ঢাকা, সোমবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

স্বাস্থ্য

ঢামেকের করোনা শনাক্তের যন্ত্র বিকল হওয়ার আশঙ্কা

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩০৪ ঘণ্টা, মে ১২, ২০২০
ঢামেকের করোনা শনাক্তের যন্ত্র বিকল হওয়ার আশঙ্কা

ঢাকা: ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের ভাইরোলজি বিভাগের করোনা ভাইরাস শনাক্ত করার যন্ত্রে সমস্যা দেখা দিয়েছে। পরীক্ষার অতিরিক্ত চাপ থাকায় যন্ত্রটির (আরটি-পিসিআর) কার্যক্ষমতা যে কোনো সময় নষ্ট হয়ে যেতে পারে। যন্ত্রটি পুরনো। নতুন যন্ত্রের জন্য আবেদন করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (১২ মে) রাতে ঢামেক ভাইরোলজি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ডা. সুলতানা শাহানা বানু বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

তিনি বাংলানিউজকে বলেন, গত ২ এপ্রিল থেকে আমাদের ভাইরোলজি বিভাগে করোনা শনাক্তের কার্যক্রম শুরু হয়।

প্রথমদিকে পরীক্ষার সংখ্যা কম থাকলেও এখন সংখ্যা বাড়ছে। তবে ২ এপ্রিল থেকে মঙ্গলবার পর্যন্ত আনুমানিক ৫ হাজারের ওপরে নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা করা হয়েছে। এখন প্রতিদিনই প্রায় ২০০ নমুনা সংগ্রহ করে থাকে আমাদের টেকনোলজিস্ট। প্রতিদিন সকাল-বিকেল নমুনাগুলো সংগ্রহ করে যন্ত্রে তোলা হয়। বারবার রান করার কারণে যন্ত্রে সমস্যা দেখা দিয়েছে।  যে কোনো মুহূর্তে সেটা নষ্ট হয়ে যেতে পারে। তাই জরুরিভিত্তিতে আমাদের নতুন যন্ত্র দরকার।  

তিনি আরও বলেন, আমরা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে একটি দরখাস্ত দিয়েছি। আমাদের কলেজের প্রিন্সিপাল, ঢামেক পরিচালককেও কপি দিয়েছি। শিগগির আমরা নতুন যন্ত্র পেয়ে যাবো বলে তারা আশ্বস্ত করেছেন।

অধ্যাপক ডা. সুলতানা শাহানা বানু বলেন, আমাদের ভাইরোলজি বিভাগে ম্যানপাওয়ার কম। যারা আছেন তাদের নিয়েই আমরা সকাল-বিকেল কাজ করে যাচ্ছি। ভাইরোলজি বিভাগে আমিসহ ডাক্তার আছেন ৯ জন। টেকনোলজিস্ট আছেন ৪ জন। ঢামেক হাসপাতাল থেকে আরও কয়েকজন টেকনোলজিস্ট এনে আমরা কাজ চালিয়ে যাচ্ছি।  

এ বিষয়ে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের প্রিন্সিপাল ডা. খান মো. আবুল কালাম আজাদ বাংলানিউজকে বলেন, একটি নতুন যন্ত্রের জন্য আবেদন করা হয়েছে। সেটি এলে দু’টি মেশিন দিয়ে আমরা করোনা শনাক্তের পরীক্ষা কার্যক্রম চালিয়ে যেতে পারবো। তাহলে একটি যন্ত্রের ওপরে চাপ কম পড়বে।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ভাইরোলজি বিভাগে এক টেকনোলজিস্ট করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। তিনি বাসায় আইসোলেশনে আছেন। তার অবস্থা এখন ভালো।

বাংলাদেশ সময়: ২৩০০ ঘণ্টা, মে ১২, ২০২০
এজেডএস/এসআরএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।