ঢাকা, রবিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

স্বাস্থ্য

ফেনীতে কোয়ারেন্টাইনে থাকা ১১৬ জন প্রশাসনের পর্যবেক্ষণে

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭০৯ ঘণ্টা, মার্চ ১৬, ২০২০
ফেনীতে কোয়ারেন্টাইনে থাকা ১১৬ জন প্রশাসনের পর্যবেক্ষণে সংবাদ সম্মেলনে কথা বলছেন ফেনী জেলা সিভিল সার্জন ডা. সাজ্জাদ হোসেন। ছবি: বাংলানিউজ

ফেনী: করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ এড়াতে ফেনীতে বিদেশ থেকে আসা ২২ জন ও তাদের পারিবারের ৯৪ জনসহ মোট ১১৬ জনকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। কোয়ারেন্টাইনে থাকা সবাইকে পর্যবেক্ষণে রেখেছে জেলা প্রশাসন, পুলিশ ও জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ।

সোমবার (১৬ মার্চ) দুপুরে ফেনী জেলা সিভিল সার্জন ডা. সাজ্জাদ হোসেন সংবাদ সম্মেলনে এ সব কথা জানান।

সিভিল সার্জন ডা. সাজ্জাদ হোসেন জানান, ফেনীতে বিদেশ ফেরত ২২ জন ও তাদের পারিবারের ৯৪ জনসহ মোট ১১৬ জন হোম কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন।

কোয়ারেন্টাইনে থাকা এসব ব্যক্তিদের পর্যবেক্ষণ করছেন স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মী। জেলা প্রশাসন ও স্থানীয় চেয়ারম্যান ও মেম্বারদেরও দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে তাদের দেখাশোনার জন্য।  এছাড়া সিভিল পোশাকে পুলিশ সদস্যরাও কোয়ারেন্টাইনে থাকা ব্যক্তিদের পর্যবেক্ষণ করছেন।

তিনি জানান, করোনা ভাইরাস পরিস্থিতির জন্য আমরা একটা অ্যাম্বুলেন্সের ব্যবস্থা করেছি। সে অ্যাম্বুলেন্স শুধু করোনা সংশ্লিষ্ট বিষয়ে কাজ করবে। তার জন্য অ্যাম্বুলেন্সটির আলাদা চালক ও মেডিক্যাল অফিসার রাখা হয়েছে। কোয়ারেন্টাইনে থাকা প্রবাসীদের মধ্যে রয়েছেন ইতালির ১২ জন, কুয়েতের একজন, কাতারের তিনজন, গ্রীসের একজন, কোরিয়ার একজন, চীনের একজন ও ভারতের তিনজন। তবে বিমানবন্দরে এদের কারও শরীরে করোনা ভাইরাসের লক্ষণ পাওয়া যায়নি। এর মধ্যে সদর উপজেলার রয়েছেন চার জন, ছাগলনাইয়ার চারজন, ফুলগাজীর আটজন, দাগনভূঞাঁর পাঁচজন ও পরশুরামের একজন।  

তিনি আরও জানান, এসব প্রবাসীদের নাম-ঠিকানা নিয়ে জেলা স্বাস্থ্যবিভাগ তাদের প্রত্যেককে ১৪ দিন হোম কোয়ারেন্টাইনে  থাকার পরামর্শ দিয়েছে। এদের মধ্যে একজন রয়েছেন যার মঙ্গলবার (১৭ মার্চ) ১৪ দিন শেষ হতে চলেছে। পর্যবেক্ষণ শেষে তিনি বাড়ি ফিরে যাবেন।  

এদিকে জেলা প্রশাসন থেকে ফেনীর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের ৩০ শয্যা, ফেনী  ট্রমা সেন্টারে ৩০ শয্যা, সোনাগাজীর মঙ্গলকান্দি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ২০ শয্যাসহ পাঁচটি উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঁচ শয্যা করে মোট ১০৫ শয্যার আইসোলেশন কর্নার করা হয়েছে।

করোনা ভাইরাস সংক্রমণের আতঙ্কে পরশুরামের বিলোনীয়া স্থলবন্দরে বাংলাদেশি যাত্রীদের ভারতে যাতায়াতসহ আমদানি-রপ্তানি বন্ধ করে দিয়েছে ভারতীয় কর্তৃপক্ষ। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত এ নির্দেশনা কার্যকর থাকবে। তবে বাংলাদেশে অবস্থানরত ভারতীয় নাগরিকদের শুধু নিজ দেশে প্রবেশের সুযোগ রয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৭০৫ ঘণ্টা, মার্চ ১৬, ২০২০
এসএইচডি/আরআইএস/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।