শনিবার (১৬ মে) রাজধানীর কলাবাগানে আনোয়ার খান মর্ডান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ডেডিকেটেড ২০০ বেডের করোনা ইউনিটের উদ্বোধনী আয়োজনে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।
ঢাকা সিটি করপোরেশন ও ঢাকার আশেপাশের কয়েকটি জেলাকে করোনার রেড জোন হিসেবে উল্লেখ করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, মোট আক্রান্তের প্রায় ৮৫ ভাগ ঢাকা বিভাগের।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, এটাই প্রথম প্রাইভেট সেক্টর হাসপাতাল যেটা আমরা গ্রহণ করলাম। মুজিববর্ষে একটি প্রাইভেট হাসপাতালকে কোভিড হাসপাতাল রূপান্তরিত করতে পেরে আমরা আনন্দিত। এটা নিয়ে ঢাকা শহরে ১৪টি হাসপাতাল আমরা তৈরি করলাম কোভিডের জন্য।
তিনি বলেন, উন্নত অনেক দেশগুলোয় এই মহামারি সামাল দিতে পারেনি। লাখ লাখ মৃত্যু এবং আক্রান্ত। এমন একটি পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ কাজ করে যাচ্ছে। আমাদের টেস্টিং ফ্যাসিলিটি বাড়ানো হয়েছে। আমাদের চেষ্টা হলো আগামী অল্পদিনের মধ্যে ল্যাব সংখ্যা বাড়ানো। এ মাসের মধ্যেই টেস্ট ফ্যাসিলিটি ১০ হাজারের উপরে নিয়ে যাওয়ার প্রক্রিয়া চলছে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, আমার সব সময় মানুষকে সচেতন করার চেষ্টা করছি। কিন্তু ভীষণ কষ্ট পাই যখন দেখি মানুষ আমাদের কথাগুলো শুনছে না। তারা বিভিন্ন স্থানে জটলা করে। হাট বাজারে গিয়ে শপিং করে। আমাদের নিজেদের সচেতন করতে হবে। ঈদের আনন্দ করার জন্য জামা কিনতে যাই, কিন্তু আমরা বুঝতে পারি না যে একটুখানি আনন্দের আশায় আমরা অনেকটা দুঃখের দিকে ধাবিত হচ্ছি।
তিনি বলেন, অনেক সময় দেখা যায় রোগীরা চিকিৎসকের কাছে তথ্য গোপন করেন। এটা ভয়ের কিছু না। বরং চিকিৎসককে সঠিক তথ্য দিন, তারা দিনরাত এক করে আপনাদের জন্য পরিশ্রম করছে। আপনার একটু ভুলের জন্যই তাদের কষ্ট বৃথা হওয়ার পাশাপাশি আপনার সব থেকে বড় ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
আনোয়ার খান মডার্ন মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য বিভাগের সচিব আসাদুল ইসলাম, স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সচিব মোহাম্মদ আলী নূর, আনোয়ার খান মডার্ন মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ ডাক্তার এখলাছ রহমান এবং প্রাইভেট মেডিক্যাল কলেজ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ডা. মুনিব খান।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৪৫ ঘণ্টা, মে ১৬, ২০২০
এইচএমএস/এনটি