ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

স্বাস্থ্য

ভ্যাকসিন দিতে প্রস্তুত হচ্ছে বিএসএমএমইউ কনভেনশন সেন্টার

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩২২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৯, ২০২১
ভ্যাকসিন দিতে প্রস্তুত হচ্ছে বিএসএমএমইউ কনভেনশন সেন্টার

ঢাকা: করোনার ভ্যাকসিন সুষ্ঠুভাবে দেওয়ার জন্য একটি টাস্কফোর্স গঠন করেছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) কর্তৃপক্ষ। এছাড়া কনভেনশন সেন্টারের গ্রাউন্ড ফ্লোর প্রস্তুত করা হচ্ছে।

সেখানে সরকারি নিয়ম অনুযায়ী এ ভ্যাকসিন দেওয়া হবে।

মঙ্গলবার (১৯ জানুয়ারি) রাতে এ বিষয়ে কথা হয় বিএসএমএমইউ’র উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়ুয়ার সঙ্গে।

তিনি বাংলানিউজকে বলেন, করোনার ভ্যাকসিন সুষ্ঠুভাবে বিতরণের জন্য বিএসএমএমইউ একটি ট্রাস্কফোর্স গঠন করেছে। প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক রফিকুল আলমকে প্রধান করে আট সদস্যের একটি টিম গঠন করা হয়েছে। কমিটিতে আছেন হাসপাতাল পরিচালক বিগ্রেডিয়ার জেনারেল জুলফিকার আহমেদ আমিন।

উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া বলেন, করোনার ভ্যাকসিন দেওয়ার স্থান হিসেবে আমরা হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালের উল্টো দিকে কনভেনশন সেন্টারের গ্রাউন্ড ফ্লোর প্রস্তুত করছি। সেখানে সরকারি নিয়ম অনুযায়ী জনসাধারণকে করোনার ভ্যাকসিন প্রয়োগ করা হবে। ভ্যাকসিন প্রয়োগের জন্য যে টিম দরকার তা তৈরি করা হয়েছে। তাদের ট্রেনিংয়ের ব্যবস্থাও করা হচ্ছে।  

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, করোনা ভ্যাকসিন সংরক্ষণের জন্য যতটুকু তাপমাত্রা দরকার, সে অনুযায়ী সব প্রস্তুত করা হচ্ছে।

উপাচার্য অধ্যাপক আরও জানান, সরকার যখনই করোনা ভ্যাকসিন আমাদের ডেলিভারি দেবে, সরকারি নিয়ম অনুযায়ী আমরা সুষ্ঠুভাবে মানুষের মধ্যে তা দেওয়ার কাজ শুরু করবো।

ভারত সরকারের উপহারের ২০ লাখ ভ্যাকসিন আগে এলে আগেই বিতরণ শুরু হবে। প্রথমে সীমিত আকারে ঢাকায় ভ্যাকসিন প্রয়োগ কর্মসূচি শুরু হবে। পরবর্তীকালে সারা দেশে জাতীয়ভাবে ভ্যাকসিন দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। দুপুরের দিকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে এ কথা জানান তিনি।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ইতোমধ্যে সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। জেলা পর্যায়ে চারটি টিম কাজ করবে। উপজেলা পর্যায়ে দুইটি টিম এবং মেডিক্যাল কলেজের ছয়টি টিম কাজ করবে। আমাদের যে সব ইনস্টিটিউট আছে সেখানেও টিম পাঠানো হচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, শুধু জেলা, উপজেলা, সিটি করপোরেশনগুলোকে ধরে প্রতিদিন দুই লাখ মানুষকে ভ্যাকসিন দেওয়া হবে। প্রাথমিকভাবে ইউনিয়ন পর্যায়ে ভ্যাকসিন দেওয়া হবে না।

ভ্যাকসিন সংরক্ষণ প্রসঙ্গে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, আমাদের প্রস্তুতি আছে। প্রথমে ২০ লাখ আসছে। পরবর্তীকালে আরও ৫০ লাখ আসবে। ভ্যাকসিন সংরক্ষণের জন্য কোল্ড চেইন, জনবল, ট্রান্সপোর্টের ব্যবস্থা করা হয়েছে।

তিনি বলেন, বুধবার (২০ জানুয়ারি) দেশে ২০ লাখ টিকা আসবে। অক্সফোর্ড–অ্যাস্ট্রোজেনেকার এই টিকা বাংলাদেশকে উপহার হিসেবে দেবে ভারত সরকার। তবে কখন আসছে সেটার ফ্লাইট সিডিউল আমাদের হাতে এসে পৌঁছায়নি। কখন আসবে তা পরবর্তীকালে সময়ে জানিয়ে দেওয়া হবে। ভ্যাকসিন ভারত সরকার নিজ উদ্যোগে বাংলাদেশকে পৌঁছে দেবে।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, যাদের ভ্যাকসিন প্রয়োজন, তাদের আগে ভ্যাকসিন দেওয়া হবে। এখানে ভিভিআইপি কিংবা ভিআইপি ব্যবস্থা থাকবে না। তবে সরকারিভাবে গাইডলাইন তৈরি করা হয়েছে, সেই গাইডলাইন অনুসারে ভ্যাকসিন দেওয়া হবে।

এ সময় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক আবুল আসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম ও অতিরিক্ত মহাপরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ২৩২০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৯, ২০২১
এজেডএস/এমএইচ/এসআরএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।