বুধবার (১৩ মে) দুপুরে স্বাস্থ্য বুলেটিনে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা এ তথ্য জানান।
তিনি জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে সর্বোচ্চ শনাক্ত হয়েছেন এক হাজার ১৬২ জন।
তিনি আরও জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় ৪১ টি ল্যাবরেটরিতে নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে ৭ হাজার ৮৬২টি। পরীক্ষা করা হয়েছে ৭ হাজার ৯০০টি। মোট পরীক্ষা করা হয়েছে ১ লাখ ৪৪ হাজার ২৩০টি। ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু ১৯ জনের মধ্যে পুরুষ ১২ জন, নারী ৭ জন। এদের মধ্যে ঢাকার ১৩ জন, নারায়ণগঞ্জের একজন, মুন্সীগঞ্জ একজন, খুলনা বিভাগের নড়াইলে একজন, চট্টগ্রাম বিভাগের তিন জন। চট্টগ্রাম বিভাগের তিন জনের মধ্যে রয়েছেন চট্টগ্রাম জেলার দু’জন, কুমিল্লার একজন। বয়স বিশ্লেষণে দেখা যায়, ৭১ থেকে ৮০ বছর বয়সের মধ্যে ৫ জন, ৬১ থেকে ৭০ বছরের মধ্যে ৫ জন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে ৭ জন, ৩১ থেকে ৪০ বছর বয়সের মধ্যে এক জন ও ১০ বছরের নিচে একজন মেয়ে শিশু রয়েছেন।
নাসিমা সুলতানা জানান, ঢাকা সিটিসহ দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছে ২১৪ জন। এ নিয়ে মোট সুস্থ হয়েছেন তিন হাজার ৩৬১ জন।
তিনি জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশনে এসেছেন ১৫০ জন। মোট আইসোলেশনে আছেন তিন হাজার ৪৩৫ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় হোম ও প্রতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে এসেছেন দুই হাজার ৫৫৮ জন। অদ্যাবধি আইসোলেশনে এসেছেন ২ লাখ ২৭ হাজার ৬৪২ জন। সারাদেশের ৬৪ জেলায় ৬১৭টি প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনের জন্য প্রস্তুত। তৎক্ষণিকভাবে এসব প্রতিষ্ঠানে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনের সেবা দেওয়া যাবে ৩১ হাজার ১৬৫ জনকে।
তিনি আরও জানান, সারাদেশে আইসোলেশন শয্যা রয়েছে ৮ হাজার ৬৩৪টি। ঢাকার ভেতরে রয়েছে ২ হাজার ৯০০টি। ঢাকা সিটির বাহিরে শয্যা রয়েছে ৫ হাজার ৭৩৪ টি। আইসিইউ সংখ্যা রয়েছে ৩২৯টি, ডায়ালাসিস ইউনিট রয়েছে ১০২টি।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৩৮ ঘণ্টা, মে ১৩, ২০২০
পিএস/আরআইএস/