ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

স্বাস্থ্য

জলাতঙ্ক রোধে নীলফামারীতে কুকুরকে ভ্যাকসিন 

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০০৪ ঘণ্টা, জুন ১৯, ২০২০
জলাতঙ্ক রোধে নীলফামারীতে কুকুরকে ভ্যাকসিন 

নীলফামারী: নীলফামারীতে জাতীয় জলাতঙ্ক নিয়ন্ত্রণ ও নির্মূল কর্মসূচির (এম ডিভি) আওতায় নীলফামারীতে কুকুরকে ভ্যাকসিন দেওয়া শুরু হয়েছে।  

এ কর্মসূচিতে আগামী ২৩ জুন পর্যন্ত জেলার ছয় উপজেলায় ৩৩ হাজার কুকুরকে এই ভ্যাকসিন দেওয়া হবে। এটি জেলায় তৃতীয় ডোজ টিকাদান কর্মসূচি।

সদর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মো. রাশেদুল হোসেন জানান, ২০২২ সালের মধ্যে দেশকে জলাতঙ্ক মুক্ত করার লক্ষ্যে ২০১০ সাল থেকে এ কর্মসূচি শুরু করা হয়। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় এবং প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় যৌথভাবে জাতীয় জলাতঙ্ক নিয়ন্ত্রণ এবং নির্মূল কর্মসূচি বাস্তবায়নে কাজ করছে। এরই অংশ হিসেবে দেশের সব জেলায় জলাতঙ্ক নিয়ন্ত্রণ ও নির্মূল কেন্দ্র চালু করা হয়েছে। এসব কেন্দ্র থেকে বিনামূল্যে টিকা সরবরাহ করা হচ্ছে।

কর্মসূচির সুপারভাইজার আসাদুজ্জামান প্রধান সুমন বলেন, নীলফামারী সদরে ৩৪টি টিম কাজ করছে। প্রত্যেকটি টিমে পাঁচজন করে স্বেচ্ছাসেবক কাজ করছেন। এর মধ্যে ভ্যাকসিনেটর হিসেবে একজন এই দায়িত্ব পালন করছেন।  এর আগে জেলায় দুই বার এই টিকা দেওয়া হয়েছে।

টিমের ভ্যাকসিনেটর মোখলেছার রহমান আনিস জানান, ভ্যাকসিন রেভিসিন ১ মি. লি. করে প্রত্যেকটি কুকুরকে প্রয়োগ করা হচ্ছে। প্রতিদিন ২০-২৫টি কুকুরকে এই টিকা দেওয়া হবে। এটি জলাতঙ্ক রোগ নির্মূলে কাজ করবে।

সিভিল সার্জন রনজিৎ কুমার বর্মন বলেন, এসব কার্যক্রমের মাধ্যমে জলাতঙ্ক রোগীর সংখ্যা আগের তুলনায় ৬০ ভাগ হ্রাস পেয়েছে। বর্তমানে কুকুরের টিকাদান কর্মসূচির মাধ্যমে দেশের সব কুকুরকে তিন ডোজ টিকা প্রদান করা গেলে কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্য অর্জন করা সম্ভব হবে।  

এদিকে জেলার ডোমার, ডিমলা, জলঢাকা, কিশোরগঞ্জ ও সৈয়দপুর উপজেলায় একইভাবে টিকাদান কর্মসূচি অব্যাহত রয়েছে বলে তিনি জানান।

বাংলাদেশ সময়: ২০০৩ ঘণ্টা, জুন ১৯, ২০২০
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।