ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

স্বাস্থ্য

ভূমিকম্পের পর স্বাস্থ্যসেবা: দু’ মন্ত্রণালয়ের সমঝোতা স্মারক সাক্ষর

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০২৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৫, ২০১২

ঢাকা: ভূমিকম্পের পর জরুরি স্বাস্থ্য সেবা দেওয়ার জন্য স্বাস্থ্য বিভাগের সক্ষমতা বাড়াতে দু’ মন্ত্রণালয়ের মধ্যে দু’বছর মেয়াদি একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে।
 
রোববার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পক্ষে মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. খন্দকার সিফায়েত উল্লাহ এবং খাদ্য ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়ের পক্ষে ‘কমপ্রিহেনসিভ ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট প্রোগ্রাম (সিডিএমপি)’র জাতীয় প্রকল্প পরিচালক মো. আবদুল কাইয়ুম স্বাক্ষর করেন।



এ সময় স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. আফম রুহুল হক, খাদ্য ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক, স্বাস্থ্য সচিব হুমায়ুন কবির ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সচিব এম আসলাম আলম উপস্থিত ছিলেন।

এ সমঝোতা স্মারকের আওতায় ভূমিকম্প পরবর্তী ঝুঁকি মোকাবেলায় ন্যাশনাল হেলথ ক্রাইসিস ম্যানেজমেন্ট ও আর্কাইভ সেন্টার গঠন করা হবে।

এছাড়া ৫০ হাজার ব্যাগ রক্ত ও রক্ত পরিসঞ্চালন ব্যবস্থা, ৫০০ বহনযোগ্য স্ট্রেচার এবং ৫০০ মৃতদেহ বহনের ব্যাগসহ চিকিৎসার যন্ত্রপাতি সরবরাহ করা হবে।

অনুষ্ঠানে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ভূমিকম্প পরবর্তী অনুসন্ধান ও উদ্ধার কাজের জন্য সরকার এরই মধ্যে ১৪৫ কোটি টাকার যন্ত্রপাতি ক্রয় করেছে। এসব যন্ত্রপাতি সশস্ত্র বাহিনী এবং ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের কাছে হস্তাস্তর করা হয়েছে।

তিনি বলেন, সচিবালয়ের দুটি ভবন এবং ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালকে রেট্রোফিটিং-এর মাধ্যমে ভূমিকম্প সহনীয় করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। কিন্তু প্রশিক্ষিত প্রকৌশলী ও দক্ষ জনবল না থাকায় এটা করতে বিলম্ব হচ্ছে। শিগগিরই এ কাজ শুরু করা হবে।
 
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, দুর্যোগ মোকাবেলায় বাংলাদেশের সাফল্য রয়েছে। কিন্তু ভূমিকম্প পরবর্তী পরিস্থিতি মোকাবেলায় বাংলাদেশ এখনও পর্যাপ্ত প্রস্তুত নয়।

তিনি বলেন, ভূমিকম্পে আমাদের হাসপাতাল স্থাপনাসমূহ টিকে থাকবে কি-না নিশ্চিত করে বলা যায় না। এ কারণে খোলা মাঠে জরুরি ভিত্তিতে হাসপাতাল স্থাপন এবং সে লক্ষ্যে কার কী দায়িত্ব সেটা নির্ধারণ করে প্রশিক্ষণের উদ্যোগ নিতে হবে। আর এজন্য বিদেশের সাহায্যের দিকে তাকিয়ে সময় নষ্ট করার সুযোগ নেই। এখন থেকে নিজস্ব তহবিলের মাধ্যমেই প্রশিক্ষণ শুরু করতে হবে।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সচিব এম আসলাম আলম বলেন, ঢাকার পাশে টাঙ্গাইলে একটি ফল্টলাইন রয়েছে। ৭ দশমিক ২ মাত্রার ভূমিকম্প হলে ঢাকার প্রায় ৭২ হাজার ভবন ধসে পড়বে। এতে যে হতাহতের ঘটনা ঘটবে তা মোকাবেলা করার ক্ষমতা হাসপাতালগুলোর নেই।
 
বাংলাদেশ সময়: ২০২২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৫, ২০১২

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।