ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

স্বাস্থ্য

পরীক্ষা ছাড়াই ‘করোনামুক্ত’ সনদ দেয় খুমেক

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২২১ ঘণ্টা, মে ১৭, ২০২০
পরীক্ষা ছাড়াই ‘করোনামুক্ত’ সনদ দেয় খুমেক

খুলনা: খুলনা মেডিক্যাল কলেজ (খুমেক) হাসপাতালে করোনা সাসপেক্টেড ফ্লু কর্নার থেকে দালালের হস্তক্ষেপে পরীক্ষা ছাড়াই করোনামুক্তির সনদপত্র দেওয়া হচ্ছে।

রোববার (১৭ মে) দুপুরে এসব কর্মকাণ্ডের জন্য খুমেক হাসপাতালে আরিফুল হোসেন (৩০) এক আউটসোসিং কর্মচারীকে আটক করে পুলিশ। পরে তাকে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে সাত হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

এছাড়া তাকে খুমেক হাসপাতালের আউটসোর্সিংয়ের চাকরি থেকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।  

জানা গেছে, রোববার ১১টার দিকে খুমেক হাসপাতালের ফ্লু কর্নারে ২০ থেকে ২৫ জন শ্রমিক আসে করোনামুক্তির সনদপত্র নিতে। এসময় তাদের করোনামুক্তির সনদ দেওয়ার জন্য প্রত্যেকের কাছ ৫০ থেকে ১৫০ টাকা পর্যন্ত আদায় করে আরিফুল হোসেন। কয়েকজন শ্রমিক বিষয়টি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে জানায়। এসময় হাসপাতালের পক্ষ থেকে পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। পরে পুলিশ এসে তাকে আটক।

সোনাডাঙ্গা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সুকান্ত বলেন, হাসপাতাল থেকে খবর দেওয়ার পর আউটসোসিং কর্মচারী আরিফুল হোসেন আটক করা হয়। এসময় শ্রমিকরা জানান, করোনামুক্তির সনদ দেওয়ার জন্য তাদের কাছ থেকে টাকা নেওয়া হয়েছে। চিকিৎসকরা তাদের পরীক্ষা না করে করোনামুক্তির সনদ দিয়েছে। পরে আটক ব্যক্তিকে ভ্রাম্যমাণ আদালতে হাজির করা হয়।

খুলনা জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. রাকিবুল হাসান বলেন, খবর পেয়ে হাসপাতালে গিয়ে ওই আউটসোর্সিং কর্মচারীকে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে সাত হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এছাড়া তাকে খুমেক হাসপাতালের চাকরি থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।

খুমেক হাসপাতালের পরিচাকল ডা. মুন্সী মো. রেজা সেকেন্দার বলেন, করোনামুক্তির সনদ আসলে তেমন গুরুত্বপূর্ণ কিছু নয়। কেউ সনদ নিতে এলে তার শরীরের তাপমাত্র পরীক্ষা করে করোনার কোনো উপসর্গ না পাওয়া পেলে তা লিখে দেওয়া হয়। এটা করোনামুক্তির সনদপত্র।

তিনি বলেন, হাসপাতালের কিছু আউটসোসিং কর্মচারী ও চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারীরা করোনার সনদ নিয়ে বাণিজ্য শুরু করেছে। তারা এটাকে সুযোগ হিসেবে কাজে লাগাচ্ছে। সনদ নিতে আসাদের কাছ থেকে অতিরিক্ত টাকা নিচ্ছে তারা। তারা খুবই কৌশলে এ কাজটা করছে। হাসপাতালে ৩০২ জন আউটসোসিং কর্মচারী ও ৯৪ জন চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারীদের একাংশই মূলত এসব কাজে লিপ্ত। এখানে বাইরের কোনো দালাল নেই। এরাই মূল দালাল। তারা হাসপাতাল পরিষ্কার-পরিছন্নতার কাজ বাদ দিয়ে এসব করে বেড়ায়।
 
তাদের উৎপাত কমাতে কী কী পদক্ষেপ নিয়েছেন? এমন প্রশ্নের জবাবে রেজা সেকেন্দার বলেন, আমি আশার পর থেকে তাদের অনেকটা নিয়ন্ত্রণ করতে পেরেছি। ইতোমধ্যে প্রশাসন ও গোয়েন্দা সংস্থার কাছে এ বিষয়ে চিঠি দিয়েছি। তারা যথাযত পদক্ষেপ নেবেন বলে আমাকে আশ্বাস্ত করেছেন।

বাংলাদেশ সময়: ২২১৮ ঘণ্টা, মে ১৭, ২০২০
এমআরএম/আরবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।