ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

স্বাস্থ্য

করোনায় আক্রান্ত

সর্বাধিক ঢাকা মহানগরীতে, সর্বনিম্ন মেহেরপুরে 

দীপন নন্দী, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৪৭ ঘণ্টা, আগস্ট ৩, ২০২০
সর্বাধিক ঢাকা মহানগরীতে, সর্বনিম্ন মেহেরপুরে 

ঢাকা: দেশে সর্বাধিক করোনারোগী রয়েছেন ঢাকা মহানগরীতে। রাজধানী শহরটিতে প্রায় ৫০ হাজার করোনারোগী রয়েছেন।

আর সংখ্যার দিক থেকে সবচেয়ে কম করোনারোগী রয়েছেন সীমান্তবর্তী জেলা মেহেরপুরে।  এ জেলায় মাত্র ১৮৭ জন করোনারোগী রয়েছে। মেহেরপুরই একমাত্র জেলা যেখানে দুইশ’র নিচে করোনারোগী শনাক্ত হয়েছে।

রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের ওয়েবসাইট থেকে (আইইডিসিআর) সারাদেশের করোনা পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করে এ তথ্য পাওয়া গেছে।

বিভাগের মধ্যে ঢাকা মহানগরীতে ৪৮ হাজার ৩২২ জন, ঢাকা জেলায় তিন হাজার ৯০২ জন, নরসিংদীতে এক হাজার ৯২৬ জন, গাজীপুরে চার হাজার ২৩৬ জন, শরীয়তপুরে ৬৬৮ জন, নারায়ণগঞ্জে পাঁচ হাজার ৮৮০ জন, টাঙ্গাইলে এক হাজার ৬৯০ জন, কিশোরগঞ্জে এক হাজার ৯৯৫ জন, মানিকগঞ্জে ৮৪০ জন, মুন্সিগঞ্জে তিন হাজার ২১ জন, রাজবাড়ীতে এক হাজার ২৭৭ জন, মাদারীপুরে ৮৩২ জন, গোপালগঞ্জে ৭৯৯ জন এবং ফরিদপুরে চার হাজার ৮৬২ জন করোনারোগী রয়েছেন।

চট্টগ্রাম বিভাগের মধ্যে কুমিল্লায় পাঁচ হাজার ৫২৮ জন, ফেনীতে এক হাজার ৩০৮ জন, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় এক হাজার ৯৩৯ জন, রাঙামাটিতে ৬৫১ জন, নোয়াখালীতে তিন হাজার ১৮৫ জন, চাঁদপুরে এক হাজার ৮৫৩ জন, লক্ষ্মীপুরে এক হাজার ৪৩৫ জন, চট্টগ্রামে ১৪ হাজার ৪৮০ জন, কক্সবাজারের তিন হাজার ৩৮৯ জন, খাগড়াছড়িতে ৫২৭ জন এবং বান্দরবানে ৫৫৪ জন করোনারোগী রয়েছেন।

রাজশাহী বিভাগের মধ্যে সিরাজগঞ্জে এক হাজার ৪৪০ জন, পাবনায় ৮৪৩ জন, বগুড়ায় চার হাজার ৪৭৫ জন, রাজশাহীতে তিন হাজার ১৯৭ জন, নাটোরে ৪৯২ জন,  জয়পুরহাটে ৭১৪ জন, চাঁপাইনবাবগঞ্জে ৪৪৮ জন এবং নওগাঁয় ৯৩১ জন করোনারোগী রয়েছেন।

খুলনা বিভাগের মধ্যে যশোরে এক হাজার ৮৯৯ জন, সাতক্ষীরায় ৭৪৮ জন, মেহেরপুরে ১৮৭ জন, নড়াইলে ৭৬২ জন, চুয়াডাঙ্গায় ৬৪৩ জন, কুষ্টিয়ায় এক হাজার ৫৯৪ জন, মাগুরায় ৪৬০ জন, খুলনায় চার হাজার ৩৮৭ জন, বাগেরহাটে ৬০৮ জন এবং ঝিনাইদহে ৯৮৩ জন করোনারোগী রয়েছেন।

বরিশাল বিভাগের মধ্যে ঝালকাঠিতে ২৪২ জন, পটুয়াখালীতে এক হাজার ২৫ জন, পিরোজপুরে ২১৮ জন, বরিশালে এক হাজার ৬৮৬, ভোলায় ৫২৮ জন এবং বরগুনায় ৫১১ জন করোনারোগী রয়েছেন।

সিলেট বিভাগের মধ্যে সিলেট শহরে তিন হাজার ৭৮৭ জন, মৌলভীবাজারে ৮৩৯ জন, হবিগঞ্জে এক হাজার ৫৫ জন এবং সুনামগঞ্জে এক হাজার ২৭৮ জন করোনারোগী রয়েছেন।

রংপুর বিভাগের মধ্যে পঞ্চগড়ে ২৩৩ জন, দিনাজপুরে এক হাজার ৩০৮ জন, লালমনিরহাটে ২৯৪ জন, নীলফামারীতে ৬০০ জন, গাইবান্ধায় ৫৭৮ জন, ঠাকুরগাঁওয়ে ৩০১ জন, রংপুরে এক হাজার ৫৩৯ জন এবং কুড়িগ্রামে ৩৭৭ জন।

ময়মনসিংহ বিভাগের মধ্যে শেরপুরে ৩১৫ জন, ময়মনসিংহে দুই হাজার ৭২৩ জন, জামালপুরে ৯১৬ জন এবং নেত্রকোণায় ৬৩৮ জন করোনারোগী রয়েছেন।

দেশের অন্যান্য জেলার তুলনায় রাজধানীতে করোনারোগীর বিষয়ে আইইডিসিআরের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা এ এস এম আলমগীর বলেন, ঘনবসতির কারণে রাজধানীতে করোনারোগী বেশি। ঢাকার মতো জনবহুল ও ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় খুব সহজেই মানুষ থেকে মানুষের মধ্যে করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছে। সেসঙ্গে এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় যাওয়ার সুবিধা দেশের অন্যান্য জায়গার তুলনায় ঢাকায় বেশি, সেটিও একটি কারণ। এছাড়াও ঢাকার হাসপাতালগুলোর মাধ্যমেও ভাইরাস ছড়াতে পারে।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৪৩ ঘণ্টা, আগস্ট ০৩, ২০২০
ডিএন/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।