ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

স্বাস্থ্য

নতুন শনাক্ত ১৬১৭ জন, মৃত্যু আরও ১৬

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৪০ ঘণ্টা, মে ২০, ২০২০
নতুন শনাক্ত ১৬১৭ জন, মৃত্যু আরও ১৬

ঢাকা: দেশে গত একদিনে অর্থাৎ শেষ ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে করোনা ভাইরাস আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছেন এক হাজার ৬১৭ জন। মৃত্যু হয়েছে আরও ১৬ জনের। নতুন করে সুস্থ হয়েছেন ২১৪ জন। এ নিয়ে মোট মৃত্যু হয়েছে ৩৮৬ জনের। মোট আক্রান্ত হয়েছেন ২৬ হাজার ৭৩৮ জন।

বুধবার (২০ মে) দুপুর আড়াইটার দিকে করোনা ভাইরাস সংক্রান্ত নিয়মিত অনলাইন স্বাস্থ্য বুলেটিনে এ তথ্য দেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (মহাপরিচালকের দায়িত্বপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা।

দেশে করোনা ভাইরাস আক্রান্ত রোগী ধরা পড়ার পর থেকে এ পর্যন্ত একদিন ব্যবধানে যে সংখ্যক রোগী শনাক্ত হয়েছেন, তার মধ্যে এটাই সর্বোচ্চ, অর্থাৎ রেকর্ড।

এর আগে গত ১৮ মে সর্বোচ্চ এক হাজার ৬০২ জন রোগী শনাক্ত হয়েছিলেন।

তিনি বলেন, নতুন করে মৃত্যু হওয়া ১৬ জনের মধ্যে ১৩ জন পুরুষ। তিনজন নারী। এছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা ভাইরাস শনাক্তকরণে ১০ হাজার ২০৭টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এ নিয়ে মোট নমুনা পরীক্ষা করা হয় দুই লাখ তিন হাজার ৮৫২টি। আর নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছিল ১১ হাজার ১৩৮টি।

ডা. নাসিমা সুলতানা বলেন, শেষ ২৪ ঘণ্টায় নতুন একটিসহ মোট ৪৩টি ল্যাবে নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে।

করোনা ভাইরাস বিস্তার রোধে সবাইকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থ্যা (ডাব্লিউএইচও) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সংশ্লিষ্ট দিকনির্দেশনা মেনে চলার আহ্বান জানিয়েছেন অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা।

তিনি বলেন, নতুন মৃত্যু হওয়া ১৬ জনের মধ্যে ঢাকা বিভাগের সাতজন এবং চট্টগ্রাম বিভাগের পাঁচজন, সিলেট বিভাগের একজন ও রংপুর বিভাগের তিনজন। এরমধ্যে হাসপাতালে ১২ জন, বাসায় তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। বয়স বিশ্লেষণ বলছে, ৯১ থেকে ১০০ বছরের মধ্যে একজন, ৮১ থেকে ৯০ বছরের দুই জন, ৭১ থেকে ৮০ বছরের একজন, ৬১ থেকে ৭০ বছরের চারজন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের পাঁচজন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের একজন, ৩১ থেকে ৪০ বছরের একজন, ২১ থেকে ৩০ বছরের একজন ও ১০ বছরের নিচে একজন রয়েছেন।

নাসিমা সুলতানা বলেন, ঢাকা সিটিসহ দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ২১৪ জন। এ নিয়ে মোট সুস্থ হয়েছেন পাঁচ হাজার ২০৭ জন।

তিনি বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশনে এসেছেন ৩০০ জন। মোট আইসোলেশনে আছেন তিন হাজার ৮১৬ জন। হোম ও প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে এসেছেন তিন হাজার ৮১৬ জন। এ পর্যন্ত কোয়ারেন্টিনে এসেছেন দুই লাখ ৫২ হাজার ৫০২ জন। কোয়ারেন্টিন থেকে ছাড়পত্র নিয়েছেন এক লাখ ৫১ হাজার ৫৬১ জন। বর্তমানে কোয়ারেন্টিনে আছেন ৫২ হাজার ৯৪১ জন।

মহাপরিচালকের দায়িত্বপ্রাপ্ত নাসিমা বলেন, দেশের ৬৪ জেলায় ৬২৬টি প্রতিষ্ঠান প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনের জন্য প্রস্তুত। তাৎক্ষণিকভাবে এসব প্রতিষ্ঠানে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিন সেবা দেওয়া যাবে ৩১ হাজার ৮৪০ জনকে।

তিনি বলেন, সারাদেশে আইসোলেশন শয্যা আছে ১৩ হাজার ২৮৪টি। ঢাকার ভেতরে আছে সাত হাজার ২৫০টি। ঢাকা সিটির বাইরে ছয় হাজার ৩৪টি। আইসিইউ শয্যা আছে ৩৯৯টি। ডায়ালাইসিস ইউনিট আছে ১০৬টি।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৪০ ঘণ্টা, মে ২০, ২০২০
টিএ/পিএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।