সোমবার (১১ মে) উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রেখা রায় এ ঘোষণা দেন। লকডাউন ঘোষণার বিষয়ে উপজেলা জুড়ে মাইকিং করা হয়েছে।
স্থানীয় সূত্র জানায়, এদিন উপজেলায় প্রথম করোনা আক্রান্ত রোগী পাওয়া যায়। এর আগে উপজেলায় কোনো করোনা রোগী শনাক্ত হয়নি।
সিলেট স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সূত্র জানায়, উপজেলায় এই প্রথম কোনো করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে। এর আগে সিলেটের অন্য উপজেলাগুলোতে করোনা আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হলেও শূন্যের কোঠায় ছিল ফেঞ্চুগঞ্জ। সর্বশেষ ওসমানী মেডিক্যাল থেকে ঢাকায় পাঠানো নমুনা পরীক্ষায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের একজন সেবিকা করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত বলে শনাক্ত হন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উপজেলা সদরে কাপড় ব্যবসায়ী ও মুদি দোকানিদের মধ্যে অনেকে সিলেটের বাইরের। তাছাড়া নদী পথে কুশিয়ারা দিয়ে প্রতিনিয়ত ঢাকা, নারায়নগঞ্জ, ভৈরব, হবিগঞ্জের আজমিরিগঞ্জসহ বিভিন্ন এলাকার লোকজন পণ্য নিয়ে যাতায়াত করেন। ফলে করোনা আক্রান্তের ঝুঁকিতে এই উপজেলা।
এছাড়া লকডাউন সীমিত করে সরকারি নির্দেশনায় ১০ মে থেকে ঈদুল ফিতরের জন্য মার্কেট, শপিংমল ও বিপণিবিতান খোলা না রাখার বিষয়ে উপজেলা বাজার বণিক সমিতি বৈঠকে বসলেও ব্যবসায়ীরা কোনো সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে পারেননি।
এ বিষয়ে জানতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাখি আহমেদের মোবাইল নম্বরে কল দেওয়া হলে সেটি রিসিভ হয়নি।
বাংলাদেশ সময়: ০২২১ ঘণ্টা, মে ১২, ২০২০
এনইউ/এইচএমএস/এইচএডি/