আক্রান্তের সংস্পর্শে আসা ১৭৬ জনকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে।

জেলা সিভিল সার্জন অফিস সূত্র জানায়, এ পর্যন্ত জেলার চারটি উপজেলার ১৭৬ জনকে হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকতে নির্দেশ দিয়েছে স্বাস্থ্য বিভাগ। এদের বেশিরভাগই প্রবাসী ও তাদের সংস্পর্শে আসা ব্যক্তি।

জামালপুর: জামালপুরে বিদেশ ফেরত চারজনকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে।  

জামালপুরের সিভিল সার্জন গৌতম রায় জানান, জামালপুর সদরে একজন, দেওয়ানগঞ্জে দুইজন ও মেলান্দহে একজন। তাদের নিজ বাড়িতে গভীর পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।

জয়পুরহাট: জয়পুরহাটে বিদেশ ফেরত চারজনকে হোম কেয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে।

সিভিল সার্জন ডা. সেলিম মিঞা বলেন, জেলায় এ পর্যন্ত বিদেশ থেকে আসা চার ব্যক্তিকে হোম কেয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। যদি কেউ বিদেশ থেকে দেশে আসেন তাহলে তাকে সিভিল সার্জন অফিসে রিপোর্ট করার সরকারি নির্দেশনা রয়েছে।

সিরাজগঞ্জ: সিরাজগঞ্জে করোনা সন্দেহে বিদেশ ফেরত আটজনকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। এছাড়াও চীন ফেরত আরও তিনজনের বাড়িতে মেডিক্যাল টিম পাঠানো হয়েছে।

সিরাজগঞ্জ সিভিল সার্জন ডা. জাহিদুল ইসলাম জানান, জেলার বেলকুচি উপজেলায় চারজন, উল্লাপাড়ায় তিনজন ও রায়গঞ্জে একজন প্রবাসী ফিরে এসেছে। এদের হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। লক্ষণ ছাড়াই তাদের ১৪ দিন পর্যবেক্ষণে রাখা হবে।

বাগেরহাট: করোনা ভাইরাস সন্দেহে বাগেরহাটের শরণখোলায় বিদেশ ফেরত আব্দুল আউয়াল হাওলাদার (৬৪) নামে এক বৃদ্ধকে আইসোলেশনে রাখা হয়েছে। জ্বর, সর্দি ও কাশি নিয়ে শরণখোলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গেলে তাকে আইসোলেশন ইউনিটে নেয় কর্তৃপক্ষ।  

এদিকে, করোনা আতঙ্কে মোরেলগঞ্জ উপজেলার নিশানবাড়িয়া গ্রামের আনোয়ার হাওলাদারের ছেলে মহারাজ হাওলাদারকে (৩২) নিজ বাড়িতে কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। ১৩ মার্চ রাতে ভারত থেকে বেনাপোল স্থল বন্দর হয়ে মোরেলগঞ্জ নিজ বাড়িতে আসেন মহারাজ হাওলাদার। পরে স্থানীয়দের চাপে মহারাজকে হাসপাতালে পাঠান ইউনিয়ন ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুর রহিম বাচ্চু।

হাসাপাতালে পরীক্ষা নিরিক্ষা শেষে ১৪ দিন হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার নির্দেশ দেন মোরেলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. কামাল হোসেন মুফতি।

নরসিংদী: করোনা সন্দেহে নরসিংদীতে ১৫ জনকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে।  

এরমধ্যে নরসিংদী সদরে তিনজন, পলাশ উপজেলায় তিনজন, শিবপুর উপজেলায় তিনজন, মনোহরদী উপজেলায় দুইজন ও রায়পুরা উপজেলায় চারজন। এরা সবাই ইতালী, সৌদিআরব, দক্ষিণ কোরিয়া ও দুবাই ফেরত। তারা বিগত ১০ দিনের মধ্যে দেশে এসেছেন।

জেলা প্রশাসক সৈয়দা ফারহানা কাউনাইন বলেন, নরসিংদীতে এখনো পর্যন্ত করোনা ভাইরাসের কোনো রোগী সনাক্ত হয়নি। যারাই বিদেশ থেকে দেশে আসছেন তাদের নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা হিসেবে দুই সপ্তাহের জন্য হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হচ্ছে। তবে যারা থাকতে অপরাগতা দেখাবে তাদের আইনের আওতায় এনে হোম কোয়ারেন্টাইনের আওতায় আনতে বাধ্য করা হবে।  

সিভিল সার্জন অফিস জানায়, রোববার সকাল পর্যন্ত ১৫ জনকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে।

পাবনা: পাবনায় করোনা ভাইরাস সন্দেহে বিদেশ ফেরত ১০ জনকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। এই প্রবাসীরা চলতি দুই সপ্তাহের মধ্যে মধ্যপ্রাচ্যসহ ইউরোপের বিভিন্ন থেকে দেশে এসেছেন।  

রোববার দুপুরে পাবনা জেনারেল হাসপাতালের সেমিনার কক্ষে হাসাপাতালের সার্বিক উন্নয়ন ও করোনা বিষয়ক বিশেষ সভা অনুষ্ঠিত হয়।  

সভায় পাবনা সদর-৫ আসনের সংসদ গোলামস ফারুক প্রিন্সিরে সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন- জেলা প্রশাসক কবিার মাহামুদ, পুলিশ সুপার শেখ রফিকুল ইসলাম, সিভিল সার্জন ডা. মেহেদী ইকবাল, হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডা. আবুল হোসেন, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ডা. জাহেদী হাসান রুমী, বিএমএর সাধারণ সম্পাদক ডা. আলমাক প্রমুখ।

নীলফামারী: চীন, মালয়েশিয়া, অস্ট্রেলিয়া থেকে নীলফামারীতে আসা আরও ছয়জনকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। তাদের দেহে করোনা ভাইরাস আছে কী না তা যাচাইয়ের জন্য এ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।  

এর মধ্যে নীলফামারীর ডোমার উপজেলায় পাঁচজন ও সৈয়দপুর উপজেলায় একজন রয়েছেন।

জেলা সিভিল সার্জন ডা. রনজিত কুমার বর্মন জানান, এর আগে জেলায় ৩৫ জন জন হোম কোয়ারেন্টাইন থেকে ছাড়া পান। তারা সকলেই শঙ্কামুক্ত। বিদেশ থেকে আসা আরো ছয়জনকে কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে ১৪ দিনের জন্য। এছাড়া সদর আধুনিক হাসপাতালে করোনার একটি পৃথক ইউনিট খোলা হয়েছে। সেখানে ৫০টি শয্যা তৈরি করা হয়েছে।

টাঙ্গাইল: টাঙ্গাইলের সখীপুরে ইতালি ফেরত এক প্রবাসীকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে।  

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা আবদুস সুবহান বাংলানিউজকে জানান, ওই ব্যক্তির মধ্যে করোনা ভাইরাসের কোনো লক্ষণ পাওয়া যায়নি। তারপরও সতর্কতার জন্য তাকে অন্তত ১৪ দিন হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। আমরা নিয়মিত তার খোঁজ রাখছি।

মাগুরা: মাগুরায় বিদেশফেরত ১৮ জনকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। এদের মধ্যে ইতালী, সিঙ্গাপুর, বাহরাই থেকে এসেছে এ সব মানুষ।

মাগুরা সিভিল সার্জন ডাক্তার প্রদীপ কুমার সাহা বাংলানিউজকে বলেন, মাগুরা চার উপজেলায় ১৮ জন হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। এদের শরীরের করোনা ভাইরাস রয়েছে কী না সেটা বোঝার জন্য ১৪ দিন বাড়িতে থেকে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়ার কথা বলা হয়েছে।  

ঝিনাইদহ: ইতালি, চীন, ভারত ফেরত ৩৬ জন প্রবাসীসহ তাদের পরিবারের ১৮১ জনকে স্বাস্থ্য বিভাগের বিশেষ পর্যবেক্ষণে রয়েছে। তাদের স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রেখে আতঙ্কিত না হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকরা।  

ঝিনাইদহে জেলার পৌর এলাকায় আটজন, মহেশপুর উপজেলায় ১৫৩ জন, কোঁটচাদপুর উপজেলায় আটজন ও কালীগঞ্জ উপজেলায় ১২ জন রয়েছে। এ সময় তাদের বাইরে না যাওয়ার জন্য চিকিৎসকের পর্যবেক্ষণের থাকার পরামর্শ দিয়েছেন।
 
ঝিনাইদহের সিভিল সার্জন ডা. সেলিনা বেগম বাংলানিউজকে জানান, যাদের কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে তারা সবাই সুস্থ আছে। তাদের কোনো লক্ষণ বা ভাইরাস পাওয়া যায়নি।  

বাংলাদেশ সময়: ১৯১০ ঘণ্টা, মার্চ ১৫, ২০২০
এনটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।